আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিয়াল কি কখনো মুরগীর বন্ধু হয়? কিংবা বাঘ হরিণের?

দক্ষিণ এশিয়ার দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হলে যুক্তরাষ্ট্র কার পক্ষ নেবে? এই প্রশ্নের উত্তর এতদিন সবার কাছে পরিষ্কার ছিল। পাকিস্তানই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সেই হিসেব ইদানিংকালে পাল্টে যেতে শুরু করেছে। এবং হিসেব বদলে যাওয়ার হিসেবটাও পানির মতো পরিষ্কার। ৯/১১ নিজেই সৃষ্টি করে মুসলিম বিরোধী ক্রুসেড শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে।

সেই নীতির আওতায় মুসলিম নামধারী বিশ্বের প্রতিটি জীব যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু। তবে সব শত্রুকে যেহেতু একই সঙ্গে শায়েস্তা করা সম্ভব নয়, সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে টার্গেট করে আফগানিস্তানকে। আফগানিস্তানকে শায়েস্তা করার কাজে আগে থেকে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আনা সেক্যুলার প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে কাজে লাগানো হয়। পাকিস্তান হয়ে ওঠে দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র?! কিন্তু সে ঘটনার ১০ বছরের মাথায় যুক্তরাষ্ট্র তার মানচিত্রের তালিকা থেকে ভারত-পাকিস্তানের মানচিত্র মুছে ফেলেছে। কারণ, ওই মানচিত্রে ভারতের ইচ্ছেমতো কাশ্মিরকে চিহ্নিত করা হয়নি।

Click This Link কিন্তু আমার প্রশ্ন- একটি দেশ যখন এক লহমায় আরেকটি দেশকে গিলে খেয়ে ফেলতে পারে, তখন এই দু'টি দেশের মধ্যে কি বন্ধুত্ব সম্ভব? শিয়াল যদি মুরগীকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেয়, ভারত যদি বাংলাদেশকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেয়, তখন এ প্রস্তাবটিকে কীভাবে নেয়া উচিত? প্রশ্ন উঠতে পারে, মুরগীকে বেঁচে থাকতে হলে তো শিয়ালের সঙ্গে আপোষ করতেই হবে, এর অন্যথা কীভাবে সম্ভব? উত্তর হচ্ছে- মুরগী ও হরিণকে শিয়াল এবং বাঘের নৃশংস থাবার হাত থেকে পালিয়ে পালিয়েই বাঁচতে হবে এবং শিয়াল ও বাঘকে শায়েস্তা করার কৌশল খুঁজতে হবে। পুঁচকে খরগোশ কৌশলেই বনের রাজা সিংহকে কুয়োয় ফেলতে পেরেছিল। সিংহের সঙ্গে বন্ধুত্বের ফলস্বরূপ এর আগে প্রতিদিন একটি করে বন্য জন্তুকে তার গ্রাস হতে হয়েছে। বুদ্ধিমানেরা এখান থেকে কিছুটা হলেও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।