এই গল্পের গরুর বাচ্চা হলো মানিকগঞ্জ জিলার সাভার উপজেলার ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহাদত হোসেন খান আর লোভী শিয়াল হলো সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অনারারী ক্যাপ্টেন মো. আবুল হাশেম। আর মুরগীর বাচ্চা হলো দরিদ্র চা বিক্রেতা আলফাজ উদ্দিন। ঐ গরুর বাচ্চা আলফাজ উদ্দিনের নাম কেটে দিয়ে বয়স্ক ভাতা তালিকায় ধনাঢ্য ব্যক্তি লোভী শিয়ালের নাম তালিকাভুক্ত করে। তিন তিনটি বাড়ীর মালিক ঐ শিয়াল নির্লজ্জের মতো ২৩ ডিসেম্বর, ২০০৯ইং সকালে জনতা ব্যাংক, সাভার গণস্বাস্থ্য শাখা থেকে ছয় মাসের বয়স্ক ভাতা তুলে নিয়ে আসে। (২ জানুয়ারী, ২০১০ ইং-র দৈনিক প্রথম আলো-র ৫ম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবর)। শুধুমাত্র তদ্বিরের অভাবেই ঐ দরিদ্র চা বিক্রেতা ঐ ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই সমাজ যতদিন পর্যন্ত এ ধরণের গরুর বাচ্চাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে, ততদিনই আবুল হাশেমের মতো লোভী শিয়ালেরা এমনি করেই পরের মুরগী চুরি করতে থাকবেই। এ ব্যাপারে সরকার নয়, জনসাধারণকেই এগিয়ে আসতে হবে। ঐ এলাকার সচেতন জনগণ একত্রিত হয়ে ঐ গরুর বাচ্চা ও শিয়ালটিকে আচ্ছাসে ধোলাই দিলে এধরণের কাজ যে বন্ধ হবে, তাতে কোন সংশয় নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।