আমি বাংলার...।
আল আমিন : ‘আপনি কি ইংরেজী ভাষায় কথা বলায় দক্ষ? যদি তা হয়, তবে যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা করতে পারেন; নয়তো আমরা আপনাকে ভিসা দেব না’ -হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে পার্লামেন্টে গত মাসে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য নতুন নিয়ম গুলো জানানোর সময় এভাবেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন ভিসা প্রত্যাশীদের।
টায়ার ফোর স্টুডেন্ট ভিসার জন্য করা নতুন নিয়মে সকল প্রতিষ্ঠান ভিসার নিয়মের ফাক ফোকর খুজে তাদের সুযোগ বন্ধ করা চেষ্ঠা করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে তিনি সবচেয়ে ভালদের জন্য যুক্তরাজ্যের ভিসার নিশ্চয়তা সহ ভিসার সংখ্যা ৮০,০০০ এ সীমাবদ্ধ রাখার কথা পূনব্যক্ত করেন।
২১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে যাওয়া ওই নতুন নীতিতে যে সকল শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে দীর্ঘকাল অবস্থান করবেন তাদের ভর্তি করার আগে শিক্ষার্থীদের স্পন্সর স্ট্যাটাস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
এর জন্য পাচটি এক্রিডিটিশন বডির দ্বারা শিক্ষার্থীদের স্পন্সর স্ট্যাটাস পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। এই নিয়মটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পূর্বেই তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যে পড়ালেখা করার জন্য তাদের যথেষ্ঠ অর্থ আছে। এবং তাদের ইংরেজী দক্ষতাও যথেষ্ঠ।
এই নিয়ম গুলোর প্রভাব সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর তেমন একটা পরবে না বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান পত্রিকা।
নতুন ঐ আইনে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার নিয়ন্ত্রিত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ পাবেনা।
এ প্রসংগে লন্ডন স্টাডি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিক বেরি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কেউ কেউ পার্ট-টাইম কাজ না করেই তাদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারলেও অনেকেই তা পরবে না। শিক্ষার্থীরা পার্ট-টাইম কাজ করতে চায় তার মানে এমনটি নয় যে তারা তাদের পকেট ভারী করছে। তারা শুধু মাত্র তাদের শিক্ষার ব্যয়ের বোঝা কমাতে চায়।
তার মানে এমনটি নয় যে তারা মেধাবী ও সবচেয়ে ভালদের মধ্যে পড়ে না।
এ দিকে ইউকে বর্ডার এজেন্সি(ইউকেবিএ) ভিসার জন্য এক্রিডিশন ইউকে শিক্ষার্থীদের ইংরেজীর মান নির্ধারক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচনা করছে না। ইউকেবিএ বর্তমানে অফস্টেড ও কিউএএ কে শিক্ষার্থীদের ইংরেজীর মান নির্ধারক প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে নতুন করা এই নীতিতে শিক্ষার্থীরা তাদের ফান্ড ও ভাষা দক্ষতা প্রমান করেই যুক্তরাজ্যে অবস্থান নিশ্চিত করতে পারবে না। যদি ইউকেবিএ অফিসার দের কাছে ওই শিক্ষার্থীদের ইংরেজীতে কথা বলার দক্ষতা যথেষ্ঠ বলে মনে না হয় তবে ইউকেবিএ তাদের যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা করার প্রকৃয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
এ ক্ষেত্রে নতুন ঐ নিয়মের সমালোচনা করে গার্ডিয়ান পত্রিকাটি জানায়, ইংরেজী দক্ষতার বৈধ সার্টিফিকেট থাকলেও ইউকেবিএ অফিসারেরা কোন শিক্ষার্থীর ভবিষৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। যদিও ইউকেবিএ অফিসারদেরই ইংরেজী কথা বলার দক্ষতা যাচাইয়ের কোন প্রশিক্ষণ নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।