আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাকে নিয়ে সারাক্ষন ভাবি, যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি ... ... সেই জলপরীটার গল্প শুনুন ঃ

স্বপনের সমাধি খোঁড়া এ জীবন ... মনের গোপন ঘরে যে শ্বাপদ ঘর করে তাকেই লালন করে চলা এ জীবন! প্রায় তিন বছর আগে তাঁর প্রেমে পড়েছিলাম; পড়েছিলাম বললে ভুল হবে, পড়তে বাধ্য হয়েছিলাম। সেই গানটার মত ; আমিতো প্রেমে পড়িনি, প্রেম আমার উপরে পড়েছে ...... শয়নে, স্বপনে, জাগরণে তাকে নিয়েই থাকতে হয়, এমন কি বউ পোলার পাশে বিছানায় শুয়েও চুপি চুপি ভাবি তাঁর কথা। আজ তাঁর গল্প করব আপনাদের সাথে ... .. প্রথমে উনার বংশ পরিচয় দিই; উনি এনাদের (Squid, Stingray) বংশের। উনারা দুই পাশের ডানার (Fin) সাহায্যে সমুদ্রের নিচে চলাচল করেন। এরপর দেখেন উনাদের পূর্ব-নারীদের (পূর্ব-পুরুষ এর স্ত্রী লিংগ) ছবি।

আদিম নারীর (Model 1) জন্ম হয়েছিল সেই ২০০২ সালে। তখন উনি নিজে সাঁতার কাটতে পারতেন না। উনার নাড়া চাড়ার জন্য বিশাল বাহিনী লাগত। এরপর ২০০৪ সালে আসলেন উনার দ্বিতীয় প্রজন্ম (Model 2)। উনি নিজে নিজে সাঁতার কাটতে পারতেন ঠিকই, নিন্তু উনাকে গোছল করানোর সময় দাসদাসীদের বিশাল বহর সাথে যেতে হতো উনার ইয়া লম্বা তার বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

২০০৬ সালে আনা হলো ইনাকে (Model 3); চেহারা বড়ই সৌন্দরয্য, তারটারের ঝামেলাও তেমন ছিল না। এক কথায় রুপেগুনে অতুলনীয়া। কিন্তু এক জনকে আর কয়দিন ভাল লাগে !! ৩ বছর পর, ২০০৯ সালে ইনাকে (Model 4) ঘরে আনা হলো। দেখেই বুঝতে পারছেন উনার চেহারা মারসাল্লাহ! শুধু চেহারাই নয় ইনি আগের সবার তুলনায় অনেক বেশী efficient । পানির নিচে মাছেদের সাথে উনি এমন ভাবে সাঁতার কাটেন যে মাছরাও বুঝতে পারে না যে উনি আলাদা কিছু।

বিশ্বাস না হয় ভিডিও টা দেখেন! সব ভালই ছিল, কিন্তু উনার পেটের ভিতর নাড়ি ভুড়ি বড্ড বেশী, তাই ওজন টাও মারশাল্লাহ! তাছাড়া নাভীর ভিতর থেকে বের হয়ে থাকা ওই তারটা তার সৌন্দরয্যে বড়ই ব্যঘ্যাত ঘটাচ্ছিল। উনি আবার খুব রাশভারী টাইপের ছিলেন, উনাকে ইচ্ছা মত নাড়াচাড়া করতে গেলে উনি বেকে বসতেন। তাই কম্পিউটারে উনার ডামী বানিয়ে নেওয়া হলো উনাকে অধিকতর পর্যবেক্ষনের জন্য। এখন হচ্ছে সিম্পিল এর যুগ; Simple is the Best. তাই মাত্র সেদিন ইনাকে ঘরে আনা হলো। দেখেন একদম Simple আর দেখতে কি Cute ! অতিরিক্ত তারটারের বালায় নেই, ভিডিও গেম খেলার মত একটা Joystick দিয়েই উনাকে সাঁতার কাটানো যায়।

আমার পোলার সাথে তার ইতিমধ্যেই খুব খুব ভাব হয়ে গেছে, সেই উনাকে সাঁতার কাটাতেও পারে। উনার কাপড় চোপড় সব এখনও পরানো হয়নি, তারপরও গতকাল একটা কমপিটিশনে যেয়ে উনি একটা পুরষ্কার জিতে নিয়ে এসেছেন। পানির নীচে যেকোন ধরনের Investigation, Survey, Repair অথবা Military Spying এর কাজে উনাকে লাগানো যাবে বলে আশা করছি। আপাতত এই জলপরিকে নিয়েই আমার সকল ধ্যান-জ্ঞ্যান, আমার স্বপ্ন দেখা......... আমার জলপরীর গল্প এখানেই শেষ! সবাই ভাল থাকুন! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.