আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বলির পাঠা দুই আবদুল (অবশেষে মাইনাস টু )

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

অনেক তৈল মর্দন করিয়া তাহারা জায়গা মতো আসিয়াছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৈলে ভেজাল থাকায় আর তৈল মর্দন করতে পারলেন না। ফলাফল মাইনাস টু। বলির পাঠা হলেন দুই আবদুল। এর মধ্যে এক আবদুল একটি বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করেছিলেন তার নেত্রীর কথার বাইরে কিছু করার ক্ষমতা তার নাই।

তার একমাত্র কাজ তার নেত্রীর আদেশ প্রতিপালন করা। তার নেত্রী যে সব ভেজাল লাগান, তা সমাধান করা। এসব করতে তার ভালো লাগে না। কিন্তু পদ ধরে রাখতে তিনি সর্বদা পদলেহন করেছেন। তাছাড়া এ সম্মানের (!) জায়গা ধরে রাখার কোন উপায় তার ছিল না।

এই আবদুল হইলেন ডাহা মিথ্যুক আবদুল জলিল। অন্যদিকে আরেক আবদুল ভেবেছিলেন দলে সংস্কার করবেন। দলের মধ্য থেকে পরিবারতন্ত্রের অভিশাপ দূর করবেন। একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটাবেন। তার ও তার সাথে লোকজনদের গালভরা সংস্কারবাদী বলে ডাকা হল।

তারা নেত্রীর বিকল্প নেতা বানালেন সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে। কিন্তু সেই সংস্কারবাদী আন্দোলনই তার কাল হল। দলের বেশির ভাগ লোক কোন রকম সংস্কারের বিপক্ষে। বরং তারা পুরোনো ফর্মুলা তৈল মর্দন ও মাল কামাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চাইলেন। দলের মধ্যে সংস্কার হলে তো রাতারাতি মাল কামিয়ে চেকনাই বাড়ানো যাবে না।

হালে পানি পেল না সংস্কারের কার্যক্রম। বরং এক পর্যায়ে আবদুল সাহেবের সংস্কারবাদী নেতা মীরজাফরি করে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে গেলেন। অপমৃতু্য হল সংস্কারের। তার নেত্রী এখন আজীবন চেয়ারপারসন। স্বৈরতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র আর কাকে বলে।

সামনে ক্ষমতায় এলে তিনি আজীবন প্রধানমন্ত্রী বলেও ঘোষিত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমাদের আর ৫ বছর পর পর কষ্ট করে ভোট দিতে হবে না। নির্বাচন কমিশন থাকবে না। বেঁচে যাবে দেশের অনেক মূল্যবান টাকা। ১/১১ পর বহুল আলোচিত শব্দ মাইনাস টু।

অবশেষে দুই আবদুলের মাইনাসের মাধ্যমে এই ফর্মুলা বাস্তবায়িত হয়ে গেল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.