যুক্তরাজ্যে প্রতিহিংসামূলক পর্নো বাড়ছে। এ ধরনের তত্পরতা বন্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কয়েকটি বেসরকারি ও দাতব্য সংস্থা।
আজ রোববার দ্য ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যে সাবেক সঙ্গীকে বিব্রত, অপমানিত ও হয়রানি করতে প্রতিশোধমূলকভাবে অনেকেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অতীত জীবনের খোলামেলা দৃশ্যের ভিডিও বা স্থিরচিত্র ইন্টারনেটে আপলোড করছেন।
পর্যবেক্ষণ ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের সেইফার ইন্টারনেট সেন্টার, দ্য ন্যাশনাল স্টকিং হেলপলাইন ও ওম্যান এইড নামের সংগঠনগুলো জানিয়েছে, দেশটিতে প্রতিশোধমূলক পর্নোর সমস্যাটি দিন দিন বেড়েই চলছে।
সেইফার ইন্টারনেট সেন্টারের কর্মকর্তা লুরা হিংগিস বিবিসিকে বলেছেন, গত ১২ মাসে এ ধরনের প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে বলে তাঁর সংস্থার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে।
এই সময়ে বিব্রত ও অপমানিত হয়ে অনেক ভুক্তভোগী তাঁদের কাছে সাহায্য ও পরামর্শ চেয়েছেন।
প্রতিহিংসামূলক পর্নো নিষিদ্ধ বা মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি ওই সংস্থাগুলো।
দেশটিতে প্রতিহিংসামূলক পর্নো বন্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও হয়রানির আইন আছে। প্রতিহিংসামূলক পর্নোর ক্ষেত্রে এ আইনগুলো প্রয়োগে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
বিভিন্ন জায়গায় প্রতিহিংসামূলক পর্নো নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।