কি বলব একাত্তরে হানাদার বাহিনী ঘরে ঘরে ঢুকে মানুষকে অত্যাচার করে বলত, "মুক্তি কাহা হ্যায়?" আর এখন প্রশাসন কতিপয় গোবর গণেশকে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তা বানানোর জন্য খুঁজে খুঁজে বলছে, "মুক্তি কাহা হ্যায়?"
" তুই কোটাধারী, তুই কোটাধারী, তুই দেশদ্রোহী তুই দেশদ্রোহী। তুই ও রাজাকার"
জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন 'মুক্তিযুদ্ধ' নিয়ে আর কতো ব্যবসা হবে, আর কতো তামাশা হবে ?
মুক্তিযুদ্ধ এদেশের জন্য পুরষ্কার নাকি অভিশাপ?
এত ভাল পরীক্ষা দিলাম, প্রায় ৭৬টা প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে আসলাম, পরিচিত প্রায় সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলাম, অথচ ফলাফল একটা আস্ত ঘোড়ার ডিম। হ্যাঁ, আমি ৩৪ তম বি.সি.এস-এর কথা বলছি। সদ্য অনুষ্ঠিত বি.সি.এস. পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই বুঝতে পেরেছিলাম যে এবার প্রতিযোগিতা খুব কঠিন হবে। কারণ, প্রশ্নপত্র ছিল অনেক সহজ।
যে কেউ কোন প্রিপারেশন ছাড়া পরীক্ষা দিলেও কম করে ৬০ পাবেই। তাই অন্যান্যবারের মত ৬০ নাম্বার পেয়ে এবার আর কেউ বিসিএস-এ চান্স পাচ্ছে না। তবুও যে পরীক্ষা দিয়েছি, মনে একটা অন্তত আশা ছিল যে প্রিলিতে চান্স পেলেও পেয়ে যেতে পারি। একেবারে খারাপ ছাত্র কোন কালেও ছিলাম না। আর পরিচিত যাদের সাথে কথা হয়েছে তাদের কেউই ৭০-৭৫ এর বেশি পায়নি।
তবুও অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু বিকালে যখন ফলাফল জানলাম, তখন একদম কষ্ট পাইনি মনে। কারণ, এবারের সহজ প্রশ্নে আমার মত অনেকেই ধারে-কাছে ভীড়তে পারবে না। তবে সন্ধ্যার পর আস্তে আস্তে মাথা খুলতে শুরু করল। যখন শুনলাম, এবার প্রিলিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একটা বিরাট অংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬০ নাম্বার পাইয়েই পাস করানো হয়েছে, তখন বুঝতে পারলাম যে কেন এবার এত সহজ প্রশ্ন করা হয়েছে।
গরু-গাধাগুলোকে সচিব-উপসচিব বানাতেই এই প্রচেষ্টা।
এবারে পরিচিতদের কেউ কেউ টিকে গেছে। আর তাদের বাবারা প্রত্যেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের এক একটা সার্টিফিকেটধারী। তবে সবচেয়ে অবাক হলাম এই ভেবে যে এদের অনেককেই আমি বিগত ১৫ বছর ধরে চিনি, অথচ কোনদিন জানাই ছিল না যে তাদের প্রত্যেকের বাবা মুক্তিযোদ্ধা। শালার খালি এক আমার বাপেই মুক্তিযোদ্ধা না।
:/ আমার বাপের ভুলের মাশুল এখন আমি দিচ্ছি। ইসস... আমার বাপটা কি ভুলটাই না করছে!!! একটা দুই নাম্বার সার্টিফিকেটও যদি যোগায় রাখত, তাইলে লোটা ভর্তি কোটায় আমার আজ কত বড় উপকারটাই না হত!!!
একাত্তরে হানাদার বাহিনী ঘরে ঘরে ঢুকে মানুষকে অত্যাচার করে বলত, "মুক্তি কাহা হ্যায়?" আর এখন প্রশাসন কতিপয় গোবর গণেশকে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তা বানানোর জন্য খুঁজে খুঁজে বলছে, "মুক্তি কাহা হ্যায়?" আমি তো ৪২ বছর আগের সেই দিনগুলোর সাথে আজকের কোন পার্থক্য দেখছি না। সবই তো একই শোষণকারীর দল।
যারা নিজের যোগ্যতায় টিকেছেন, তাদের মন থেকে অভিনন্দন। আর যারা অপেক্ষাকৃত কম নাম্বার পেয়েও বাপের সার্টিফিকেট দেখিয়ে চান্স পেয়েছেন, তাদের বলতে বাধ্য হচ্ছি, মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, কিন্তু তাদের সন্তানেরাই দেশের সবচেয়ে বড় অথর্ব, অশিক্ষিত, মূর্খ আর মেধাবিদের রক্তচোষা বাদুরের দল...
পুনশ্চঃ কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আঘাত পেয়ে থাকলে দূরে থাকেন।
মনে রাখবেন, কথাগুলো অপুষ্ট মস্তিস্কজাত অথর্ব হিসেবে আপনাকেই বলেছি, আপনার বাবাকে না।
আমাদের মতো সাধারন ছাত্রছাত্রী দের এতো হতাশা কই রাখব? আগে শুনতাম দেশদ্রোহীদের বলত" যুদ্ধাপরাধীদের বলত তুই রাজাকার, তুই রাজাকার"
সেই হিসাবে এই সব মুক্তিযোদ্ধার কোটা র সুবিধা ভোগীরাও সমান অপরাধী। কারন এরা দেশের সাধারন জনগণ কে ধোঁকা দিচ্ছে। তাই এদের ক্ষেত্রে ও এখি কথা " তুই কোটাধারী, তুই কোটাধারী, তুই দেশদ্রোহী তুই দেশদ্রোহী। তুই ও রাজাকার"
ভাই সব বিশেষ করে ঢাকা ভার্সিটি, ও এর আশেপাশে সবাই কে দ্রুত কিছু করতে হবে।
এই শেষ ৩ মাস এ যত পরীক্ষা হইছে, যেমনঃ ব্যাংক, বি,সি,এস, মন্ত্রণালয় সব পরীক্ষা র ফলাফল ইস্থগিত করতে হবে। কারন সব গুলো তে কোটা, প্রশ্ন ফাঁস, আগাম নিয়োগ এর মতো দুর্নীতি হইছে। সবার গন স্বাক্ষর এর সাথে হাই কোর্ট এ একটা রিট করলে , ভালো একটা তদন্ত হইলে আল্লাহ্ রহমতে আমাদের বেকার দের ভবিষ্যৎ ভালো হবে। আমরা ও আমাদের পরিবার এর এতো দিনের কষ্ট করে পড়ানোর কিছুটা মূল্য দিতে পারব......... দয়াকরে কিছু একটা করার ডাক দেন......। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।