বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাইকার আবাসিক প্রধান তাকাও তোদা এই তহবিলের চূড়ান্ত ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “জাপান ও জাপানিরা অবশ্যই বাংলাদেশের সঙ্গে আছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাইকা সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের ক্ষেত্রেও তা হবে। ”
মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে জাইকা বাংলাদেশকে যে সহায়তা দিচ্ছে, তার অংশ হিসাবেই ১০০ কোটি টাকার এই তহবিল গঠন করা হলো বলে জানান তিনি।
তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে এমন ভবনগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসারও পরামর্শ দেন তিনি।
জাইকা প্রতিনিধি জানান, বর্তমানে এসএমই খাতে বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে দেয়া ৫০০ কোটি টাকার তহবিল থেকে এই ১০০ কোটি টাকার যোগান দেয়া হবে। প্রয়োজনে আরো তহবিল যোগাবে জাইকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, জাপানি রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোসিমা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব খন্দকার শওকত হোসেন, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম, বিকেএমইএর পরিচালক মোস্তফা জামাল পাশা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই তহবিল বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন তহবিল হিসেবে ব্যবহার করবে।
ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাত্র ৫ শতাংশ সুদে এই তহবিল পাবে। কারখানাগুলোকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সুদে ১৫ বছর মেয়াদে ভবন স্থানান্তর বা সংস্কারের জন্য ঋণ দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম দুই বছর থাকবে গ্রেস পিরিয়ড।
কমপক্ষে ১০০ জন থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার শ্রমিক রয়েছে এমন কারখানা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবে। একটি কারখানার মানোন্নয়ন অথবা স্থানান্তরের জন্য মোট খরচের ৯০ শতাংশ পাওয়া যাবে এই তহবিল থেকে।
তবে তা কোনোভাবেই ১০ কোটি টাকার বেশি হবে না।
তবে ঋণ দেয়ার আগে কারখানার মান ও মানোন্নয়নের খরচ যাচাই করে দেখবেন জাইকা ও গণপূর্ত বিভাগের প্রতিনিধিরা।
গভর্নর আতিউর রহমান অনুষ্ঠানে বলেন, পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব খন্দকার শওকত হোসেন বলেন, “তৈরি পোশাক খাতের বেতন ও নিরাপত্তা সুবিধায় আমরা পিছিয়ে আছি। যদিও সরকার এসব বিষয়ের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য মালিকদেরও বিধি মেনে চলতে হবে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।