© ২০০৬ - ২০১১ ত্রিভুজ
আমার পরিচিত বা অপরিচত মানুষদের মৃত্যুতে আমি তেমন শোকাহত হইনা। বিশেষত যাদের কাজকর্মগুলো আমার বিশেষ পছন্দ নয়। আবার এমন সব ব্যক্তির মৃত্যুতে খারাপ লাগে যাদের চিনতামও না। ঘটনাটা কারো কাছে শুনে অনেক খারাপ লেগে যায়।
কুমিল্লাতে একবার শুনেছিলাম একটি আত্মহত্যার ঘটনা।
মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তার উপর এতই অত্যাচার করেছিলো যে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। অনেক স্যাড স্টোরি। শুনে বেশ কয়েকদিন মন খারাপ হয়ে ছিলো। মানুষ কেন আত্মহত্যা করে সেটা নিয়ে অনেক ভেবেছিলাম। একটা কথাই শুধু মনে ফিরে ফিরে এসেছে যে একটা মানুষের কষ্টের সীমা অতিক্রম করে ফেললে হয়তো আত্মহত্যা করে।
হটাৎ করেই মানুষ জীবনের মানে হারিয়ে ফেলে। বুঝে উঠতে পারে না কেন বেঁচে থাকবে।
আমার পরিচিত একটি ছেলে ছিলো নাম দুরন্ত। কেন জানি না এই ছেলেটি আমার অনেক ভক্ত হয়ে যায়। তার যেকোন সমস্যা যেকোন বিষয়েই আমার কাছে পরামর্শের জন্য ছুটে আসতো।
ফোন করতো। ছেলেটি হিন্দু ছিলো এবং জানতো সন্দেশ টাইপ মিষ্টিদ্রব্য আমি পছন্দ করি। এমন কোন পুজো যায়নি যখন সে আমার জন্য সন্দেশ জমিয়ে রেখে সময় সুযোগ মত দিয়ে না গিয়েছে। মাঝে মাঝে খুবই বিরক্ত হতাম। সেই বিরক্ত প্রকাশ করলে ছেলেটি ভয়াভয় লজ্জ্বায় পড়ে যেতো।
বার বার সরি বলতো। তাই তার সামনে বিরক্তও প্রকাশ করতাম না খুব একটা। তবে এটা নিশ্চিত যে এরকম সাদা মনের মানুষ আমি খুব একটা দেখিনি। কিছুক্ষন আগে সেই ছেলেটিরই মৃত্যু সংবাদ পেলাম। শুনলাম সুইসাইড করেছে।
মনটা ভয়ানক খারাপ হয়ে গেল। নিজের অনেক পরিজনের মৃত্যুতেও এতটা খারাপ লাগেনি....
.... সবসময় পরামর্শ চাইতে আসা ছেলেটা একটিবারো আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলো না মরে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা কি ভুল না সঠিক! কি হতো শেষবারের মত একেবার পরামর্শ চাইতে এলে? মনটা সত্যিই অনেক খারাপ হয়ে আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।