বসে আছি পথ চেয়ে.... চলমান অসংখ্য বৌদ্ধ জনপদ আক্রমণের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পাচ্ছি। কিন্তু যোগ দেওয়ার উৎসাহ পাচ্ছি না। না, এখন আর কোন প্রতিবাদ-সমাবেশে যেতে ভাল লাগেনা। এসবের কোন মানে খুঁজে পাই না। এগুলো তো রুটিন প্রতিবাদ! কিছু লোকের সিভিল-সমাজের অংশ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরার প্রচেষ্টার অংশ।
এতে ধর্মের দাপট কমে না। ধর্মের নামে যারা জানকোরবান করতে চায়- তাদের সংখ্যাও এতে কমে না।
ধর্মের নামে এক শ্রেণির মানুষের উন্মত্ততা দেথে দেখে ক্লান্ত হয়ে গেছি। দেশপ্রেম, ধর্মপ্রেম, স্বজাতিপ্রেমের নামে যুগে যুগে উন্মত্ত হিংসা আর মনুষ্যত্বহীনতার চর্চাই দেখছি; দেখতে দেখতে অবসন্ন হয়ে গেছি। এই পোড়ার দেশে ক্রমাগত ধর্মেরষাঁড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছু হচ্ছে বলে মনে হয় না।
পাহাড়ি জনপদে নিয়ত হিংসার চর্চা, অধিপতি জনগোষ্ঠীর দরিদ্র শ্রেণিকে ব্যবহার করে আদিবাসীদের কোণঠাসা করার দূরভিসন্ধি, সেনাবাহিনী দিয়ে তাদের শায়েস্তা করার প্রক্রিয়া, বাবরি সমজিদ পরবর্তী ঘটনা, ২০০১-এ নির্বাচন পরবর্তী হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা, চলমান অসংখ্য বৌদ্ধ জনপদ আক্রমণের মত নির্মম ঘটনা, সর্বদা মৌলবাদী হুংকার আমাদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় এই দেশ আমার নয়, আমাদের নয়, এখানে নাগরিক অধিকার ভোগ করতে চাওয়া বা মানবিক অধিকার ফলাতে আসাটা ধৃষ্টতা। এই দেশে ভিন্নধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর, সংখ্যালঘুর কোন অধিকার নেই, থাকতে পারে না। যদি মানুষের মত নিতান্তই বাঁচার খায়েস থাকে-তাহলে দেশ ছেড়ে ভাগো। আর না হলে ইতরের মতো মানইজ্জত খুইয়ে থাকো, ভিটেমাটি সহায়সম্বল বিসর্জন দিয়ে ভিক্ষুকের মতো তথাকথিত অধিপতি জনগোষ্ঠীর কৃপায় বাঁচো! ওরা তোমাদের মন্দির ভাঙ্গবে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেবে, নারীদের ধর্ষণ করবে, তোমরা ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে দেখবে, উপভোগ করবে!
তোমাদের নামে প্রথমে মিথ্যে কলঙ্ক বা অপবাদ দেওয়া হবে, তারপর সম্মিলিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। এভাবেই এক শ্রেণি 'গাজি' হবে, আরেক শ্রেণি পাঁঠার মত বলি হবে।
এটাই এই দেশের স্থায়ী ব্যবস্থা! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।