বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সেফিল্ড এর গবেষকদল জানায়, ২০০০ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে শ্বেতাঙ্গ নারীদের তুলনায় দক্ষিণ এশীয় নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ কম ছিল।
কিন্তু ২০০৫ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গ নারীদের চেয়ে ৮ শতাংশ বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার প্রায় অপরিবর্তিতই আছে।
এশীয় নারীদের জীবনযাত্রার ধরনের পরিবর্তন ও মুটিয়ে যাওয়াকে এর প্রাথমিক করণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
শুক্রবার ব্রাইটন শহরে ‘ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক কনফারেন্সে’ গবেষক দল জানায়, ২০০০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে আদমশুমারি ও বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর এক লাখ ৩৫ হাজার নারীর ক্যান্সারের ওপর গবেষণার পর তারা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।
গবেষক দলের প্রধান ম্যাথিউ ডে বলেন, ঐতিহাসিকভাবে দক্ষিণ এশিয়া ও নিম্নমানের আর্থসামাজিক অবস্থানের নারীদের ক্ষেত্রে ম্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম বলে মনে করা হত। কিন্তু তাদের গবেষণায় এর ভিন্ন ফল এসেছে।
এ ধরনের পরিবর্তনের সঠিক কারণ বিশেষজ্ঞদের কাছে অজানা। তবে কম সন্তান জন্ম দেয়া, ধূমপান করা, জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়া এবং অ্যাকোহল গ্রহণের মতো প্রবণতাগুলো এশীয় নারীদের স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী হতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।