‘আমি নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাইনি। দলের চাপেই আমাকে সরে যেতে হলো। আমি সম্পত্তি বেচে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। সরে যাওয়াতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ’
রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে দলের হাই কমান্ডের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তৈমুর আলম খন্দকার এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপির সমর্থনে নারায়াণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু ভোট শুরুর মাত্র সাত ঘণ্টা আগে দলীয় সিদ্ধান্তে তাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে হয়েছে।
নির্বাচনের দিন বেলা ১১টার পর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী এবং তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ক্ষুব্ধ মনোভাব পোষণ করেন।
তৈমুর আলম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আমার নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে আমাকে সরে দাঁড়াতে হলো।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ ছাড়া আমি নির্বাচন থেকে সরতাম না। ’
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক সম্পত্তি বিক্রি করে নির্বাচনে এসেছি। সরে দাঁড়ানোয় আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। তারপরেও আমি দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। ’
তৈমুর আলম আরো বলেন, ‘এর আগের নির্বাচনে বিএনপি প্রশাসক নিয়োগ করে আমাকে মেয়র হতে দেয়নি।
এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলে আবার আমাকে বঞ্চিত করলো। ’
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিপরীতে দল থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর বলেন, ‘আমি কোনো প্রতিশ্রুতির তোয়াক্কা করি না। দল সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাই মেনে নিয়েছি। ’
ঢাকায় বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো আলোচনার প্রয়োজন নেই। ’
বিএনপির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কিনা- এই প্রশ্ন কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে তৈমুর বলেন, ‘এটা দলের সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।