বাংলাদেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠির শোষণ ও বঞ্চনার জের ধরে যে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা, তার প্রতি ভারত অকুণ্ঠ সমর্থন ঘোষণা করেছিল। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির ভূমিকা এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য এবং এ কারণে চলতি বছর তাঁকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের অবস্থান ছিল একটিমাত্র কারণে। তা হলো স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি নয়াদিল্লির সমর্থন ঘোষণা। একই কারণে, ভারত ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা সংগ্রামেও সমর্থন দিয়েছিল এক সময়।
কিন্তু কাশ্মিরের মানুষের স্বাধীনতার দাবি ভারতের কাছে বিচ্ছিন্নতাবাদ। উত্তর-পূর্ব ভারতের উলফাসহ অন্য গেরিলা গোষ্ঠিগুলো তাই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠি। তারা ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়ে মারাত্মক অপরাধ করছেন।
আবার বাংলাদেশের ভেতর পার্বত্য এলাকায় যারা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই করে, তারা বোধ করি ওই 'স্বাধীনতা' সংগ্রাম করার জন্যই নয়াদিল্লির কাছ থেকে অস্ত্র পায়। যারা এই কথাটির বিরোধী, তাদের কাছে প্রশ্ন করবো- সন্তু লারমারা অস্ত্রসস্ত্র পায় কোত্থেকে? তিনদিক দিয়ে ঘেরা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ছাড়া আর কার সীমান্ত রয়েছে যে, সেখান থেকে কথিত শান্তি বাহিনী অস্ত্র সংগ্রহ করছে?
শ্রীলঙ্কা সরকারের দৃষ্টিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল গেরিলারাও হয়তো ওই 'স্বাধীনতা' সংগ্রাম করার কারণে নয়াদিল্লির সমর্থন পেয়েছিল।
ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের নেতৃত্বে এলটিটিই গেরিলারা যে ভারতের কাছ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র ও সামরিক প্রশিক্ষণ পেতো, সে ব্যাপারে অধিকাংশ বিশ্লেষক একমত হয়েছিলেন। যারা একমত ছিলেন, তাদের পক্ষে এবার কথা বলেছেন, শ্রীলঙ্কার এক কালের শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী নরওয়ের কূটনীতিক এরিক সোলহেইম।
আজ তিনি নরওয়ের কেবিনেট মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সরকারিভাবে এলটিটিই'র সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলেও গোপনে সে সময়কার ভারত সরকার গেরিলাদের পক্ষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বড় ভূমিকা রেখেছিল। " এ ছাড়া, এ ইস্যুতে এরিক সোলহেইম নিজেও কয়েক দফা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বা 'র'এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
এরমধ্যে কয়েকটি বৈঠক হয়েছিল নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে। তবে, "ভারত সবসময়ই 'র'এর কর্মকর্তাদের বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা গোপন রাখতে চেয়েছে। "
বিস্তারিত জানতে চাইলে ক্লিক করতে পারেন এখানে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।