মানুষের ইতিহাসের সবচেয়ে মেধাবী মানুষদের একজন আলবার্ট আইনস্টাইন । সুতরাং ইশ্বর ও ধর্ম সম্পর্কে তার ধারণা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হবে এটাই স্বাভাবিক। নাস্তিকরা যেমন টানাটানি করে তেমনি ধার্মিকরাও টানাটানি করে। বল্গে এ নিয়ে প্রায়ই তর্ক বিতর্ক দেখা যায়। কেউ জোর করে নাস্তিক বানায় আবার কেউ জোর করে ধার্মিক বানায়।
তাই আইনস্টাইনের মন্তব্যসহ এই ব্যাপারটি পরিষ্কার করার জন্য লিখলাম।
তিনি কি নাস্তিক ছিলেন? না।
তিনি কি ধার্মিক ছিলেন? না।
প্রথম প্রশ্নে আসি। তিনি বেশ পরিষ্কার ভাবেই বলেছেন যে তিনি নাস্তিক নন।
বারবার এ ধরনের প্রশ্নে তিনি বিরক্তও ছিলেন। উগ্র নাস্তিকতাকে তিনি অপছন্দ করতেন। এ ব্যাপারে তার কিছু মন্তব্য দেয়া হল ;
I believe in Spinoza's God who reveals himself in the orderly harmony of what exists, not in a God who concerns himself with the fates and actions of human beings. (Albert Einstein)
I'm not an atheist, and I don't think I can call myself a pantheist. We are in the position of a little child entering a huge library filled with books in many languages. The child knows someone must have written those books. It does not know how. It does not understand the languages in which they are written. The child dimly suspects a mysterious order in the arrangement of the books but doesn't know what it is.
What separates me from most so-called atheists is a feeling of utter humility toward the unattainable secrets of the harmony of the cosmos. (Albert Einstein to Joseph Lewis, Apr. 18, 1953)
Then there are the fanatical atheists whose intolerance is the same as that of the religious fanatics, and it springs from the same source . . . They are creatures who can't hear the music of the spheres. (The Expanded Quotable Einstein, Princeton University Press, 2000 p. 214)
দ্বিতীয় প্রশ্নেরও উত্তরও না। তিনি কোন প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাস করতেন না। ধর্মকে তিনি মানুষের তৈরী মনে করতেন।
কোন ঐশ্বরিক বাণীতে তিনি বিশ্বাস করতেন না। নৈতিকতার প্রয়োজন থেকে মানুষ ধর্ম তৈরি করেছে বলে তিনি মনে করতেন। সমস্ত ধর্মই মানবসৃষ্ট মুনে করলেও ধর্ম বিদ্বেষী ছিলেন না। কোন কোন সময় তাকে অজ্ঞেয়বাদীও মনে হয়েছে। ধর্মীয় ইশ্বরে বিশ্বাসকে কখনো কখনো শিশুসুলভতা বলেছেন।
ধর্ম সম্পর্কে বা ধর্মীয় ঈশ্বর সম্পর্কে তার মন্তব্য পড়লে ব্যাপারটি পরিষ্কার হবে।
I have repeatedly said that in my opinion the idea of a personal God is a childlike one, but I do not share the crusading spirit of the professional atheist whose fervor is mostly due to a painful act of liberation from the fetters of religious indoctrination received in youth. I prefer an attitude of humility corresponding to the weakness of our intellectual understanding of nature and of our own being. (Albert Einstein)
I do not believe in a personal God and I have never denied this but have expressed it clearly. If something is in me which can be called religious then it is the unbounded admiration for the structure of the world so far as our science can reveal it. (Albert Einstein, 1954)
A man's ethical behaviour should be based effectually on sympathy, education, and social ties and needs; no religious basis is necessary. Man would indeed be in a poor way if he had to be restrained by fear of punishment and hope of reward after death.
(Albert Einstein, "Religion and Science", New York Times Magazine, 9 November 1930)
I cannot imagine a God who rewards and punishes the objects of his creation, whose purposes are modeled after our own -- a God, in short, who is but a reflection of human frailty. Neither can I believe that the individual survives the death of his body, although feeble souls harbor such thoughts through fear or ridiculous egotisms.
(Albert Einstein, Obituary in New York Times, 19 April 1955)
The idea of a personal God is an anthropological concept which I am unable to take seriously.
(Albert Einstein, Letter to Hoffman and Dukas, 1946)
The foundation of morality should not be made dependent on myth nor tied to any authority lest doubt about the myth or about the legitimacy of the authority imperil the foundation of sound judgment and action. (Albert Einstein)
We know nothing about [God, the world] at all. All our knowledge is but the knowledge of schoolchildren. Possibly we shall know a little more than we do now. but the real nature of things, that we shall never know, never. (The Expanded Quotable Einstein, Princeton University Press, Page 208)
তিনি প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক নিয়ম কানুনকে বা শৃংখলকে এক ধরনের ইশ্বর মনে করতেন। তবে তা অবশ্যই ধর্মে বর্ণিত ইশ্বর নয়। কখনো প্রাকৃতিক নিয়ম কানুনের সম্মিলনকে এক ধরনের ধর্ম মনে করতেন। তবে বুদ্ধদর্শনকে তিনি ভবিষ্যত পৃথিবীর ধর্ম হিসেবে উপযোগী মনে করতেন।
সাথে গান্ধী দর্শনকে শ্রদ্ধা করতেন। এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য দুটি হল;
The religion of the future will be a cosmic religion. It should transcend personal God and avoid dogma and theology. Covering both the natural and the spiritual, it should be based on a religious sense arising from the experience of all things natural and spiritual as a meaningful unity. Buddhism answers this description. If there is any religion that could cope with modern scientific needs it would be Buddhism. (Albert Einstein)
It is my belief that the problem of bringing peace to the world on a supranational basis will be solved only by employing Gandhi's method on a larger scale.
(নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে লেখার চেষ্টা করেছি । আইনস্টাইনের ধর্ম,শিক্ষা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে আগ্রহ হলে The world as I see it বইটি পড়ে দেখতে পারেন। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।