ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে আস্থা না থাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমকে প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। তার পক্ষে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক গতকাল ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শাহিনুর ইসলামের কাছে আবেদনটি পেশ করেন। এর আগে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ১৯৯৪ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির (ঘাদানিক) একজন সদস্য হিসেবে গণতদন্ত কমিশনের সদস্যসচিব ছিলেন। ওই কমিশন একটি প্রতিবেদনও গণআদালতের কাছে পেশ করে। প্রতিবেদনে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের নাম রয়েছে।
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, গণতদন্ত কমিশনের সদস্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হতে পারেন না। এতে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হতে পারে। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি বিচার্য বিষয়ের সঙ্গে এর আগে কোনো কারণে জড়িত থাকেন তাহলে তিনি বিচারকের দায়িত্ব পালনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। তিনি সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শপথ লঙ্ঘন করেছেন। বিচারপতিদের কোড অব কন্ডাক্টের ধারা (ক্লজ) ১, ২, ৩ (৬) (এ), ৩ (৬) (ডি) (৪)-এর লঙ্ঘন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এছাড়া সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ১০ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। কাজেই
আমরা বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের প্রত্যাহার দাবি করছি। তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করব, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এই ট্রাইব্যুনালের বিচারক বা চেয়ারম্যান হওয়ার অযোগ্য। এদিকে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শাহিনুর ইসলাম তাত্ক্ষণিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আবেদনের সঙ্গে গণতদন্ত কমিশনের একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে গণতদন্ত কমিশনের ৪০ সদস্যের মধ্যে ২৫ নং সদস্য হিসেবে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের নাম রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধক বলেন, এ বিষয়ে আগামী ১৩ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।