হৃদয়ে থাকুক বসন্ত আমিও প্রতিবাদী হয়েছিলাম। আমার চারপাশের মুখোশে ঢাকা মানুষদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ওরা দলে ভারী, তাই আমি বারবার হারিয়ে গেছি। আমাকে বুলেটের ভয় দেখানো হয়েছে। আমার প্রেমিকার শরীরে ধর্ষিতার অপবাদ লেপ্টে দিতে চেয়েছে।
তাই,আমি চুপ করে যাই। তবু, কিছু সময় আসে, আর পারিনা। মনে হয়, ক্রমশ দেয়ালে ঠেকে যাওয়া পিঠটাকে বাঁচাই।
আমাদের ভোটে সংসদে বসা মানুষগুলো আজ সার্কাসের ক্লাউন হয়েছে। তাদের কর্মকান্ডে আমাদের খুব হাসি পায়।
তারা, সকাল-বিকাল আমাদের বেচে খায়। বিশ্বের দরবারে আমাদের মাথাটাকে নিচু করে দেয়। আমাদের অহঙ্কার পায়ের তলায় পিশে দেয়। তারা বলে, আমরা শুনি। আমরা হাসি, অতঃপর আমরা ভুলে যাই।
পরেরদিন,আবার আমাদের হাসি পায়। টিকেট কিনেছি সার্কাসের। পয়সা উসুল করেই ছাড়বো।
সবাই যখন এগিয়ে যায়, আমরা তখন পেছানোর যুদ্ধে মত্ত। আমরা তেল দিতে দিতে আমাদের সামনে এগোবার পথ তৈলাক্ত করে তুলেছি।
দাতারা, হাত না ধরলে এক পা এগোনোর জো নেই। আমাদের আমলারা কোটি কোটি টাকা লুটে খায়। আমাদের ঘামেভেজা রাজস্বের টাকায় তাদের বিলাসবহুল দিন কাটে। অথচ, একটা সেতু করতে গেলেও দাতাদের পা চেটে নিতে হয়। যারা ক্ষমতায় আছে,তাদের গালি দিয়ে শান্তি।
কে যেনো বলেছিলেন, দেশভাগের পর এই উপমহাদেশে জনমত সবসময় চলমান সরকারের বিপক্ষে থাকে। আমাদের জনমত, শুধু চলমান সরকার নয়। যারা সরকার হতে রোডমার্চ করে যাচ্ছেন,তাদের বিরুদ্ধেও।
আমাদের সোনার দেশটার কি হবে? আমরা "৭১" এ পাকিস্তানি অপশক্তিকে পরাজিত করেছিলাম। আজ, কেনো চুপ?
সার্কাস দেখতে দেখতে বেলা বয়ে যায় যে।
আমাদের সন্তানের জন্য, শুন্য হাঁড়ি পড়ে থাকে। ওদের জন্য, আমরা কি করছি? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।