ছন্দহীন জীবন বড়ই নীরস আগের পর্বের জন্য Click This Link
৪.ঙ
কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার—আজ দারোয়ান ওকে সালাম দিলো। দারোয়ানকে এজন্য আবার জিজ্ঞেস করতেও হলো, ‘কেমন আছেন?’ দারোয়ান ভালো বললো। বের হওয়ার সময়ও আবার সালাম দিলো। মনটা আরো অনেক ভালো হয়ে গেলো সাইফুলের। কিন্তু ঘোর কাটলো না।
ব্যাপারটা কী? এরা আবার মোবাইল কোম্পানির কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়ে এলো না কি? মোবাইল কোম্পানি টাকা কাটলেও ওদের এজেন্টদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে। আর রাজনীতিবিদদের কথা এখানে-সেখানে মাগনা শুনতে পাওয়া গেলেও তা ভালো লাগে না।
হেড ওফিশ থেকে বের হয়ে ঘড়ির দিকে তাকানোর পর বিষয়টা পরিষ্কার হলো। ও যখন ঢুকেছে, তখন হেড ওফিশের বড় স্যাররাও ওফিশে এসেছেন। সেজন্যই দারোয়ানদের এমন আদব।
এখন বাজে দশটা দশ। বন্ধুদের অনেকেই মতিঝিল চলে এসেছে। তবে কারো ওফিশে যাওয়া যাবে না। সেলিমের ওফিশে গেলে আবার ওর বসের কাছে ওকে জবাবদিহি করতে হয় অসময়ে মেহমান আসার কারণে। তাই এখন যেতে হবে ব্যবসায়ী বন্ধুদের কাছে।
ওরা সবসময়ই দিলখোলা। আলমগীরের কাছেই যাওয়া যায়। আলমগীর স্টেশনারি দোকান দিয়ে বসেছে। চিপা দোকান; কিন্তু সবসময় জমজমাট। এর কারণ দুটো।
ও সবকিছুর একদাম চায়; কিন্তু অন্যদের চেয়ে দু-এক টাকা কম রাখে। আর ওর দোকানে কেউ গিয়ে আগে সালাম দিতে পারে না। ও অথবা ওর কর্মচারী সালাম দিয়ে মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করবে, কেমন আছেন?
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন স্যার?
নাহ, আজকেও পারা গেলো না। সাইফুল সালামের জবাব দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, হ্যাঁ, ভালো।
তোমাদের মহাজন কোথায়?
আছে ভেতরেই। দোকানের ভেতর থেকে জবাব এলো। সাইফুল উঁকি দিয়ে দেখলো সেলিম নিচে বসে শোকেসের মাল সাজাচ্ছে।
কাস্টমার এসেছে তো।
দোকানদারও তো আছে।
কাস্টমার বললেই পারে কী লাগবে।
লাগবে তেল মোছার কাগজ।
কাগজ দিয়ে কি তেল মুছে শেষ করা যায়? এজন্য তো ন্যাকড়া লাগবে। সবচেয়ে ভালো হয় ন্যাপকিন হলে। সাইফুল ভেতরে ঢুকে বসার পর সেলিম বললো, আর স্পেশাল ন্যাপকিন তো তোদের ওখানেই তৈরি হয়।
সাইফুল কপাল কুঁচকালো। মানে?
কেন, রূপসীতে হেলথ অ্যান্ড হাইজিন প্রোডাক্টস আছে না?
ওরে শয়তান! সেলিমের কান ধরে টান দিলো সাইফুল।
চলবে... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।