সাধারণ মানুষের সাধারণ কথা। এক) ::: ঢাকা শহরে যারা বাসে যাতায়াত করেন। এই শব্দটি তাদের কাছে খুবই পরিচিত। বাসে চড়ে প্লাষ্টিক শব্দটি শুনেননি এমন কেউ হয়ত নেই। দামী প্রাইভেট কার বাসের পাশ দিয়ে যাচ্ছে।
অথচ বাসের হেলপর বলছে, ওস্তাদ বামে প্লাষ্টিক।
কথাটি যদি গাড়ির মালিক শুনতো। তবে নিশ্চই বলত কোন দেশে বাস করছি। এ এক আজব দেশ। হয়ত গাড়ি থেকে নেমে কানটা টেনে দিত।
ছেড়া প্যান্ট, ছেড়া গ্যাঞ্জি গায়ের হেলপার কি বলে? এমন দামী গাড়ি। তাও প্লাষ্টিক বলে অপমান। আসল কথা হচ্ছে। বাসের কাছে যত দামী হোক, প্রাইভেট কারের খাওয়া নাই। একটু ঘষা লাগলে নিমেষেই শেষ হয়ে যাবে।
এই জন্য হেলপারও পাত্তা দেয় না। এটা আমাদের সমাজেরই একটা প্রভাব। বেচারা গাড়ীর মালিক অসহায় মনে হয়। বাস-ট্রাক দেখলে মনে হয় জম দেখে। কি করবেন।
গাড়ীর মালিক। পাত্তাও পায় না। একজন হেলপারের কাছে। বর্তমান সমাজের চিত্রটাই এই রকম। বড় এবং ছোটদের মাঝে অনেক তফাৎ।
বড়দের দাপট সব জায়গায় থাকলেও। সেই প্রতিশোধই কি নিচ্ছে বাসের হেলপার !!! শুধু প্লাষ্টিক নয় আরো অনেক শব্দ ব্যবহার করে বাসের হেলপার। যাহা মুখে বলা যায় না। বাকীটা বাসে বসে বসে শুনবে প্লিজ।
দুই) ::: ঢাকা শহরে প্রচুর বাস চলাচল করে।
প্রায় বেশীর ভাগ বাসের চালক হচ্ছে অল্প বয়সী। এমনকি কারও কারও বয়স হয়ত: ১৮-৩০ বছরের মধ্যে হবে। অল্প বয়সে এত বড় বাস চালানোর যোগ্যতা কি তার হয়েছে? কে দিল তাকে লাইসেন্স। এত অল্প বয়সের কারনে। অভারটেক করার মানসিকতা জন্মে।
মাথা যেকোন সময় গরম হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। বিচার বিশ্লেষন করবে কি? তারতো কম বয়স। ফলে যেকোন কিছুই ঘটাতে পারে। দ্রুত গতির উঠানামা, অভারটেকিং অন্য গাড়িতে তোয়াস্কা না করা। সব কিছুতো আমাদের মত সাধারন যাত্রীর জন্য হুমকি।
আমিতো মনে করি সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পিছনে এটাও একটা কারন।
যাই হোক, সচেতনতা দরকার আমাদের সবার।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।