এই নিয়ে কত বিতর্ক। জিয়াউর রহমান ঘোষনা দিয়েছিলেন ঘটনাচক্রে দৈবাত সেই মুহুর্তে চট্টগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বলে - অন্য কোনো অফিসারও হতে পারতো। ওই ঘোষনার গুরুত্ব তখন পর্যন্ত অচেনা অজানা মেজর জিয়াউর রহমানের বিদ্রোহ নয়, বরং একমাত্র বাঙালি সামরিক ইউনিট ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের, ইউনিট হিসাবে বিদ্রোহ। যা পাকিস্তানি আক্রান্ত নিরস্ত্র বাঙ্গালিকে প্রচন্ড সাহস যুগিয়েছিল।
স্বাধিনতার ঘোষনা বংগবন্ধু ৭ ই মার্চই দিয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানিদের মতলব আচ করে।
তার আগে মাওলানা ভাসানিও সে ডাক দিয়েছিলেন, সিরাজুল ইসলাম খান আর তার সহযোগিরা এনিয়ে কাজ করছিলেন অনেক দিন ধরেই। । কিন্তু ৭১ এ আর কে কি বলেছে বা কি করেছে তানিয়ে কি বাঙালি আর পাকিস্থানি কারোই কি কোনো মাথাব্যাথা ছিল না তোয়াক্কা করেছে? তখন বাঙ্গালি জাতির ইচ্ছা চিন্তা চেতনার একমাত্র মুর্তিমান প্রতিমুর্তি ছিলেন শুধুই বংগবন্ধু। ইতিহাসের সেই সন্ধিক্ষনে সেটাই ছিল একমাত্র বাস্তবতা।
তখনকার নিতান্তই অপরিচিত মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধিনতার ঘোষনার, মূল প্রতিপাদ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর ডাকে আর ২৫ শে মার্চের গনহত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহ, যা পাকিস্তানি আক্রান্ত নিরস্ত্র বাঙ্গালিকে প্রচন্ড সাহস যুগিয়েছিল।
সেই বিদ্রোহের আর পরবর্তি ঘোষনার মূল নায়ক জিয়া বা অন্য কোন অফিসার নন ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট আর তার সাধারন সৈনিকেরা, যারা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দ্রোহন্মুখ না হলে কোনো অফিসারের পক্ষেই পুরো ইউনিট নিয়ে বিদ্রোহ করা সম্ভব ছিল না। রংপুর বা রাজশাহির একটি বেঙ্গল রেজিমেন্ট ইউনিট বিদ্রোহ করেছিল সুবেদার আফতাবের নেতৃত্বে তাদের সিনিয়র পাকিস্থানপন্থি বাঙালি মেজরকে হত্যা করে।
ইতিহাস তার চুল চেরা নিক্তিতে একদিন ভাল মন্দ আর সফলতা ব্যার্থতা সব মিলিয়েই বংগবন্ধু্ত আর জিয়াউর রহমানের উপযুক্ত মুল্যায়নই করবে। তবে জিয়ার স্বাধিনতার ঘোষনা নিয়ে কোনো অর্বাচিন দাবি নেহায়েতই বালখিল্যতা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।