আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফানপোস্টঃ ফেলুদার ডিজিটাল রুপ সমগ্র!

যে মুখ নিয়ত পালায়......। । সত্যজিত রায় আমার অতি প্রিয় লেখক। আর ফেলুদা গোয়েন্দাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়। সেই ফেলুদাকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে ইচ্ছে হল।

ফেলুদাকে নিয়ে লেখা গল্প উপন্যাসগুলোর ব্লগ+ফেসবুক তথা অন্তর্জালিক রূপ দেয়ার চেষ্টাতেই এই লেখাঃ বাদশাহী ফেসবুক আইডি—হঠাত একজন ঘুরতে ঘুরতে পেয়ে যায় বাদশাহী একটা ফেসবুক আইডি। এটা নিয়েই কাহিনী। কৈলাস চৌধুরীর ইনবক্স-কৈলাস চৌধুরীর ইনবক্সে একটি মেসেজ আসে। কিন্তু কে পাঠিয়েছে তার নাম নেই। সেই ভয়ংকর লোমহর্ষক মেসেজ দেখে কৈলাস চৌধুরী ছুটে চলে যান ফেলুদার প্রোফাইলে।

মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেন তাকে পুরো ঘটনা। ফেলুদাকে এড করেন ফেসবুকে। তারপর চ্যাটে বলতে থাকেন তার জীবনের ভয়ংকর সব ঘটনা। ফেসবুক-দেবতা রহস্য- ফেসবুকে কিছু সংখ্যক ভক্ত নিয়ে এক দেবতার আবির্ভাব হয়। সেই দেবতার ভদ্র স্বভাবের নিচে লুকিয়ে আছে কি কোন ভয়ংকর কেউ? বিশিষ্ট ফেসবুক সেলিব্রেটি গাবলু সাহেবের আইডি হ্যাকের পিছনে এর হাত নেই তো?সব রহস্যের সমাধান থাকবে এই গল্পে।

গোগলে গণ্ডগোল- গোগলে সার্চ দিলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বোম্বকেশর উলটা পালটা রেজাল্ট পাচ্ছেন। তিনি তার প্রোডাক্টের নাম দিয়ে সার্চ দেন বোম্ব প্রোডাক্ট কিন্তু আসে পারসোনা হিডেন ক্যাম জাতীয় রেজাল্ট। এটা কীভাবে সম্ভব?কেউ কি ইচ্ছা করেই এরকম করছে তার সাথে?বোম্বকেশর যোগাযোগ করলেন ফেলুদার ফেসবুকে। সোনার ওয়েবসাইট-পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেল একটি সোনার ওয়েবসাইট। অসামান্য সব ইউনিক কন্টেন্ট।

পেজ রেঙ্ক নয়!এখনি এডসেন্স বসিয়ে লাক্ষ টাকা কামানো সম্ভব! কিন্তু এই ওয়েবসাইট নিয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ল তিনবন্ধু। খুন হল দুই জন। এই দুই জনকে খুন করেছে কে?অপর বন্ধু না অন্যকেউ?ফেলুদাকেই বা খবর দিল কে এ বিষয়ে?সব জানতে পড়তে হবে সোনার ওয়েবসাইট গল্পটি। ইনবক্স-রহস্য-চৌধুরী সাহেবের ইনবক্সে কে যেন শুধু মেসেজ পাঠায়? মেসেজ গুলোর ভাষা অবশ্য একটু অন্যরকম। একটু অশ্লীল।

এই রহস্যের সমাধানে চৌধুরী ছুটেন ফেলুদার কাছে। তার ভাষ্য যে মটর মেকানিক ছেলের সাথে তিনি তার একমাত্র মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেন নি সেই ছেলেই তাকে এমন ম্যাসেজ দিয়ে বিব্রত করছে। এখন ফেলুদা খুজেঁ বের করবে আসল ঘটনা কি!এটা কি সেই দুঃখী প্রেমিক নাকী কোন পারিবারীক শত্রু!ফেলুদার জাদুর স্পর্শে বেরিয়ে আসবে সব সত্য। ক্রিকইনফো কেলেঙ্কারি- ক্রিকইনফোতে একদিন লগিন করে দেখলেন সবাই ঝুলছে ডাউনলোড হিন্দি সংগস এবং আরো ১৮+ অনেক কিছু! লাখ লাখ ভিজিটর হতবাক!কি হল ক্রিকইনফোতে! ক্রিকইনফোর কর্মকর্তারাও বিস্মিত! তারা বুঝতে পারলেন এই সমস্যার সমাধান একমাত্র ফেলুদার কাছেই থাকতে পারে। যোগাযোগ করা হল ফেলুদার ইনবক্সে।

শুরু হল আরেকটি রহস্য উদঘাটন! সমাদ্দারের কি ওয়ার্ড(চাবি ওয়ার্ড)—সমাদ্দার নতুন ওয়েবসাইট খুলেছে। মাত্র একমাস। এর মধ্যেই পেজ রেংক নয় এ চলে গেছে তার সাইট। কি এমন করে সমাদ্দার?কোন কি ওয়ার্ড ব্যবহার করে?বিশ্বের বড় বড় প্রো ব্লগার রা পাগলের মত খুজেঁ বের করলেন ফেলুদাকে। জানতে চাইলেন কি এই কি ওয়ার্ড রহস্য? ফেলুদা তাই লেগে গেলেন নতুন কাজে।

ছিন্নমস্তার মেসেজ— জটায়ু(লালমোহন গাঙ্গুলী) একটি মেসেজ পেয়েছেন। তিনি সকালেই ছুটে এলেন ফেলুদার কাছে। জটায়ুঃ বস আমি মেসেজ পেয়েছি! ফেলুদা চমকে উঠে, এমনভাবে চিৎকার করেছেন যেন মনে হল ডিভি পেয়েছেন! জটায়ুঃ এটা ডিভি পাওয়ার চেয়ে ও ভয়ংকর। মেসেজ টা পাঠিয়েছে ছিন্নমস্তা। ফেলুদা পাত্তা দেয় না।

জটায়ু থ্রিলার লেখেন। তার কাজই এরকম উদ্ভট কথা বলা। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই শহরের আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তি ছিন্নমস্তার মেসেজ পান। দু একজন ছবি দেখে হার্ট এট্যাকে মারাও যান। তারপরই ফেলুদা শুরু করেন এর রহস্য উদঘাটনের কাজ।

গোগল বাবা রহস্য- এলাকায় খুন হয়েছে তিনটা। তিনটাই উঠতি যুবক। ব্লগিং করত। ফেলুদার কাছেও কয়েকবার এসেছে এসইও টিপসের জন্য। এরা কি জন্য মারা পড়বে? পাড়ায় আগত নতুন লোক গোগল বাবার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই তো?গোগল বাবা মন্ত্রবলে নাকী গোগল পেজ রেংক বাড়িয়ে দেয়, কোন এসইও লাগে না-অনেকের মুখে এরকম শুনেছে ফেলুদা! সামাজিক দায়িত্বের খাতিরেই ফেলুদা এই কেসে জড়িয়ে পড়ল।

তারপর ঘটতে থাকল একেরপর এক লোমহর্ষক সব ঘটনা। নেপোলিয়নের ইমেলঃ নেপোলিয়নের ইমেল পাওয়া গেছে!!কিন্তু সত্যি ই কি তা নেপোলিয়নের? কি লেখা আছে এতে? বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ কারক ধনাঢ্য চন্দ্রশেখরএই কেসে শরণাপন্ন হলেন ফেলুদার। অম্বর সেন সুলেমানি ব্যান রহস্য- অম্বর সেনের কি কোন দোষ ছিল? তাকে কেন সুলেমানী ব্যান করা হহল?সে কী মডুদের কোন গোপন বিষয় জেনে গিয়েছিল? নাকী অন্যকিছু? আমব্লগাররা একজোট হয়ে এই রহস্য উদঘসাটনের জন্য ফেলুদাকে অনুরোধ করলে ফেলুদা সাড়া দেন। জড়িয়ে পড়েন এই রহস্য উদঘাটনে। জাহাঙ্গীরের কমেন্ট- জাহাঙ্গীর কি কমেন্ট করে গিয়েছিলেন? মোগল সাম্রাজ্যের কি এমন জিনিস তিনি ফাসঁ করে গিয়েহিলেন? সরকারের অনুরোধে ফেলুদা এই দূর্বোধ্য কমেন্টের পাঠোদ্ধারে নামেন।

কিন্তু যাদের এই তথ্যে মারাত্বক ক্ষতি হবে, সেই প্রতাপশালী পরিবারের লোকেরা লাগে ফেলুদার বিরুদ্ধে। টান টান উত্তেজনার এই গল্প। এবার কাণ্ড মডুর সাথে—মডুকে কে জানি ব্যান করেছে! এই মহাঅসম্ভব কাজ কীভাবে সম্ভব হল! এটা কি অন্যকোন ব্লগের কোন হ্যাকারের কাজ? নাকী ভার্চুয়াল জগতেও ভূতের উপদ্রব? মডুর ব্যানে ব্লগ হয়ে উঠল বিশৃঙ্খল। গালাগালি ফ্লাডিং চলছেই। তবুও ব্লগাররা কেউ ই কিন্তু মন খারাপ করে নেই।

সবাই খুশি। উৎসব উৎসব ভাব। ব্লগের হিট দুই তিনগুন বেড়ে গেছে। অনেকে মডুর প্রতি জমানো ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। সবাই উৎসবের ঘোষনা দিয়ে একে অন্যকে মিষ্টর ছবি পোস্ট করে মিষ্টি মুখ করাচ্ছে!! এসব দেখে মডু ঠিক থাকতে পারল না।

সোজা চলে গেল ফেলুদার কাছে! ফেলুদাও ফ্রি ছিলেন কিছুদিন ধরে। একটা কাজ পেয়ে ভালভাবেই জড়িয়ে পড়লেন। ফেসবুকে খুনখারাপি—ফেসবুকে এমন খুন খারাপি হবে কেউ জন্মেও ভাবে নি! কে কলকাটি নাড়ছে এর পিছনে?কোন সিরিয়াল কিলার? নাকী মাদক ব্যবসায়ী?না অন্য সোশিয়্যাল নেটওয়ার্কের কেউ? স্বয়ং মার্ক জুকারবার্গ ফেলুদার সাথে যোগাযোগ করলেন। এভাবে চলতে থাকলে ত একদিন ফেসবুক জনমানব শূন্য হয়ে যাবে। অপেরা মিনি মামলা—মোবাইল ব্রাউসার অপেরা মিনি থেকে ফালতু অপ্রাসঙ্গিক সব সার্চ রেজাল্ট এসে বিব্রত করতে লাগল গ্রাহকদের।

যেমন যে ভূত ভয় পায় সে কোন কিছু লিখে সার্চ দিলেই আসে ভূতের ছবি, যে তেলাপোকা ভয় পায় তার ক্ষেত্রে আসে তেলাপোকা! এটা কি ঈংগ-মার্কিন কোন ষড়যন্ত্র? না পাশ্চাত্য পুঁজিবাদী সমাজের কোন ভয়ংকর অস্ত্র? জানতে দেশের কিছু সচেতন জনতা মুখোমুখি হলেন ফেলুদার। সামু ভয়ংকর- সামহওয়ার ইন ব্লগে এসব কি হচ্ছে? একের পর এক নিক গায়েব হয়ে যাচ্ছে! নোটিশ বোর্ড বারবার বলছে এগুলোর পিছনে আমাদের কোন হাত নেই। আমরা বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে!কারা এসব করছে! পৃথিবীর বাঘা বাঘা স্পেশালিস্ট রা ব্যর্থ হল ঘতনা কি বের করতে। একদিন নোটিশবোর্ড নিকটাই গায়েব হয়ে গেল। সামু বাচাঁতেফেলুদাকে জানানো হল সব।

ফেলুদা লেগে গীলে আরেকটা রহস্য উদঘাটনে! টুইটারে ফেলুদা—টুইটারে সাইন আপ করার পরদিন ই ফেলুদা এমন একটা কেসে জড়িয়ে পড়বে কে জানত!! তার একজন ফলোয়ার মারা গেছে! কীভাবে কার হাতে সব টুইটারে বসেই বের করে ফেলতে চায় ফেলুদা। সেই কাহিনী নিয়েই এই গল্প। ডাঃ মুন্সীর ব্লগ—ডাঃ মুন্সীর ব্লগে এমন হিজিবিজি লেখাগুলো কি?তিনি সাংকেতিক ভাষায় কিছু লিখে যেতে চেয়েছিলেন? তার মৃত্যু ও অস্বাভাবিক। মুন্সীর পুত্র এই ব্লগ পোস্ট গুলোর পাঠোদ্ধারের দায়িত্ব দিলেন ফেলুদাকে। রবার্টসনের ওয়েবসাইট—রবার্টসনের ওয়েবসাইট হ্যাকার রা কেন হ্যাক করেছিল?সেই রহস্যের উন্মোচন।

অন্তর্জাল রহস্য—ইন্টারনেটে কতিপয় মারাত্বক রহস্য উন্মোচিত হয় ফেলাদার দ্বারা। আদিত্য বর্ধনের গোগল প্লাস- গোগল প্লাসে কেন ফেসবুক পাগল আদিত্য বর্ধন?কি ঘটেছে তার ফেসবুক জীবনে? বর্ধনের দুশ্চিন্তিত মা ফেলুদার শরানাপন্ন হলেন। রয়েল বেঙ্গলের ফেসবুক রহস্য—রয়েল বেঙ্গল টাইগারের নামে কে যে ফেসবুক একাউন্ট খোলে টাইগার সম্পর্কে উলটা পালটা তথ্য পরিবেশন করছে। টাইগার রা এসব দেখে রাগান্বিত হয়ে যোগাযোগ করল ফেলুদার সাথে। ।

দেশের পর্যটন শিল্প ধ্বংশ করার এই ষড়যন্ত্রে চুপ করে থাকলেন না ফেলুদা। তিনি নেমে পড়লেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার ফেসবুক রহস্য উন্মোচনে। এখানেও এক কপি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।