একটা সময় ছিল যখন দেখা যেত বিমান কেনার চুক্তির সময় উৎকোচ … আর কার ভাগে কত .. ভাগে কে কত পেল, এসব ওপেন সিক্রেটই ছিল। ১৯৭৪ এর লকহিড পে-অফ ক্যলেঙ্কারি ফাস হয়ে যাওয়ার পর আরো বেশ কয়েকটি উৎকোচের ঘটনা প্রকাশিত হয়। টনক নড়ে মার্কিন জাষ্টিস ডিপার্টমেন্টের আর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। ১০-১২ বছর গবেষনা করে কঠিন সিষ্টেম তৈরি করা হয় যা প্রতি বছর আলোচনা করে আপডেট করা হয়। বর্তমানে কোন মার্কিন কম্পানি দেশে বা বিদেশে কোন অবৈধ লেনদেন ব্যাঙ্কিং চ্যানেলে করুক বা অন্য কোন পদ্ধতিতে করুক, ধরা পরবেই।
এর একট উদাহরন কোকো-তারেকের ধরা খাওয়া। সিমেন্স জার্মান কম্পানি হলেও এর টেলিকম উইং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালষ্ট্রিট এ রেজিস্টার্ড। উৎকোচের টাকা মামুন, কোকোর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে দেয়া হলেও তা FBI এর নজরে পড়েযায় এবং তারেকের নাম জরিয়ে যায়।
পরে সিমেন্স উচ্চ জরিমানা দিয়ে জেল থেকে রেহাই পায়।
বিমানের ‘অরুণ আলো’ নতুন Boeing 777-300 ER, বহরের ২য় উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার রাতে হজরত শাহজাহালাল আন্তর্জাতিক বিমানন্দরে এসে পৌঁছেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র শুক্রবার বলেন, ১৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে কেনা নতুন Boeing 777-300 ER উড়োজাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেল বোয়িং সদর দফতর থেকে ১৭ ঘন্টার নন-ষ্টপ ফ্লাই করে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ঢাকায় অবতরণ করে। দুই শ্রেণীর ৪১৯টি আসনযুক্ত দ্বিতীয় এই বোয়িংটি যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬। বিমান সূত্রে জানা যায়, ৪০ বছরের পুরনো ডিসি-১০ গুলোর জায়গায় পর্যায়ক্রমে স্থান পাবে বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজগুলো।
তার আগে ২৬ অক্টোবর ঢাকায় হজরত শাহজাহাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘পালকি’ নামের প্রথম উড়োজাহাজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উড়োজাহাজটির মাধ্যমে গত ২ নভেম্বর থেকে বিমান লন্ডন, ম্যানচেস্টার, রোম, মিলান এবং কুয়ালালামপুরের সঙ্গে বিরতিহীন সার্ভিস চালু করে।
।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি বোয়িং থেকে ৮টি উড়োজাহাজ কেনার জন্য প্রতিটি ১৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে বিমান ও বোয়িংয়ের মধ্যে চুক্তি হয়। পরবর্তিতে নির্বাচিত সরকার এই চুক্তিকে অনুমোদন দিয়ে আরো দু টি বাড়িয়ে মোট দশটি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার অর্ডার দেয়।
চতুর্থূ প্রজন্মের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজগুলোতে দুইটি GE 90-115 BL ইঞ্জিন আছে। এগুলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও টেকসই বাণিজ্যিক জেট ইঞ্জিন।
বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ সমপর্যায়ের উড়োজাহাজের তুলনায় শতকরা ১৯ ভাগ হালকা। এগুলোর জন্য জ্বালানি খরচও কম। এ উড়োজাজাহজের প্রতিটি আসনের বিপরীতে কার্বন ডাই-অক্সাইড শতকরা ২২ ভাগ কম উৎপন্ন হয়। প্রতিটি আসনের জন্য খরচও শতকরা ২০ ভাগ কম।
এই ক্র্য় চুক্তির অনুমদনের সময় বিমান মন্ত্রনালয়ের একদল ঘুষখোর সিনিয়র আমলার দল এই চুক্তির তিব্রো বিরধিতা করে।
তারা মার্কিন ব্যতিত অন্য দেশ থেকে বিমান সংগ্রহের পরামর্শ দেয়। বিরোধিতের মুল কারন প্রতিষঠিত মার্কিন কম্পানি অবৈধ লেন-দেন করতে পারে না। এই চক্রের সাথে জুটেযায় বিমানের টেকনিক্যাল কমিটি নামধারি সামরিক আমলা গ্রুপ। তাদের সংগবদ্ধ কুটচালে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী জিএম কাদের কোনঠাসা হয়ে পরেন। একপর্যায়ে পদত্যাগের উপক্রম হয়।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আবার কাজে ফিরে আসেন।
আবার সুরু হয়ে যায় ষড়যন্ত্র, মিলিয়ন ডলারের ব্যাপার, .. ..বিমান বাহিনির এক অবসরপ্রাপ্ত বিমান পরিচালনা বোর্ডের একজনের নেতৃত্যে আমলাতন্ত্র আওয়ামি কিছু সিনিয়র নেতা কে হাত করে। চাপ সৃষ্টি করে জিএম কাদেরের উপর, এবার শালা যাবি কোথায়?
এবার সয়ং হস্তক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। তত্তাবধায়ক সরকারের করা বোইং এর সাথে চুক্তি সুধু বহালই রাখেন নি, আরো দুটি বিমান যোগ করে মোট ১০ টি বিমানের অর্ডার দেন।
সংগবদ্ধ দুষ্কৃতিকারির দল গু্টিয়ে নেয় তাদের কুলষিত নখোর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।