আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিনটিন

দু:খিত, আপনি যে ব্লগটি ভিজিট করছেন, তার ব্লগার বর্তমানে ব্যস্ত আছে। অনুগ্রহ করে কিছু দিন পর আবার ভিজিট করুন। ধন্যবাদ ছেলেটার মা-বাবা নেই। একা থাকে একটা বাড়িতে। সঙ্গী বলতে স্নোয়ি নামের একটা কুকুর আর দুই বন্ধু ক্যাপ্টেন হ্যাডক ও প্রফেসর ক্যালকুলাস।

আর বয়স? কেউ বলে ১৪-১৫, কেউ ১৭। বাড়ি? প্রথম দিকে জানতাম, ও বেলজিয়াম থেকে এসেছে। কিন্তু ও নিজে তো বলতেই চায় না বাড়ির কথা। অত সময়ই নেই। অতটুকুন ছেলে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতেই বেশি ব্যস্ত।

অ্যাডভেঞ্চার ছাড়া থাকতেই পারে না। একমাত্র কাজ হলো সাংবাদিকদের মতো খবর খুঁজে বের করা। রহস্যের কিনারা করতেই সময় পার করে বেশি। এর ওপর আবার পারে না এমন কোনো কাজই নেই। মোটরসাইকেল, গাড়ি, এমনকি বিমান-হেলিকপ্টারও চালায়! কাউকে ডরায় না।

মন্দ লোকের খপ্পরে পড়লে মারামারি করতেও ছাড়ে না। ওহহো, ছেলেটার নামই তো বলা হয়নি। বাড়ির ঠিকানা না থাকুক, তার একটা নাম কিন্তু আছে। টিনটিন। পাক্কা ৮২ বছর ছেলেটা দৌড়ে বেড়িয়েছে কমিকের পাতায়।

সেই ১৯২৯ সাল থেকে! একফোঁটা বড় হয়নি কিন্তু! এখনো একেবারে ছটফটে কিশোর। টিনটিনের স্রষ্টা সবাই তাঁকে চেনে Hergé (হার্জে) নামে। এটা কিন্তু ভদ্রলোকের আসল নাম নয়, ছদ্মনাম। মা-বাবা তাঁর নাম দিয়েছিলেন Georges Prosper Remi (জর্জ প্রসপার রেমি)। বেলজীয় এই শিল্পী বালক বয়সেই যোগ দিয়েছেন বয় স্কাউটে।

স্কাউটিং করার সময় আসলে জর্জের ভবিষ্যৎ জীবনের চিন্তাভাবনাটা একেবারে বদলে যায়। এমনকি এটাও বলা হয়ে থাকে, তাঁর অমর সৃষ্টি টিনটিনের চরিত্রেও বয় স্কাউটের ছাপ পাওয়া যায়। স্কাউটিংয়ের সূত্র ধরেই বলা যায় জর্জের আঁকাআঁকির সূত্রপাত। 'লে বয় স্কাউট বেলাজ' নামের একটা স্কাউটিং ম্যাগাজিনে নিয়ে আসেন 'টোটোর' নামের কার্টুন চরিত্র। এটিকে বলা যায় টিনটিনের পূর্বসূরি।

তবে এ চরিত্রটি তেমন একটা বিকশিত হতে পারেনি। কেননা বেলজিয়ামের সে সময়কার স্বনামধন্য এক পত্রিকার সম্পাদক তাঁকে সে পত্রিকায় কাজ করতে বললেন। জর্জকে সে পত্রিকার তরুণদের পাতা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হলো। 'লে পিটিট ভিংটিমে' নামের ওই পাতায় ১৯২৯ সালের ১০ জানুয়ারি আবির্ভাব হয় দুঁদে গোয়েন্দা টিনটিনের। আর সেটা ছিল টিনটিনের রুশদেশে অভিযান।

প্রথম অভিযানেই দারুণ জনপ্রিয় হয় টিনটিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টিনটিন তার ইচ্ছামতো অভিযান করা শুরু করে। তখন জর্জ টিনটিন ম্যাগাজিন প্রকাশ করা শুরু করেন। এতে টিনটিনের জনপ্রিয়তা আরো বাড়তে থাকে। ১৯৫০ সালের দিকে জর্জ নিজের স্টুডিও করেন।

তিনি ছিলেন কাজপাগল লোক। তাই বলে একা সব কাজ করা সম্ভব? পুরনো ও সাদাকালো টিনটিনগুলো আবার নতুন করে আঁকা আর রঙিন করার কাজ চলছিল। তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন বব ডি মুর, জ্যাকুয়েস মার্টিন, রজার লিলুপ ও এডগার পি জ্যাকবস। পরে তাঁরা নিজেরাই আলাদা কমিক সিরিজ চালু করেছিলেন। টিনটিনের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের চাপও বাড়ছিল।

আর এই অতিরিক্ত চাপ জর্জকে বিষাদগ্রস্ত করে ফেলে। তাঁর করা শেষ টিনটিন হচ্ছে 'টিনটিন অ্যান্ড দ্য পিকারোস'। এটি প্রকাশের ৯ বছরের মাথায়, অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে মারা যান বিখ্যাত এই শিল্পী। টিনটিনের বইগুলো হার্জে টিনটিনের ২৪টি বই লেখেন। তবে শেষের বইটা শেষ করে যেতে পারেননি।

বইগুলো হচ্ছে- ১. Les Aventures de Tintin, reporter du "Petit Vingtième", au pays des Soviets (1929–1930, 1930) Tintin in the Land of the Soviets সোভিয়েত দেশে টিনটিন ২.Tintin au Congo (1930–1931, 1931, 1946) Tintin in the Congo কঙ্গোয় টিনটিন ৩. Tintin en Amérique (1931–1932, 1932, 1945) Tintin in America আমেরিকায় টিনটিন ৪. Les Cigares du pharaon (1932–1934, 1934, 1955) Cigars of the Pharaoh ফারাওয়ের চুরুট ৫. Le Lotus bleu (1934–1935, 1936, 1946) The Blue Lotus নীলকমল ৬. L'Oreille cassée (1935–1937, 1937, 1943) The Broken Ear কানভাঙা মূর্তি ৭. L'Île Noire (1937–1938, 1938, 1943, 1966) The Black Island কৃষ্ণদ্বীপের রহস্য ৮. Le Sceptre d'Ottokar (1938–1939, 1939, 1947) King Ottokar's Sceptre ওটোকারের রাজদণ্ড ৯. Le Crabe aux pinces d'or (1940–1941, 1941, 1943) The Crab with the Golden Claws কাঁকড়া-রহস্য ১০. L'Étoile mystérieuse (1941–1942, 1942) The Shooting Star আশ্চর্য উল্কা ১১. Le Secret de la Licorne (1942–1943, 1943) The Secret of the Unicorn বোম্বেটে জাহাজ ১২. Le Trésor de Rackham le Rouge (1943, 1944) Red Rackham's Treasure লাল বোম্বেটের গুপ্তধন ১৩. Les 7 boules de cristal (1943–1946, 1948) The Seven Crystal Balls মমির অভিশাপ ১৪. Le Temple du Soleil (1946–1948, 1949) Prisoners of the Sun সূর্যদেবের বন্দি ১৫. Tintin au pays de l'or noir (1948–1950, 1950, 1971) Land of Black Gold কালো সোনার দেশে ১৬. Objectif Lune (1950–1953, 1953) Destination Moon চন্দ্রলোকে অভিযান ১৭. On a marché sur la Lune (1950–1953, 1954) Explorers on the Moon |চাঁদে টিনটিন ১৮. L'Affaire Tournesol (1954–1956, 1956) The Calculus Affair ক্যালকুলাসের কাণ্ড ১৯. Coke en stock (1956–1958, 1958) The Red Sea Sharks লোহিত সাগরের হাঙর ২০. Tintin au Tibet (1958–1959, 1960) Tintin in Tibet তিব্বতে টিনটিন ২১. Les Bijoux de la Castafiore (1961–1962, 1963) The Castafiore Emerald পান্না কোথায় ২২. Vol 714 pour Sydney (1966–1967, 1968) Flight 714 ফ্লাইট ৭১৪ ২৩. Tintin et les Picaros (1975–1976, 1976) Tintin and the Picaros বিপ্লবীদের দঙ্গলে ২৪. Tintin et l'alph-art (1986, 2004) Tintin and Alph-Art আলফাকলা ও টিনটিন ডাউনলোড- English Version , বাংলা ভার্সন টিনটিনের উল্লেখযোগ্য চরিত্র Tintin টিনটিন খুদে সাংবাদিক। অ্যাডভেঞ্চার অব টিনটিন সিরিজের নায়ক। একজন রিপোর্টার আর অভিযানপ্রিয় মানুষ। দুনিয়ার অনেক দেশে নানা অভিযানে অংশ নিয়েছে। প্রথম দিকে টিনটিনের মডেল হিসেবে ছোট ভাই পল রেমিকে বেছে নিয়েছিলেন হার্জে।

পল ছিল একজন সৈনিক। শেষে পলকে দাঁড় করালেন খল চরিত্র কর্নেল স্পঞ্জ হিসেবে। ভিলেন স্পঞ্জের দেখা মেলে ক্যালকুলাসের কাণ্ডে। এরপর টিনটিন হিসেবে ভাবতে থাকেন অভিনেতা পল হাডকে। এরও পরে আরো অনেককেই টিনটিনের মডেল হিসেবে কল্পনা করেন হার্জে।

তবে শুরুটা করেছিলেন ছোট ভাই পলকে দিয়ে। Milou Snowy স্নোয়ি ফরাসি নাম মিলোউ। স্নোয়ি হচ্ছে ওয়াইর ফঙ্ টেরিয়ার জাতের কুকুর। সাদা। ওর সব অভিযানের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।

দুজনের বন্ধুত্ব গভীর। দুজনই একে অন্যকে বহুবার রক্ষা করেছে। chevalier de Hadoque Captain Archibald Haddock ক্যাপ্টেন হ্যাডক সিরিজের নবম বই ক্র্যাব উইথ দ্য গোল্ডেন ক্লস বা কাঁকড়া-রহস্য নামের বইতে পাঠকের সঙ্গে পরিচয় হয় রগচটা, উন্নাসিক ও খিটখিটে স্বভাবের নাবিক ক্যাপ্টেন হ্যাডকের সঙ্গে। পুরো নাম ক্যাপ্টেন আর্চিবল্ড হ্যাডক। টিনটিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

তবে মদ খেয়ে সব সময় মাতাল হয়ে থাকে। Tchang Tchong-Jen Chang Chong-Chen চ্যাং চ্যাং-চেন চ্যাং চ্যাং-চেনের প্রথম আগমন ঘটে ১৯৩৬ সালে দ্য ব্লু লোটাস বা নীলকমল বইতে। টিনটিন আর চ্যাং ছিল বন্ধু। খুব অল্প সময়ের পরিচয়েও গভীর বন্ধুত্ব হয়েছিল। বিদায়ের সময় দুজনের চোখেই ছিল পানি।

মজার ঘটনা হলো, ঝ্যাং চংগ্রেন নামের এক বন্ধু ছিল হার্জের। সেই বন্ধুর অনুকরণেই সৃষ্টি করেছেন চ্যাং চ্যাংকে। Professeur Tryphon Tournesol Professor Cuthbert Calculus প্রফেসর ক্যালকুলাস ভুলোমনা প্রফেসর। পুরো নাম প্রফেসর কাথবার্ট ক্যালকুলাস। কানে কম শোনেন।

তিনি বেশ কিছু জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন, যেগুলো টিনটিনের অভিযানে কাজে লেগেছে; যেমন_শার্ক আকারের সাবমেরিন, চাঁদের রকেট, আলট্রাসাউন্ড অস্ত্র ইত্যাদি। ক্যালকুলাসের প্রথম আগমন ঘটে রেড রকম্যানস ট্রেজার বা লাল বোম্বেটের গুপ্তধন নামের বইতে। Dupont et Dupond Thomson and Thompson থম্পসন এবং থম্পসন মূল ফরাসিতে এদের নাম দুঁপো এ দুঁপো। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের আনাড়ি গোয়েন্দা। কথা বলার সময় ওলটপালট করে ফেলত শব্দ।

তাদের কাজের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। হরহামেশাই নানা দুর্ঘটনায় পড়ত। আর বেশির ভাগ সময় টিনটিনকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করত। তাদের প্রথম আগমন ঘটে সিগারস অব দ্য ফারাও বা ফারাওয়ের চুরুট বইতে। Bianca Castafiore বিনাকা ক্যাস্টাফিওর মিলানের নাইটিঙ্গেল নামে তাঁর খ্যাতি।

খুব মিষ্টি গলা। প্রফেসর ক্যালকুলাসের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কোথাও গেলে সঙ্গে থাকত পিয়ানোবাদক ইগর ওয়াগনার ও চাকরানি ইরমা। প্রথম তার দেখা মেলে কিং অটোকারস স্ক্যাপচার বা ওটোকারের রাজদণ্ড বইতে। Nestor নেস্টর ক্যাপ্টেন হ্যাডকের খানসামা নেস্টর।

সে সৎ, বিশ্বস্ত ও অনুগত। আবার ঘরকুনো। ঘরে থেকে মনিবের দেখাশোনা করাই তার ব্রত। একজন চাকরের যে ধরনের গুণ থাকা দরকার, সবই আছে তার। প্রথম তার দেখা মেলে সেকরেট অব দ্য ইউনিকর্ন বা বোম্বেটে জাহাজ বইতে।

খলনায়ক যারা Roberto Rastapopoulos রবার্তো রাস্তাপপুলাস খুব ধনী রাস্তাপপুলাস। তার একটা মেকি নাম আছে_মার্কুইস ডি গরজনজোলা। টিনটিনের জাত শত্রু রাস্তাপপুলাসের প্রথম দেখা মেলে সিগারস অব দ্য ফারাও বা ফারাওয়ের চুরুট বইতে। আর টিনটিনের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় নৌকায়। রাস্তাপপুলাস তখন বেশ রাগান্বিত হয়ে টিনটিনকে বলেছিল, 'এটাই আমাদের শেষ দেখা নয়, আরো দেখা হবে।

' যদিও কোনো কোনো জায়গায় টিনটিনকে সাহায্যও করেছিল। নানা দুষ্কর্মের জন্য বিখ্যাত সে। পয়সার জন্য করতে পারত না, এমন কোনো কাজ নেই। মাদক ব্যবসা, চোরাচালান, অপহরণ, মানুষ বেচাকেনা_সব করেছে সে। Allan Thompson অ্যালান থম্পসন ক্যাপ্টেন হ্যাডকের সহকর্মী।

তবে একসময় সে জড়িয়ে পড়ে চোরাচালানসহ নানা ধরনের অপকর্মে। সে ছিল রাস্তাপপুলাসের সহযোগী। তবে দ্য ক্র্যাব উইথ দ্য গোল্ডেন ক্লজ বা কাঁকড়া-রহস্যে সে কাজ করেছিল ওমর বিন সালিদের হয়ে। Colonel Jorgen কর্নেল জর্জেন পুরো নাম কর্নেল বরিস জর্জেন। তবে কখনো এই নাম ব্যবহার করা হয়নি।

সিলাদাভিয়া আর্মির সৈনিক। ছোট ছোট চুল, এক চোখে পট্টি বাঁধা। টিনটিনের গোপন শত্রু ছিল সে। টিনটিনের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয় ওটোকারের রাজদণ্ডে। দুষ্ট জর্জেন এঙ্প্লোরারস অন দ্য মুন বা চাঁদে টিনটিনে বড্ড ভুগিয়েছিল টিনটিনকে।

একটা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালে মহাশূন্যেই ফেলে রেখে আসা হয়েছে তাকে। Colonel Sponsz কর্নেল স্পঞ্জ কালো চুলের কর্নেল স্পঞ্জ ছিল জহদের পুলিশ বিভাগের প্রধান। আর বরদুরিয়ার পুলিশের গুপ্তচর বিভাগের প্রধান। ক্যালকুলাস অ্যফেয়ার্স বা ক্যালকুলাসের কাণ্ডে তার প্রথম আগমন। Doctor Krollspell ডাক্তার ক্রলসপেল ডাক্তার ক্রলসপেল ছিল রাস্তাপপুলাসের একজন সহযোগী।

১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ফ্লাইট ৭১৪ নামের বইতে তার প্রথম আবির্ভাব। কেউ কেউ মনে করেন, সাবেক নাৎসি বিজ্ঞানী জোসেফ ম্যাঙ্গেলের অনুকরণেই হার্জে ক্রলসপেলকে সৃষ্টি করেছেন। নাৎসি জোসেফ এতই ভয়ানক ছিল যে তার উপনাম ছিল অ্যাঞ্জেল অব ডেড। General Tapioca জেনারেল ট্যাপিওকা টিনটিনের বন্ধু জেনারেল অ্যালকাজারের শত্রু হচ্ছে জেনারেল ট্যাপিওকা। অ্যালকাজার আর ট্যাপিওকা দুজনই ছিল সাউথ আমেরিকান রিপাবলিক আর্মির জেনারেল।

সব সময় দুষ্ট চিন্তা করত। সবাইকে বিপদে ফেলতে পারলেই যেন তার শান্তি। মেজাজটাও ছিল বেশ উগ্র। অন্যান্য চরিত্রগুলো- Alfredo Topolino Alonso Perez and Ramon Bada Aristides Silk Arturo Benedetto Giovanni Giuseppe Pietro Arcangelo Alfredo Cartoffoli da Milano Bab El Ehr Balthazar's Parrot Bobby Smiles Captain Chester Chiquito Christopher Willoughby-Drupe and Marco Rizotto Corporal Diaz Cutts the Butcher Doctor J. W. Müller Doctor Patella Endaddine Akass Frank Wolff General Alcazar Huascar Igor Wagner Irma Ivan Ivanovitch Sakharine J. M. Dawson Jolyon Wagg King Muskar XII Krônik and Klûmsi Kûrvi-Tasch Laszlo Carreidas Mik Kanrokitoff Miller Mitsuhirato Mohammed ben Kalish Ezab and Abdullah Mr. Bohlwinkel Mr. Bolt Oliveira de Figueira Omar Ben Salaad Pablo Paolo Colombani Philippulus Piotr Skut Professor Decimus Phostle Professor Hector Alembick Puschov R. W. Trickler Rascar Capac Red Rackham Ridgewell Sanders-Hardiman Expedition members Sir Francis Haddock Sophocles Sarcophagus Spalding Tharkey The Arumbayas The Bird brothers The Fakir The Sondonesians Tintin's Double W. R. Gibbons Wang Chen-Yee Zorrino ব্রাসেলসের স্টকাল মেট্রো স্টেশনের ১৩৫ মিটার দেয়ালের দুই পাশেই দেখা যাবে টিনটিন থেকে উঠে আসা এসব চরিত্র। কেউ দৌড়াচ্ছে, কেউ হাঁটছে, কেউ দাঁড়িয়ে আছে।

মানে টিনটিন বইতে ঠিক যেমন থাকে, তেমনি। মাটির তলার ওই স্টেশনটাই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে টিনটিনের চরিত্র জাদুঘর। হার্জে নিজেই এসব চরিত্রের ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন সেই ১৯৮৩ সালে_মৃত্যুর কিছুদিন আগে। কিন্তু সব ছবি আঁকা শেষ করতে পারেননি। এরপর হার্জে স্টুডিও ও কার্টুন আঁকিয়ে বব ডি মুর মিলে ছবিগুলো আঁকা শেষ করেন।

১৯৮৮ সালের ৩১ আগস্ট উদ্বোধন করা হয় টিনটিনের মজার এই জাদুঘর। টিনটিনের মুভি টিনটিন নিয়ে বেশ কয়েকটি ফ্রেঞ্চ মুভি নির্মিত হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- The Crab with the Golden Claws (1947) (টিনটিন নিয়ে প্রথম মুভি) Tintin and the Golden Fleece (1961) Tintin and the Blue Oranges (1964) Tintin and the Temple of the Sun (1969) Tintin and the Lake of Sharks (1972) The Adventures of Tintin (2011) দুরন্ত-দুর্বার কিশোর অভিযাত্রীকে নিয়ে ফাটাফাটি একটা থ্রিডি কার্টুন ছবি বানালেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। ছবির নাম 'দি অ্যাডভেঞ্চারস অব টিনটিন : দ্য সিক্রেট অব দ্য ইউনিকর্ন'। ছবির মূল কাহিনী বলার আগে একটা গল্প না বললেই নয়।

১৯৮৩ সাল। লন্ডনে তখন তুমুল জনপ্রিয় ছবি ইন্ডিয়ানা জোনস সিরিজের দ্বিতীয় পর্বের শুটিং করছিলেন স্পিলবার্গ। এর কিছুদিন আগেও তিনি টিনটিনকে চিনতেন না, শুধু নামটাই শুনে আসছিলেন। তবে এটুকু জানতেন যে ওয়ান্ডারল্যান্ডের সেই অ্যালিসের মতো টিনটিনও একটা জনপ্রিয় চরিত্র। হার্জে নামের এক বুড়ো হচ্ছেন ওই কমিকের লেখক ও আঁকিয়ে।

তো, সেই হার্জে মশাইয়ের সঙ্গে কী করে যেন দেখা হয়ে গেল স্পিলবার্গের। হার্জে চাইলেন তাঁর কমিক যেহেতু গোটা দুনিয়ায় জনপ্রিয়, তাই সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিচালকই তাঁর চরিত্র নিয়ে ছবি বানাক। তাঁর ইচ্ছার কথা জানতেই স্পিলবার্গ দিয়ে বসলেন কথা। যে করেই হোক টিনটিনকে নিয়ে তিনিই সবার আগে ছবি বানাবেন। সবাই আশায় আশায় দিন গুনতে শুরু করে দিল।

একে একে কেটে গেল ২৮টি বছর! তখন যারা কিশোর ছিল, তারা হয়ে গেল প্রবীণ। যাদের জন্ম হয়েছিল, তারাও অপেক্ষা করতে করতে পেরিয়ে গেল কৈশোর। সেই হিসাবে ভেবে দেখো, আমরা কত ভাগ্যবান! নিজেদের প্রিয় হিরোর ছবিটা একেবারে থ্রিডি পর্দায় থ্রিডি অ্যানিমেশন আকারে পেয়ে গেলাম। তিনটি কাহিনী মিলে তৈরি হয়েছে 'দি অ্যাডভেঞ্চার অব টিনটিন' সিনেমাটি। কাহিনী তিনটি হচ্ছে দ্য ক্র্যাব উইথ দ্য গোল্ডেন ক্লস, দ্য সেকরেট অব দ্য ইউনিকর্ন এবং রেড র‌্যাকহ্যামস ট্রেজার।

তিনটি কাহিনী মিলিয়ে সিনেমার জন্য একটি কাহিনী তৈরি করেছেন স্টিভেন মফাট, এডগার রাইট ও জো করনিশ। এ ছবির গল্পটা হলো গুপ্তধন খোঁজা নিয়ে। ইউনিকর্ন নামের একটা জাহাজ কেনে টিনটিন। ভেবেছিল শাখারাইন নামের এক লোক জাহাজটা কিনবে। কিন্তু টিনটিন আর তার বন্ধু হ্যাডককে আটকে রাখে দুষ্ট শাখারাইন।

ইউনিকর্ন নিয়ে যায় মরক্কোর দিকে। সেখানে পেঁৗছতেই পালিয়ে যায় টিনটিন ও তার দল। মরক্কোর এক শেখের দরবারে যায় ওরা। কেননা ওই শেখের কাছেই রয়েছে ইউনিকর্নের আরেকটি মডেল। ইউনিকর্ন কেন এত গুরুত্ব পেল? জানা গেল একটু পরেই।

ক্যাপ্টেন হ্যাডক জানাল, তিন শ বছর আগে তার এক পূর্বপুরুষ তাকে গুপ্তধনের কথা বলে গেছে, যে গুপ্তধনের সূত্র লুকানো আছে জাহাজটার নকশার ভেতরেই। গল্পের বাকিটা বলে দিলে তো মজাই নষ্ট হয়ে গেল। নিজেই দেখে নিন। ডাউনলোড করুন কিছু তথ্য * দ্য ব্লু লোটাস বা নীলকমল কাহিনীতে যেসব রাস্তা, দেয়ালচিত্র ও চীনা চরিত্রের কথা বলা হয়েছে, সব সত্যি। বানানো কিছুই নেই।

শুধু যে নীলকমলের কাহিনী, তা নয়; অনেক সময় শিল্পকর্মকে জীবন্ত করে তোলার জন্য বিভিন্ন জায়গা এবং বস্তুর প্রকৃত ছবি ব্যবহার করতেন হার্জে। * টিনটিন সিরিজের দশম কাহিনী মানে 'দ্য শ্যুটিং স্টার' বা 'আশ্চর্য উল্কা' ছিল প্রথম রঙিন টিনটিন বই। আগের ৯টি বই ছিল সাদাকালো। যদিও পরে ওসব সাদাকালো বইও রঙিন করা হয়। * হার্জের প্রথম বান্ধবীর নাম ছিল মিলু।

টিনটিনের পোষা কুকুরটার নাম রাখা প্রথম বান্ধবী মিলুর নামে। ফরাসি ভাষায় পোষা কুকুরটাকে মিলু বলেই ডাকা হয়। * টিনটিন কাহিনীর মধ্যে দুনিয়ার ৬০টি বন্দরের নাম আছে। * টিনটিনই হচ্ছে একমাত্র কমিক চরিত্র, যাকে সম্মানিত করেছেন তিব্বতের ধর্মীয় গুরু ও শান্তিতে নোবেল পাওয়া দালাই লামা। ২০০৬ সালে টিনটিনকে 'লাইট অব দ্য ট্রুথ অ্যাওয়ার্ড' হিসেবে সম্মানিত করেন তিনি।

* টিনটিনের অনুবাদ হয়েছে ৭০টিরও বেশি ভাষায়। * টিনটিনের ছবি ব্যবহার করে প্রায় আড়াই শ পণ্য তৈরি হয় বিভিন্ন দেশে। এসব পণ্যের মধ্যে ঘড়ি থেকে শুরু করে প্যান্টও আছে। তথ্যসূত্র- কালেরকন্ঠ , Wikipedia  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.