স্রষ্ঠার ইচ্ছার কাছে মানূষ যেমনটা অসহায়, তার সৃষ্ট ভালোবাসায় ঠিক ততটায় বিমোহিত । কৃষির দেশ বাংলাদেশ । দেশের অর্থনীতি কৃষি নির্ভরশীল । কৃ্ষক দেশের কৃ্ষি ও অর্থনীতির মেরুদন্ড । গত ৪১ বছরেও কৃষকদের নিরাপত্তায় দেশে চালু হয়নি ফসলি বীমার মতো কোনো পদক্ষেপ ।
বর্তমানে দেশের লোক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ কোটি । দেশের আয়তন বাড়েনি। বাড়তি জনসংখ্যার কারনে আবাদি ফসলি জমির পরিমাণ কমেছে অনেক। বাংলাদেশের সোনালী আঁশ খ্যাত পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালানো দরকার ।
পেঁপে একটি সর্বজনীন ফল ।
সারা বছরই পেঁপে পাওয়া যায় । কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিওলাইটিক এনজাইম । হজমের জন্য খুব উপকারী । গরুর মাংসে কাঁচা পেঁপে দিলে মাংস সিদ্ধ হয় তাড়াতাড়ি । পেঁপে যুদ্ধ করে দেহের বাড়তি মেদের বিরুদ্ধে ।
্যানসার নিরাময়ে অনেক ভূমিকা রাখে । রান্না করার চেয়ে পেঁপে কাঁচা খাওয়াই বেশী ভালো । বৃদ্ধ বয়সকে দূরে ঠেলে দেওয়ার উপাদান আছে পেঁপেতে । তবে ডায়াবেটিক রোগীরা মিষ্টি পেঁপে পরিহার করুন । কাঁচকলা ডায়ারিয়া ও রক্ত আমাশয় বা ব্লাড ডিসেন্ট্রিতে খুব উপকারী ।
পালং শাক ভিটামিন সমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি । বাড়ির ছাদেও চাষ করা যায় । ছাদে চাষ করার জন্য কিছু কলাকৌশল জানতে হবে । প্লাস্টিকের বড় গামলা, টব অথবা অর্ধ ড্রামে চাষ করা যায় । প্রথমে সার ও মাটি দিয়ে ভরাট করে নিতে হবে ।
তারপর বীজ বপন করতে হবে । বীজ বপনের সাথে সাথে হালকা পানি দিতে হবে । সকাল-বিকাল দু-বেলা পানি দিতে হবে । টবে যেন অতিরিক্ত পানি যেন জমে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে । আগাছা জন্মালে তা তুলে ফেলতে হবে ।
বীজ বোনার ৪৫-৫০ দিন পর পালং শাক সংগ্রহ করা যায় ।
স্ট্রবেরি একটি অত্যন্ত রসালো ও সুস্বাদু ফল । স্ট্রবেরি গাছ অনেকটা থানকুনি ও আলু গাছের মতন । তবে পাতা আরও বড় ও চওড়া । স্ট্রবেরি কাঁচা অবস্থায় সবুজ ।
তবে পাকা অবস্থায় টকটকে লাল । যেসব এলাকায় শীত বেশী পড়ে ও বেশিদিন থাকে সেসব এলাকায় স্ট্রবেরি চারা ও চাষ ভালো হয় । ইদানিং কিছু প্রতিষ্ঠান স্ট্রবেরি বানিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছে । বাংলাদেশের সব এলাকায় সব মাটিতেই স্ট্রবেরি চাষ সম্ভব । অনেক বেকার যুবক স্ট্রবেরি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে্ছে ।
এখন, খুব সস্তায় বাজারে স্ট্রবেরির জুস, জ্যাম, জেলি পাওয়া যাচ্ছে ।
কিছুদিন আগে সরকারের কাছ থেকে পাস ও পারমিট নিয়ে ৩৫ হাজার জেলে সুন্দরবনের কাছে দুবলার চর যাত্রা শুরু করেছে । জেলেদের এ সমুদ্র যাত্রাকে ঘিরে সরকার সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী হড়ে তুলেছে । টানা তিন মাসের জন্য জেলেদের এ সমুদ্র যাত্রা উপলক্ষ্যে চলছে নানা আয়োজন । পশুর নদীর চিলা খালের মোহনায় সমুদ্রগামী জেলেদের মিলনমেলায় এখন ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে ঝড়-জলোচ্ছাস ও জলদস্যুদের উৎপাত আঁশংকার মধ্যেও জীবন জীবিকার তাগিদে সাগর পাড়ের চরাঞ্চলে ছুটছে জেলেরা ।
শুধু ভিটামিন 'এ'-এর অভাবে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার শিশু অন্ধ্ হয়ে যাচ্ছে । এ সমস্যা দূর করতে হলে অধিক পরিমানে শাক-সবজি ফলমূল এক কথায় পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে । যেমন- কচু শাক, লাল শাক, ধনে পাতা, মুলা শাক, পালং শাক লালগম, গাজর ইত্যাদি ।
কিছুদিন পরেই কোরবানীর ঈদ । অধিক লাভের আশায় গরু মোটা তাজা করতে ব্যবহার করছে মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হরমোন ইনজেকশন, স্টেরয়েড ।
এসব হরমোনের কারণে গরুর ডায়াবেটস সহ বিভিন্ন জটিল রোগ হয়ে থাকে । এসব হরমোন এতটাই মারাত্মক যে মাংস রান্না করার পরও তা নষ্ট হয় না । ফলে তা মানূষের শরীরে গিয়ে কিডনি, লিভারসহ নানান রোগ সৃষ্টি করে । প্রকৃত পক্ষে এসব গরুর মাংসের পরিমাণ বেশি হলেও তার গুনগত মান অনেক কম । গরুকে ইনজেকশন না দিয়ে প্রচুর কাঁচা ঘাস খাওয়ালেই গরু দ্রুত বাড়ে ।
তবে গরুকে জলাভূমির ঘাস খাওয়ানো একেবারেই উচিত না ।
কৃত্রিম উপায়ে ঝিনুকে মুক্তো চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা । মাছের সাথে ঝিনুকে মুক্তা চাষ করে প্রতি একরে ৪০ লাখ টাকা অতিরিক্ত আয় করা সম্ভব । গবেষনাকালে কৃত্রিম উপায়ে ঝিনুকে ৫ মাসে ২ থেকে ৩ মিলিমিটার আকারের মুক্তা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে । বাংলাদেশের প্রায় ১৫ লাখ লোক জীবিকা নির্বাহ করে মুক্তা আহরণ জনিত পেশার মাধ্যমে ।
মুক্তা চাষে মাছের কোনো ক্ষতি হয় না । ঝিনুকের জন্য আলাদা খাবারও দিতে হয় না । প্রতি শতাংশে ৮০টি ঝিনুকে গড়ে ১০টি করে ৮০০ মুক্তা পাওয়া যায়, যার বাজার মূল্য ৪০ হাজার টাকা ।
পেয়ারা একটি বেরী জাতীয় ফল । মূলত পেয়ারা দক্ষিন আমেরিকার অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল ।
সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে পর্তুগীজরা ভারতে পেয়ারা আনলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দেশে । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০ মি. উচ্চতায়ও পেয়ারা জন্মাতে পারে । পেয়ারাকে প্রাচ্যের আপেল বলা হয় ।
( এই লেখাটা কেন লিখলাম তার অনেক কারন আছে । কৃষি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লেখার ইচ্ছা আমার অনেক দিন আগে থেকেই ।
লিখবো-লিখছি করে আর লেখা হয় না । আমি মনে করি- একজন মানূষের সুন্দরভাবে বাঁচতে হলে জানতে হবে । এ ছাড়া আরা অন্য কোনো উপায় নেই । ''বাঁচতে হলে জানতে হবে'' এই নামে আমি একটা ধারাবাহিকভাবে লেখাও লিখেছিলাম । আমি গ্রামে চলে যাবো ।
চাষ-বাস করবো । নাগরিক জীবন আমার ভালো লাগে না । নাগরিক জীবন হলো যান্তিক জীবন । ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।