আমি কার্টুন, কমিকস এগুলোর অন্ধ ভক্ত বলতে পারেন! গোগ্রাসে গিলতে থাকি ।স্কুলে থাকতে সবাই কে দেখতাম চাচা চৌধুরী তে মজে যেতে, আমাকে টানেনি ও জিনিশ। আমি ডুবে ছিলাম নারায়ন দেবনাথে। বাটুল দা গ্রেট, হাঁদা ভোঁদা, নন্টে ফন্টে....কি সব দিন ছিল আহা!
তবে হঠাৎ একদিন নিউ মার্কেটের বইয়ের দোকানে হার্জের টিনটিনের সাথে পরিচয় ঘটে।
টিনটিনের সাথে সেই যে কমিকসের মায়াবী জগতে হারিয়ে গেলাম। টিনটিন আজো আমায় টানে!আজো আমি টিনটিন হাতে নিলে ছেলেমানুষ হয়ে উঠি,নিজেকে টিনটিন মনে হয়, মনে হয় ক্যাপ্টেন হ্যাডক, প্রফেসর ক্যালকুলাস,জমজ গোয়েন্দা ,কুকুর স্নোয়ি তারাতো আমারি সহচর!
টিনটিনে আমার প্রিয় চরিত্র ক্যাপ্টেন হ্যাডক! তার চেহারা, অঙ্গভঙ্গি, বোকামি আমাকে দারুন আনন্দ দেয়!এ চরিত্রটা শুধু আমার নয় আমি জানি এই গ্রহে যারা টিনটিন পড়ে সবারি প্রিয়!
টিনটিন যে কারনে আমাকে মুগ্ধ করে তার অন্যতম কারন এর নিখুত পরিচ্ছন্ন অংকন! মানুষ এত সুন্দর আঁকে কি করে!! আমি ‘লস্ট এমেরাল্ড’ পড়ে যতটা না মুগ্ধ হয়েছি তার চেয়ে মুগ্ধ হয়েছি ছবি দেখে! আহা!
তবে ব্লু লোটাস আর ব্রোকেন ইয়ার দেখে হতাশ হয়েছি!মনে হয়েছে হার্জ ইচ্ছা করে বাজে এঁকেছে।কারন তার আগে আকা ‘সিগারস অব ফারাও’ তো বেশ সুন্দর!
টিনটিনের সাথে ঘুরে বেরিয়েছি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মরুভূমি (ল্যান্ড অব ব্লাক গোল্ড) থেকে সাগরে(দ্য শ্যুটিং স্টার),তিব্বত থেকে এলিয়েন স্পেস শীপ (ফ্লাইট নং ৭১৪) অবদি! হার্জের রসবোধ কত প্রবল ছিল তা ফ্লাইট নং ৭১৪ না পড়লে বুঝবেনা কেউ!
কোথায় যায়নি টিনটিন! রাজনৈতিক ঘটনা,ষড়যন্ত্র,জাদুমন্ত্র কি নেই টিনটিনে?
বার বার সেই ঘুরে ফিরে একই চরিত্রদের বিভিন্নভাবে ভাবে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন হার্জ! সেটা একঘেয়েমী না হয়ে, হয়ে উঠেছে দারুন উপভোগ্য! ভিলেন রাস্টাপপুলাস কে কখনো মনে হয়নি ‘ব্যাটা আবার আসলো কোত্থেকে?’
পৃথিবী সব ভাষাতেই টিনটিন অনুদিত হয়েছে! বাংলা ভাষায় এনেছে কলকাতার আনন্দ প্রকাশনী! মজা হচ্ছে তাতে বিন্দু মাত্র মজা নষ্ট হয়নি! তাদের অনেক গুলো অনুবাদ ইংরেজীর চেয়েও ভালো হয়েছে!!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।