সবাই কে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা । মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও ৭১ রের পরবর্তি সময়ে মৃত্যু বরণকারী সকল যোদ্ধাদের বিদেহী আত্নার মগফেরাত কামনা করছি। সকল যোদ্ধাদের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ করছি।
৫৫হাজার বর্গ মাইলের এই বঙ্গমাতৃকার সহজ সরল মানুষগুলোকে শোষক হানাদার দের বিষাক্ত ছোবল থেকে রক্ষা করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর নেতৃত্ব দীর্ঘ ৯ মাসের রক্র ক্ষয়ী অসম যোদ্ধে জয়ী হয়ে আজকের দিনে স্বাধীনতার অপুর্ব স্বাধ এনে দিয়ে ছিলেন আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধা গণ। বঞ্চিত এক জাতির সমাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জ্বত এবং আত্নত্যগের ফসল এজকের এই বাংলাদেশ।
আজকের এই দিনে নিজেকে খুব অসহায় এবং অভিশপ্ত মনে হচ্ছে! বিবেক বার বার দংশন করছে! বিবেক বার বার একটাই প্রশ্ন করছে এই বাংলাদেশের জন্যেই কি ৩০ লক্ষ মানুশের আত্নদান? ৭১ এর আগে একটা পক্ষ ছিল শোষক আর একটা পক্ষ ছিল শোষিত। আর্থসামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা, সাংকৃতিক সব কিছুতের ছিল আকাশ পাতাল ব্যবধান। ভাষা, সংকৃতির ক্ষেত্রে ও ছিল চরম আগ্রাসন, যার ফলে চাপিয়ে দেওয়া এক অসম যুদ্ধে বাঙ্গালীদের অবর্তীণ হতে হয়।
অতি দুঃখের সহিত আজ বলতে হচ্ছে আজ আমরা কার সাথে, কার স্বার্থে যোদ্ধে লিপ্ত হলাম? এত সুন্দর একটা দেশ, যার মাটিতে বীজ পরলে বিনা শ্রমে ফসল হয়, যে দেশের মানুষ রাত দিন সমানে কাজ করে তার মধ্যে এত হানা হানি কেন?
একটা সুস্পষ্ট অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা আজ আমরা অদৃশ্য শক্তির দুর্বার আঘাতে ক্ষমতার লোভে ধংস করে দিচ্ছি। ৪২ বছর পর আজও একটা অপশক্তি দেশটাকে অভিবক্ত পাকস্থান ভাবে, স্বনির্ভর অপর একটা শক্তিই আবার এদের মাথায় নিয়ে পরম যত্নে লালন পালন করছে।
আবার সদ্যজন্ম নেওয়া একটা দেশের কর্ণদ্বার তার দেশে না প্রবেশ করে তার ঘাড়ের বোঝা নামাবার জন্য সহযোগি দের কাছে ছুটে যায়, তার উত্তোরাধিকারীরাই অপশক্তির সহযোগিতা নেয়। তারা একটুও ভাবে না যে বিষধর কালসাপের বিষদাঁত কখনও নিঃশেষ হয় না। যেকোন সময় ছোবল মারবে।
৯০সালে স্বৈরাচার কে সবাই নিলে অপসারন করল, ঠিক ৬ বছর পর সব ভুলে গিয়ে সেই দেশদ্রোহী, স্বৈরাচার সহ একমঞ্চে বসা হল। কিছুদিন পর আবার স্বৈরাচারের সাথে সংসার শুরু করা ,আরেক দলের দেশদ্রোহীদের সাথে সংসার।
কষ্ট লাগে অনেক কষ্ট!!
৪৩ তম বিজয় দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর কাছে বিনম্র নিবেদন, অনুগ্রহ পূর্বক আপনারা দুইজন একসাথে বসেন এবং বঙ্গমাতাকে সুন্দর ভবিষ্যৎ এর দিকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।