আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মহত্যা প্রতিরোধে সোচ্চার চবির ছাত্র ছাত্রী রা

Attention Every CU student !!!!!please copy ,paste and share । গত ৩ বছরে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিক্ষক মিলিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন । এর মধ্যে এক জন শিক্ষক ও আছেন । লিংক বিশ্ববিদ্যালয় জীবন , জীবনের স্বর্ণ সময় । এ সময় স্বপ্ন দেখার ও স্বপ্ন পূরণের সোপান তৈরির সময় ।

সৃষ্টিশীলতার সাথে তারুন্নের উচ্ছলতার সমন্বয়ের সময় । কিন্তু জীবনের সবচেয়ে মধুময় এই সময়ে একজন তরুন কা বেছে নেবে আত্মহননের মত বিধ্বংসী পথ ? সবচেয়ে মূল্যবান যে জীবন তাকে হেলায় সে দিয়ে দেয় কোন সাহসে অথবা কোন হতাশায় ? তিন মাসে তিন জন ( যাদের মধ্যে দুইজন আবার একই অনুষদের ) মেধাবি আত্মহননে প্রান দিল কোন হতাশায় ? এর দায় কি কেবল ই তাদের ? না আমরা “থ্রী ইডিয়টস ‘’ সিনেমার মত কারো দিকে আঙ্গুল তাক করে বলছিনা “ This is not suiside , this is killing “। আমি শুধু বলব আমার বন্ধু , আমার সহ পাঠী , আমার শিক্ষক এদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে না পারার ব্যারথতা আমার ও । আমার ও আছে দায় । দায় আছে ছাত্র শিক্ষক সমন্নয় হীনতার ।

দায় আছে সেশন জটের । দায় আছে ছাত্র শিক্ষক সম্পরকের। কিন্তু না। আর এমন মৃত্যু চাইনা । এমন মৃত্যু আর কাম্য নয় ।

যদি আমরা আমাদেরন সোচ্চার আর কোন বন্ধু আর কোন ভাই আর কোন সহ পাঠিকে অকালে হারাতে না চাই , তবে আমাদের উচিত এখন ই সোচ্চার হওয়া । উচিত বিশ্ববিদ্যালয় তথা প্রতিটি বিভাগের একাডেমিক মান উন্নয়ন । ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কের মান উন্নয়ন । তাই আমরা চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ আসুন সোচ্চার হই নিম্নের দাবিগুলোতে ১ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ সাইকো থেরাপি সেন্টার চালু করতে হবে । ২ প্রত্যেক হল এবং অনুষদে মনঃ স্তত্ত বিদ নিয়োগ দিতে হবে ।

৩ সেশন জট কমাতে হবে, যথাসময়ে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে । ৪ ছাত্র উপদেষ্টার পদ কার্যকর করতে হবে । ৫ প্রত্যেক বিভাগে শিক্ষকদের সমন্নয়ে কাউন্সিলিং টিম গঠন করতে হবে ৬, অসুস্থতার কারনে ইয়ার ড্রপ কারীদের বিশেষ পরীক্ষার ব্যাবস্থা করতে হবে । এই দাবিগুলো আদায়ে আগামি ১৯ তারিখ প্রত্যেক অনুষদের ডিন এবং ভিসি বরাবর দাবিগুলো পেশ করা হবে । শোক র‍্যালি বের করা হবে ।

কাল ১৬ তারিখ দাবি আদায়ে সাক্ষর সংগ্রহ করা হবে । আপনারা সবিনয় সহযোগিতা ও অংশ গ্রহন করবেন আশা করি । আসলে এটা সহ যোগিতা নয় এটা হয়ে উঠুক আমাদের সচেতনতার অংশ । আমেরিকান ঔপন্যাসিক আরনেস্ট হেমিং ওয়ে বলে ছিলেন “আত্মহত্যা কাপুরুষের কাজ “,কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তিনি নিজেই জীবনের ইতি টানেন নিজের মাথায় নিজে গুলি করে । মনে রাখবেন আত্মহত্যা সাহসিকতা(braveness) ও না কিংবা ভীরুতাও(cowardness ) না , এটি একটি মানসিক অসুস্থতা ।

আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে অন্য কেও সচেতন ও সহায়তা করতে হবে । তাই আসুন উপরোক্ত দাবিগুলো আদায়ে সোচ্চার হই । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.