অন্ধকারের আলো
বাংলায় একটি জনপ্রিয় প্রবাদ হলো, সুখে থাকলে ভূতে কিলায়। লিবিয়ার পরিস্থিতি দেখলে অনেকেরই সেরকম মনে হতে পারে। বিশেষত গাদ্দাফি আমলের সুযোগ-সুবিধার দিকে তাকালে। খবর : কাতার লিভিংডটকম।
গাদ্দাফি আমলে নাগরিকরা অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতেন।
একনজর দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।
১. আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ কারও কাছেই লিবিয়ার এক পয়সাও দেনা নেই।
২. উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে সাক্ষর দেশ লিবিয়া। দেশটিতে শিক্ষিত জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোক পাশ্চাত্যের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত।
৩. দেশটির সব ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত।
এ কারণে লিবীয়দের জন্য ঋণের সুদের হার শূন্য শতাংশ।
৪. গাদ্দাফি মনে করতেন, তার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার আছে বাড়ি পাওয়ার। এ কারণে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রত্যেক নাগরিকের বাড়ি না হওয়া পর্যন্ত নিজের বাবা-মায়ের জন্য কোনো বাড়ি বানাবেন না। শেষ পর্যন্ত তার বাবা একটি তাঁবুতেই মারা যান। তখন গাদ্দাফিও তাঁবুতেই থাকতেন।
প্রত্যেক নাগরিক বাড়ি পাওয়ার পরই তিনি তাঁবু ছাড়েন। এমনকি লিবিয়ার প্রত্যেক নবদম্পতিকে বিয়ের পর একটি বাড়ি উপহার দিতেন গাদ্দাফি। ন্যাটোর বোমাবর্ষণের আগে পর্যন্ত দেশটিতে কোনো গৃহহীন নাগরিক ছিলেন না।
৫. দেশটির প্রত্যেক বেকারকে ১০০ শতাংশ বেকার ভাতা দিতেন তিনি।
৬. বিশ্বের যে কোনো দেশে পড়ার সুযোগ, সে জন্য মাসে আড়াই হাজার মার্কিন ডলারের বৃত্তি।
সঙ্গে গাড়ি ও আবাসন ভাতা। এমনকি কোনো নাগরিককে বাইরে চিকিৎসা নিতে হলে সে ব্যয় বহন করত সরকার। দেশেও প্রত্যেক নাগরিককে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হতো।
৭. দেশটিতে তেল বিক্রির একটি নির্দিষ্ট অংশ প্রত্যেক নাগরিকের নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হতো।
সূত্রঃ সমকাল,২৫ অক্টোবর ২০১১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।