আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইনস্টাইনের অসম্পূর্ণ মতবাদ সম্পূর্ণ করেছেন রাবির ২ পদার্থ বিজ্ঞানী

বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের অসম্পূর্ণ মতবাদকে সম্পূর্ণ করাসহ এ সংক্রান্ত নতুন তিনটি সমীকরণ ও কিছু মৌলিক ধ্রুব সংখ্যা আবিষ্কার করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পদার্থ বিজ্ঞানী। এরা হলেন ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ওসমান গণি তালুকদার এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অপর অধ্যাপক মুশফিক আহমেদ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ দাবি করেন। আগামী ডিসম্বর মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে গবেষণালব্ধ এসব ফল তুলে ধরবেন বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা ঘোষণা দেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ওসমান গণি তালুকদার।

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গবেষণা করে তারা এ সাফল্য লাভ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের মতবাদ অনুসারে কোন বস্তুর গতি আলোর চেয়ে বেশি হতে পারে না। আর এ সংক্রান্ত বিষয়ে আইনস্টাইন দিয়ে গেছেন পাঁচটি সমীকরণ এবং একটি মৌলিক ধ্রুব সংখ্যা। কিন্তু এ যাবৎ আইনস্টাইনের এ মতবাদ ছিল অসম্পূর্ণ। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে তারা নানাভাবে প্রমাণ পেয়েছেন যে, বস্তুর গতি আলোর গতির চেয়ে বেশি হতে পারে।

বস্তুর গতি যে আলোর গতির চেয়ে বেশি হতে পারে এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ ও উপাত্ত সহকারে ২০০১ সালে ওসমান গণি তালুকদার ্তুঅহ অষঃবৎহধঃরাব অঢ়ঢ়ৎড়ধপয ঃড় ঃযব জবষধঃরারঃু্থ নামক একটি বইও প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওই বইটি প্রকাশ করার আগে তারা উভয়েই এ বিষয়ের ওপর লেখা কিছু গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশের জন্য পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তখন কোন জার্নালই তাদের এ প্রবন্ধ প্রকাশ করেনি এই ভেবে যে, আইনস্টাইনের তত্ত্বের বাইরে যাওয়া যাবে না। তখন বাধ্য হয়েই ওই বইটি প্রকাশ করা হয়। আর এ বইটি প্রকাশ করার আগে ২০০১ সালের ২০শে মে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেয়া হয়, নিউট্রিনো নামক বস্তুকণিকা আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের মতবাদকে লঙ্ঘন করে অর্থাৎ নিউট্রিনো নামক বস্তুকণিকা আলোর গতির চেয়ে বেশি বেগে চলে।

২০০১ সালের ৫ই জুন ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভার এবং ওই একই বছরের ৬ই জুন প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, বস্তুর গতি যে আলোর গতির চেয়ে বেশি হতে পারে- এ সংক্রান্ত তাদের নির্ণিত তিনটি সমীকরণের মধ্যে দু’টি সমীকরণ সংবলিত একটি প্রবন্ধ কানাডার একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের জন্য তারা চলতি বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর পাঠিয়েছেন, যা এখন প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিউট্রিনো নামক এক বস্তুকণিকা আলোর চেয়ে যে বেশি বেগে চলতে পারে- পরীক্ষা করে সমপ্রতি তার প্রমাণ পেয়েছেন সুইজারল্যান্ডের সার্ন গবেষণাগারের একদল গবেষক। তারা (অধ্যাপকদ্বয়) বলেন, সার্নের বিজ্ঞানীদলের ফলাফল আমাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে সেই মতবাদকে সম্পূর্ণতা দান বা সমপ্রসারিত করার। তারা বলেন, এ ব্যাপারে সার্নের ওই গবেষক দল এখন পর্যন্ত কোন সমীকরণ দাঁড় করাতে পারেনি।

সার্নের গবেষকদের এ ঘটনাটি বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয় চলতি বছরের ২৩শে সেপ্টেম্বর। এর আগে থেকেই তারা (অধ্যাপক ওসমান গণি তালুকদার ও অধ্যাপক মুশফিক আহমেদ) সংবাদ সম্মেলন করে, বই প্রকাশ করে এবং প্রবন্ধ লেখাসহ নানাভাবে ঘোষণা দিয়ে আসছেন যে, বস্তুর বেগ আলোর বেগের চেয়ে বেশি হতে পারে এবং এ সংক্রান্ত নতুন সমীকরণ দাঁড় করানোসহ কিছু মৌলিক ধ্রুব সংখ্যাও আবিষ্কার করেছেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।