আত্মহত্যা মানে নিজকে নিজে ধ্বংস করা। নিজ হাতে নিজের জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের পরিসমাপ্তি ঘটানো। ডাক্তার বা চিকিৎসকগণ আত্মহত্যার চেষ্টা করাকে মানসিক অবসাদজনিত গুরুতর উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। অনেক ধর্মেই আত্মহত্যাকে পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যখন জ্ঞান-বুদ্ধি-উপলব্ধি-অনুধাবন শক্তি লোপ পায়, নিজকে অসহায়-ভরসাহীন মনে হয়, তখনই মানুষ আত্মহত্যা করে।
আত্মহত্যা হল ঈশ্বরের বিরুদ্ধে একটি ভয়ানক পাপ৷
প্রতিবছর প্রায় দশ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে। কিশোর-কিশোরী আর যাদের বয়স পঁয়ত্রিশ বছরের নিচে তারাই আত্মহত্যা বেশী করে থাকে । নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার অনেক বেশি। কোরানে বলা হয়েছে-আত্মহত্যা মহাপাপ। এ কাজ থেকে বিরত থাকতে মহান আল্লাহ্ তা’আলা বিশেষভাবে নির্দেশ দান করেছেন এবং এর পরিনামের কথা ভাববার জন্য কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে মহা পবিত্র আল কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন।
মহান আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন, “আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। এবং যে কেউ জুলুম করে, অন্যায়ভাবে উহা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্য আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করবো, আল্লাহর পক্ষে উহা সহজসাধ্য। ” (সূরা-নিসা-২৯-৩০)
নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে দেখা যায় যে, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে ৮৭% থেকে ৯৮% আত্মহত্যাকর্ম সংঘটিত হয়। উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে এ ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভবপর।
যখন একজন ব্যক্তি আত্মহত্যার বিষয়ে ব্যাপক চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন, তখনই তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। মনোবিদগণ বলেন যে, যখন ব্যক্তি নিজেকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে তা জানামাত্রই সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে কাউকে জানানো।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে সেও জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজ হাতে বিষপান করতে থাকবে। যে কোন ধারালো অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করেছে তার কাছে জাহান্নামে সে ধারালো অস্ত্র থাকবে যার দ্বারা সে সর্বদা নিজের পেটকে ফুঁড়তে থাকবে।
যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে দোজখে অনুরূপভাবে নিজ হাতে ফাঁসির শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। আর যে বর্শা ইত্যাদির আঘাত দ্বারা আত্মহত্যা করে- দোজখেও সে সেভাবে নিজেকে শাস্তি দেবে।
নতুন প্রতিবেশী বেড়াতে এল আমার বাসায়।
‘কী করছেন?’ আমার ঘরে ঢুকতে ঢুকতে সে জিজ্ঞেস করল।
‘প্যান্ট ইস্তিরি করছি।
’
‘ওভাবে কেউ প্যান্ট ইস্তিরি করে? এভাবে করুন। ’
আমার প্যান্টটা হয়ে গেল চমৎকারভাবে ইস্তিরি করা শর্টসের মতো। ফুটবলাররা যেমন পরে।
কয়েক মিনিট বাদেই আবার এল সে। জিজ্ঞেস করল, ‘কী করছেন?’
‘ফ্রিজ মেরামত করছি।
’
‘ওভাবে কেউ ফ্রিজ মেরামত করে? এভাবে করুন। ’
আমার ফ্রিজের ভেতরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়াল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ভালিয়া এল। ওকে নিয়ে কোথাও যেতে ইচ্ছে করল না। তাই বাসাতেই বসে রইলাম আমরা।
‘কী করছেন?’ ঘরে ঢুকতে ঢুকতে জিজ্ঞেস করল প্রতিবেশী।
‘বান্ধবীকে চুমু খাচ্ছি। ’
‘ওভাবে কেউ চুমু খায়?’
জীবনটা অসহনীয় হয়ে উঠল।
আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
‘কী করছেন?’ আমি টুলের ওপর দাঁড়াতেই ঘরে ঢুকে সে প্রশ্ন করল।
‘গলায় দড়ি দিতে যাচ্ছি। ’
‘ওভাবে কেউ গলায় দড়ি দেয়? দেখুন, কীভাবে তা করতে হয়। ’
বেঁচে থাকা সহজতর হয়ে উঠল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।