শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ কথা জানিয়েছে।
পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নারী ও অনগ্রসর আদিবাসীদের সংরক্ষিত কোটা অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দিয়ে কোটা পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা নিরসণে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বর্তমানে দেশে পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য। প্রতিবন্ধী এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ও জেলা কোটা ১০ শতাংশ করে। সব মিলিয়ে কোটার জন্য বরাদ্দ ৫৬ শতাংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সুচিন্তিত সংস্কার চায় ফোরাম। যাতে প্রকৃত মেধার মুল্যায়ন হয় এবং একই সঙ্গে মানবসম্পদের সমন্বিত উন্নয়ন ঘটে।
“কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা, নারী, আদিবাসীসহ বিভিন্ন কোটা বাতিলের দাবি নিয়ে যেভাবে প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হচ্ছে, যেভাবে চারুকলা বিভাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্নস্থানে সহিংস তৎপরতা চালঅনো হচ্ছে, তাতে এ আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে ফোরাম সন্দিহান। ”
৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল বাতিলের দাবিতে একদল পরীক্ষার্থী বুধবার থেকে আন্দোলন শুরু করে। তাদের আন্দোলনের মুখে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ওই ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত জানালেও আন্দোলনকারীরা মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
কোটা বাতিলের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এদিন যার যার বিশ্বাবিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। মানববন্ধন করে চট্টগ্রাম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই বিএনপি ও জাময়াতে ইসলামী কোটা পদ্ধতি তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে।
১৯৭২ সালে সরকারি কর্মচারী নিয়োগে মাত্র ২০ শতাংশ ছিল মেধা কোটা, ৪০ শতাংশ ছিল জেলা কোটা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ১০ শতাংশ যুদ্ধবিধ্বস্ত নারী কোটা।
এই কোটা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে ৭২ সালে মেধা কোটায় বরাদ্দ হয় ৪০ শতাংশ, আর জেলা কোটায় ২০ শতাংশ।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আগের মতোই ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়।
১৯৮৫ সালে এ ব্যবস্থা আবারো বদলানো হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৪৫ শতাংশ পদ, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্যে ১০ শতাংশ এবং প্রথমবারের মতো উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্যে ৫ শতাংশ পদ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।