আমার ব্যক্তিগত ব্লগ ৯/৩/২০০০
মমতাজ হোটেল
শেখা,
কেমন আছ? আমি ভাল আছি। পুরো ১২ ঘন্টা বাস জার্নি করলাম। উঠেছি মমতাজ হোটেলের ৫ নম্বর রুমে। ৩ বেড, ৩ কন্যা মহাআরামে আছি।
এখানে মশা প্রচুর।
মশারী টানানোর পরও মনে হয় কানের কাছে গান গাচ্ছে।
হোটেল যে এতো পচা হয়, এখানে না আসলে, এতো বড় অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হতাম। রুমে ৩টা বিছানা ছাড়া, একটা টেবিল, একটা চেয়ার আর একটা আয়না আছে। ও হ্যঁা, একটা দক্ষিনের জানালাও আছে। আমাদের ঘরটাই নাকি সবচেয়ে সুন্দর।
সবার ধারনা ওদের ঠকিয়ে আমরা ভাল ঘরটা নিয়েছি। অথচ আমরা একবারেই এই ঘরে উঠেছি, অন্য ঘরে কি আছে না নেই সেটা চেক করিনি। পরে জানলাম অন্য ঘরগুলোতে জানালা নে. আসলে ভেন্টিলেটরই নেই তো জানালা তো আরও পরের কথা।
আমাদের বাথরুমের দরজায় ছিটকিরি নেই। কেউ ঢুকলে বাইরে থেকে বন্ধ করে দেই।
শাওয়ার চলে না। অন্যদের কারো কারো বাথরুমে আলো নেই .. ইত্যাদি।
তারপরও সুখে আছি। মাথা ব্যাথা করছে। পচা পানি দিয়ে ওষুধ খাচ্ছিনা।
কলের পানি দেখে মনে হলো কোন ডোবা থেকে পানি সাপ্লাই করেছে। তাই নাস্তার সময় কোকের সাথে ট্যাবলেট খাব। সারা রাস্তায় একটা পর একটা চকলেট খেয়েছি। বমি লাগলেও হয়নি।
সবচেয়ে ভাল লেগেছে ফেরিতে।
পদ্না নদীর অবস্থা ভাল না। নদীতে চর আর চর। নালার মতোন এক পাশ দিয়ে ফেরি চলাচল করে। নদীর পানির রং সবুজ। ঘোলা পানি সবুজ হলো কি করে কে জানে।
রুপসা নদীতে ফেরি পার হতে হয়েছে। ছোট ফেরি।
এখন এ পর্যন্তই থাক। ৮টায় বের হতে হবে।
ইতি
শাহানা শফিউদ্দিন
পুন: সুমি আর রত্না কানের কাছে এমন গল্প করছে, তাই অনেক কাটাকুটি হলো।
স্টাডি টুরে মাস্টার্সে পড়ার সময় বাগের হাট, মংলা আর খুলনা ঘুরেছিলাম। বাগেরহাটে পৌছার পর ছোট বোনকে এই চিঠি লিখেছিলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।