দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলার এমন একটি আকাশযান তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা হবে ফ্লাইং সসারের মতো। তিনি লন্ডন এবং নিউইয়র্ক-এ আক্রমণ করার লক্ষ্যে ফ্লাইং সসার তৈরি করছিলেন মাটির নীচের গোপন একটি টানেলে। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস-এর।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নাৎসি বাহিনীর আনআইডেন্টিফাইন্ড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) তৈরি হচ্ছিল জার্মানির থুরিনজিয়ার জোনাস ভ্যালিতে। এসএস জেনারেল হ্যান্স ক্যামলার এর তত্ত্বাবধানে, দাসশ্রমিকদের দিয়েই এই ফ্লাইং সসার তৈরি করেছিলেন হিটলার।
জানা গেছে, যুদ্ধে জয়ী হবার লক্ষ্যে এই ‘আশ্চর্য যুদ্ধাস্ত্র’ তৈরি করতে পেরেছিলেন হিটলার। কারণ, জনশ্রুতি রয়েছে ১৯৪৪ সালে টেমস-এর ওপর দিয়ে অনেক কম উচ্চতায় ফ্লাইং সসার দেখা গিয়েছিলো। আর সে সময় ইউএফও বিষয়ে আমেরিকার তৎপরতা ও লুকোচুরি সাক্ষ্য দেয়, আদতেও ইউএফও তৈরি করতে পেরেছিলেন হিটলার।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রহস্যময় এসব ফ্লাইং সসারগুলো ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারতো। তবে, এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব কাগজপত্রই জার্মানরা ধ্বংস করে ফেলে।
জানা গেছে, নাৎসি ইউএফও প্রকল্পটি ১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সালের মধ্যে প্রাগ শহরে ২ জন প্রোকৌশলী পরিচালনা করেছিলেন। পরে এটি তৎকালীন আর্মানেন্টস মন্ত্রীর অধীনে চলে আসে। ১৯৪৪ সালে এই প্রকল্পটি দেখা শুরু করেন ক্যামার।
স্কাইভার-হেবারমোল প্রকল্পে কাজ করা প্রোকৌশলী জোসেফ আন্দ্রেজ এপ দাবি করেছেন, সেসময় কমপক্ষে ১৫ টি ফ্লাইং সসার তৈরি করা হয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।