আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন নতুন শপথ বাক্যে ভাসিয়ে দিবো দেশ

পৃথিবীতে অনেক মানুষ। সবারই দুটি চোখ কিন্তু এদের বেশিরভাগই অন্ধ। দেখুন অত:পর ভাবুন ! জ্ঞানী মাত্রই চিন্তাশীল ! দেশে বর্তমানে নিরপেক্ষ মিডিয়া কিংবা সংবাদমাধ্যম বলতে একটিও নেই। তাই সবরকম সংবাদপত্র পড়া ছেড়ে দিয়েছি। ফেসবুক ও ব্লগ থেকেই টুকটাক খবর সংগ্রহ করি।

কিন্তু আজকে দুপুরে প্রথম আলো খুলে প্রথম পৃষ্ঠায় বড় করে এই ছবিখানা দেখে কিছু প্রশ্ন জাগলো। প্রশ্নগুলো জ্ঞানীদের জন্য। ছাগু কিংবা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নয়। - স্মৃতিসৌধে যদি শপথ হয়ে থাকে, তবে স্মৃতিসৌধটি তাদের পিছনে কেন? - রাম খেটকি সহকারে দেশ গড়ার শপথ বাক্য কি আপনারা কখনও দেখেছেন নাকি? ৭১ এর শপথের ফুটেজগুলোতে কি এইরকম ভেকটি দেখেছেন? নাকি পাথরের ন্যায় দৃঢ় চোয়াল দেখেছেন? - যে শব্দগুলো দিয়ে এরা শপথ করেছে; অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক ও বৈষম্যমুক্ত শব্দগুলোর ব্যাখ্যা কি এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানে? - বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী বলতে এখানে প্রথম আলো কি বুঝাতে চায়? এ ছবির সবাইকেতো স্কুলবালিকা এবং একই স্কুলের দেখা যাচ্ছে। এবং এদের পিছনে যে আর কেউ নেই তাও লক্ষণীয়।

- দেশে শিক্ষার্থী বলতে কি শুধু মেয়েরা? আর দেশ গড়ার শপথও কি শুধু মেয়েরাই নিবে? আর ছেলেরা কি সব প্রথম আলোর অফিসে চাকরি করবে? নাকি এটা নতুন ধরনের সাম্যতা? প্রথম পেজে দেওয়ার মতো শপথ অনুষ্ঠানই যদি হয়ে থাকে তবে এই শপথ কে পড়িয়েছে? শিক্ষকরা নাকি প্রথম আলোর কম উচ্চতাসম্পন্ন এই ফটোগ্রাফার? এরা তো প্রতিদিনই এসেম্বলিতে শপথবাক্য পাঠ করে। এখানে এসে নতুন শব্দ সংযোজন করে দ্বিতীয় শপথবাক্যের হঠাৎ প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলো কেন? তবে কি এদেরকে দিয়ে প্রথম আলোর অন্তরের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছে নাকি? নাকি স্কুলে যা পড়নো হয় তা মৌলবাদআক্রান্ত শপথ? তাই যদি হয় স্কুলগুলোকে চার্জ করা হচ্ছে না কেন? ভন্ডামী করা মানায় গাঁজার আড্ডাখানায়; পত্রিকাঅফিসে বসে নয়!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.