বৃহস্পতিবার টিসিবি প্রধান কার্যালয় থেকে রংপুরে চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
টিসিবি রংপুর অঞ্চলের কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দোকানের অস্তিত্ব না থাকা এবং পণ্য উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগে ২৫ জনের ডিলারশিপ বাতিলসহ জামানত বাজেয়াপ্ত এবং পরপর দুই দফায় পণ্য উত্তোলন না করার অভিযোগে ৩০ জনের ডিলারশিপ স্থগিত করা হয়েছে।
ভোজ্যতেল, চিনি, মশুর ডাল ও ছোলার উর্ধ্বমমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণসহ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে টিসিবি সারা দেশের মতো রংপুর বিভাগের আট জেলায় পর্যায়ক্রমে ৩৬২ জন ডিলার নিয়োগ দেয়। এর মধ্যে রংপুরেই ৯৬ জন।
ডিলারদের সিংহভাগই ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও আত্মীয়-স্বজন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রধান কার্যালয়ের একটি দল চলতি সপ্তাহে সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়।
“ডিলাররা প্রতি কেজি চিনি ৪১ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে ৪৬ টাকা, মশুর ডাল ৬৬ টাকায় কিনে ৭০ টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন ১০৩ টাকায় কিনে ১০৭ টাকায় বিক্রি করবে। আগামী রমজানে সকল ডিলারের জন্য পণ্য উত্তোলন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে”, বলেন টিসিবির কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা।
বাতিল হওয়া ডিলারদের একজন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন সরকার।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুনাফা কম হওয়ার কারণে তিনি পণ্য উত্তোলন করেননি।
জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রমজানে পণ্য উত্তোলন না করলে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।