পদ্মা সেতু প্রকল্পে চীন ও রাশিয়ার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এ প্রকল্পে দ্বিপক্ষীয় অর্থায়নের সুযোগ নেই। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা জানান।
এর আগে আজ দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সজান্ডার এ নিকোলাভ এবং ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দ্বিপক্ষীয় অর্থায়নের প্রস্তাবই গ্রহণযোগ্য নয়।
সে ক্ষেত্রে অর্থায়নকারী দেশের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘যখন একটি বেসরকারি কোম্পানি পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের জন্য আসে, তাদের দরদাতারা থাকে নির্দিষ্ট। ’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের প্রস্তাবটি আমি দেখেছি। রাশিয়াও একটি প্রস্তাব দিয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু যেহেতু ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, তাই এখন কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
’
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমেই পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি পদ্মা সেতু প্রকল্পে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয় চীনের পলি টেকনোলজি করপোরেশন। মূল অর্থায়নকারী চীনা এক্সিম ব্যাংক। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করাসহ পাঁচ শর্ত দিয়েছে এই চীনা কোম্পানি।
শর্তগুলো হচ্ছে প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ‘সভরেন গ্যারান্টি’ দেওয়া, নির্মাণ-ব্যয় ১৫ বছরের মধ্যে পরিশোধ করা, সেতু নির্মাণের আগে পুরো নির্মাণ ব্যয়ের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অর্থ অগ্রিম পরিশোধ করা এবং টোল আদায় থেকে নির্মাণ-ব্যয় তোলা না গেলে সরকারকে তা পরিশোধ করা।
অর্থমন্ত্রীর কাছে ৫ কোটি ডলারের চেক হস্তান্তর
বাংলাদেশের জন্য প্রতিশ্রুত ভারতীয় অনুদানের ২০ কোটি মার্কিন ডলারের পাঁচ কোটি ডলারের চেক অর্থমন্ত্রীর কাছে আজ হস্তান্তর করেছেন পঙ্কজ সরন। এটি অনুদানের তৃতীয় কিস্তির অর্থ। আগের দুই কিস্তি মিলিয়ে বাংলাদেশ অনুদান পেয়েছে ১৫ কোটি ডলার। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পঙ্কজ শরণ সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হয় ২০১০ সালের আগস্টে।
পরে ঋণের মধ্যে ২০ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।