দুর্ঘটনার ষোড়শ দিন বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহর থেকে সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯৪টি লাশ।
এ নিয়ে সাম্প্রতিক বিশ্বের ‘ভয়াবহতম’ এই ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১২ জনে।
রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের সামনে উদ্ধার অভিযানের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ৮৮টি মৃহদেহ রাখা রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে ১০০টি লাশ।
গত ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন রানা প্লাজা ধসে পড়ে।
ওই ভবনে পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন।
উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত নয়তলা ভবনের সামনের দিকের ধ্বংসস্তূপ সরাতে পেরেছেন। তবে ভবনের বেজমেন্টে এখনো ঢুকতে পারেননি তারা। ভবনের পিছনের অংশে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয় বুধবার রাতে। সেখানে এখনো একটি ফ্লোরেরও ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি সরানো যায়নি।
উদ্ধার কাজ শেষ হতে আরো কয়েক দিন লাগতে পারে বলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন যেসব মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে। লাশের সঙ্গে পরিচয়পত্র বা মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার মাধ্যমেই পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে।
আগের দিন ভবনে ফাটল দেখা দিলেও পরদিন ভয়-ভীতি দেখিয়ে সেখানে কাজ করতে বাধ্য করা হয় বলে বেঁচে আসা শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।