I am very simple man আপনার এ সবগুলো সমস্যাই হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। যেমন, প্রথম দুটো ক্ষেত্রে অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামের দিন কাজ বেড়ে যাওয়া বা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটা এবং প্রোগ্রামে যেতে না পারা। দুটি ক্ষেত্রেই আপনি হয়তো অবচেতনভাবেই চাচ্ছিলেন না প্রোগ্রামে যেতে। সেজন্যে বাস্তবে কোনো না কোনো অজুহাত এসে বাধাগ্রস্ত করছে আপনাকে। হয়তো শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করলেন বা এমন একটা কারণ হলো যে আপনার আর যাওয়া হলো না।
যেমন, অনেক ছাত্র-ছাত্রীই আছে দিব্যি সুস্থ। কিন্তু পরীক্ষার সময় এগিয়ে আসতেই সে অসুস্থ। কারণ পরীক্ষাকে সে ভয় পাচ্ছে, কোনোভাবে এড়াতে চাচ্ছে, সেজন্যেই এ অসুস্থতা। আবার যার ইচ্ছাশক্তি প্রবল সে হয়তো টাইফয়েড নিয়েও পরীক্ষা দিচ্ছে। অন্যজন হয়তো সামান্য পেট ব্যথার সামনেই কাবু হয়ে যাচ্ছে।
অর্থাৎ মূল ব্যাপারটি হচ্ছে অবচেতন মনে ইচ্ছার তীব্রতা। অবচেতন মন না চাইলে বাস্তবেও বাধা বিপত্তি এসে হাজির হয়। তখন মনে হয় হয়তো নিয়তি বা ভাগ্য এটা করেছে। কিন্তু আসল নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ঐ ব্যক্তির হাতেই। অতএব কোনো পরিস্থিতির দোহাই দেবেন না।
যা আপনি করতে চান, সেভাবে অগ্রাধিকার ঠিক করে ফেলুন এবং কাজটি করার জন্যে আন্তরিকভাবে সচেষ্ট হোন। তাহলেই দেখবেন অজুহাত না দিয়ে আপনি কাজটি করতে পারছেন।
আর পড়াশোনার বাধার ক্ষেত্রে বলা যায় যে এখানেও আপনার দৃঢ়তার অভাব। আপনি যদি পড়াশোনাকে প্রায়োরিটি দিতেন তাহলে যত বাধাই আসুক আপনি সেটা করতে পারতেন। কারণ আপনি তো ঐ সময়ে কোনো না কোনো কাজ করছেন।
অন্য কাজ করার জন্যে আপনি সময় পাচ্ছেন। কিন্তু পড়াশোনার জন্যে পাচ্ছেন না। কেন? কারণ আপনি এটাকে প্রায়োরিটি দিতে পারেন নি। তাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হোন যে আপনি এ কাজটি করবেন। কারণ কাজ না করার হাজারটা অজুহাত দেয়া যেতে পারে।
কিন্তু কাজ করার জন্যে একটা অজুহাতই যথেষ্ট যে আমি কাজটি করবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।