তবে উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ থাকায় সেখানে ফাঁসির রায় আসবে বলে আশা করছেন তিনি।
গোলাম আযমের মামলার রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মহিউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে ব্যক্তি একাত্তরে রাজাকারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার নেতৃত্বেই গণহত্যাসহ নানা অপকর্ম হয়েছে, তার ফাঁসি না হওয়া দুঃখজনক।
মহিউদ্দিন চৌধুরী নিজের দল ও বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে গোলাম আযমসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সক্রিয় ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার জামায়াতে ইসলামীর মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
এই রায়ে হতাশা প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুও।
সিপিবির চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ রায় জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধুলিস্যাৎ করেছে।
“জাতি কোনোভাবেই এ রায় মেনে নেবে না,” বলেন তিনি।
মহাজোটের শরিক ওর্য়াকার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলা সম্পাদক আবু হানিফ বলেন, “আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল ফাঁসির রায়। সব অপরাধ প্রমাণিত হবার পরও মৃত্যুদণ্ড না দেয়া দুঃখজনক।
বাসদ (একাংশ) এর চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী মানস নন্দী বলেন, এ রায় জনগণের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি।
এতে জনমতের প্রতিফলন তো ঘটেইনি, বরং তাদের আহত করেছে।
‘মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান’
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় শহীদজায়া মুশতারি শফি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী গোলাম আযমকে বয়স বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ড না দেয়া মানে মুক্তিযুদ্ধাদের অপমান করা।
এই রায়কে ‘প্রহসনের রায়’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “এই রায় জনগণের চোখে ধূলা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক অনুপম সেন বলেন, “গণহত্যার সর্বাধিনায়কের মৃত্যুদণ্ড না হওয়ার চেয়ে হতাশ ও দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।
মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান সংবিধান সংশোধনের দাবি তুলেছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংবিধানের ৪৯ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সব মামলার আসামিদের ক্ষমা করে দিতে পারেন।
তার সন্দেহ ক্ষমতার পালা বদল হলে যুদ্ধাপরাধীরা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।
তাই সংবিধানের ৪৯ ধারা সংশোধন করে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা না করার বিধান যোগ করার দাবি করেন ডা. মাহফুজুর।
চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক-কবি আবুল মোমেনও গোলাম আযমের রায়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।