বৃহস্পতিবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, “এ রায়ে পুরো দেশের মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটেছে। জামায়াত নিয়ে ট্রাইব্যুনাল যা বলেছেন তা একেবারেই সঠিক। ”
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, “এই রায়ে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। আদালত রায় দেয়ার সময় ১৯৭১ সালে জামায়াতের ভূমিকা তুলে ধরেছেন। জামায়াত থেকেই আলবদর- আল শামসের উৎপত্তি হয়েছে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
তারা একাত্তর সালে পাকিস্তানবাহিনীর ডেথস্কোয়াড হিসেবে কাজ করেছেন। ”
“রায়ে বলা হয়, কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড না হলে যারা একাত্তরে শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি সুবিচার হবে না। ”
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরে আল বদর বাহিনী ডেথস্কোয়াড হিসেবে কাজ করেছে-এ বিষয়টিও রায়ে উঠে আসায় তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
এ রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রসিকিউটর নুর জাহান মুক্তা।
এ রায় ‘যুগান্তকারী’ বলে মন্তব্য করেছেন আরেক প্রসিকিউটর একে সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “যে দুটি অভিযোগ প্রমাণ করতে পারিনি। সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে। সব কিছু পর্যালোচনা করে এর বিরুদ্ধে আপিল করবো। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।