মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত। আমার মাটি আমার মা নাইজেরিয়া হবে না।
গ্যাস রপ্তানির পরিনাম বাংলা হবে ভিয়েতনাম।
জীবন দেব, রক্ত দেব---
তেল-গ্যাস দেব না।
যুদ্ধ ছাড়া সাম্রাজ্যবাদ বাঁচে না।
যুদ্ধ করার জন্য দরকার তেল-গ্যাস। আর যুদ্ধ বাধিয়ে অস্ত্র বেচা যায়। যে কারণে সাম্রাজ্যবাদ সাম্প্রদায়িকতার উছিলা দেখিয়ে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বাধায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাম্প্রদায়িকতা বিষ বপন করে। আর প্রয়োজন বুজে সেই সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করে।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ জঙ্গীবাদ মোকাবেলার নামে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, লিবিয়া দখল করেছে। পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে শান্তি রক্ষী মোতায়েনের নামে সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য একটাই কমিউনিস্ট শাসিত অর্থনীতিতে ক্রমঅগ্রসরমান চীনকে আক্রমণের পরিস্থিতি তৈরি করা।
এই বিপদ মোকাবেলা করার জন্য এই অঞ্চলের কমিউনিস্টদের ঘরে-বাইরে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখা দরকার।
পোস্টটি স্টিকি করার জন্য সামুকে ধন্যবাদ।
তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির প্রতি রইলো লাল সালাম।
লং মার্চে অংশগ্রহণকারী সহযোদ্ধা বন্ধুদেরকে বিপ্লবীদের কথা'র পক্ষ থেকে অভিনন্দন। সুনেত্র অভিমুখে লংমার্চ সফল হোক।
"যুদ্ধ ছাড়া সাম্রাজ্যবাদ বাঁচে না। আমেরিকার সামরিক শিল্প নির্ভর অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন হলে মানব সভ্যতা বিধ্বংসী আর একটি বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে দেবে মানবজাতির উপর।
আর সেই বিশ্ব যুদ্ধের জ্বালা মুখ করতে চাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়াকে। একদিকে চীন অন্যদিকে ভারত এই দুই শক্তিই বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আর একটি বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে একদিকে আমেরিকার অস্ত্র ব্যবসা রমরমা করবে অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়াকে জ্বালামুখ করে ক্রমশক্তি অর্জনকারী ঐ দুই শক্তির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে। এই খেলায় মেতে উঠছে আমেরিকা।
জঙ্গীবাদ Shadow of imparialism ছাড়া আর কিছু নয়।
জঙ্গীবাদের প্রাণভোমরা হল সাম্রাজ্যবাদ। সাম্রাজ্যবাদকে আঘাত না করে জঙ্গীবাদ ধ্বংস করা যাবে না। অথচ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ জঙ্গীবাদ মোকাবেলার নামে আফগানিস্তান দখল করেছে। পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে শান্তি রক্ষী মোতায়েনের নামে সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য একটাই কমিউনিস্ট শাসিত অর্থনীতিতে ক্রমঅগ্রসরমান চীনকে আক্রমণের পরিস্থিতি তৈরি করা।
এই বিপদ মোকাবেলা করার জন্য এই অঞ্চলের কমিউনিস্টদের ঘরে-বাইরে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখা দরকার। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে বিপ্লবী ধারায় অগ্রসর করার ক্ষেত্রে ঐ দেশের কমিউনিস্টরা প্রয়োজনীয় গুরুত্ব আরোপ না করে Parliamentarian form of Democracy ধারার রাজনীতি চর্চার ক্ষেত্রেই বেশি ব্যস্ত। ভারতীয় বুর্জোয়ারা কমিউনিস্টদের সংসদীয় গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে ব্যস্ত রেখে বেশ নিশ্চিন্ত বোধ করছে। পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে কমিউনিস্টরা বিপ্লবী রাজনীতি পাশকাটিয়ে বুর্জোয়া রাষ্ট্রের অধীনে রাজ্য ক্ষমতায় থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চা করে পার্টির বিপ্লবী চরিত্র থেকে অনেকটা সরে এসেছে।
এবারের বিধান সভার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই উপলব্ধি যদি হয় এবং ভারতের কমিউনিস্টরা যদি বিপ্লবী ধারার শ্রেণী সংগ্রামের রাজনীতিতে ফিরে আসে এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের কমিউনিস্টদের সাথে একই ধারায় ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বিত রাজনীতির ধারায় অগ্রসর হয় তবেই বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ মোকাবেলা করে এই অঞ্চলের বিপ্লবী ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। (–শংকর আচার্য)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।