সিলেটে রোডমার্চ ও চারদলীয় জনসভায় জামায়াতকে খুশি করতে পারেনি বিএনপি। পদে পদে বঞ্চিত করেছে তাদের। জনসমুদ্রে জনতার স্রোত জামায়াতের বেশি থাকলেও মঞ্চে তাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে কম। বক্তব্যে দেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় অনেক নেতার। এমন অভিযোগ জামায়াতের।
মহাসমাবেশ শেষে চারদলীয় ঐক্যজোটের মধ্যে এমন কানাঘুষা এখন বেশ জমেছে। মঞ্চে ৫৩ জন বক্তার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর ৩ জন নেতা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পান। সংখ্যাগরিষ্ঠ উপস্থিতি নিয়ে মঞ্চে অনেকটা সংখ্যালঘিষ্ঠতা পেয়ে দলটিতে এখন কিছুটা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে দলটির কেন্দ্রীয় সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।
চারদলে নিজেদের অবস্থান নিয়ে শংকিত তারা। এ অবস্থায় জোটের চলমান আন্দোলনে ঐক্যপ্রক্রিয়া বাধা সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছে দলটির সিলেট মহানগর নেতৃবৃন্দ।
অন্যান্য রোডমার্চ ও জনসভায় এর প্রভাব পড়বে বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জনসভা ও রোডমার্চকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দু’টি দলের নেতাকর্মীরা শুরুতেই মাঠ দখলে নামনে। মাঠের অগ্রভাগে বিএনপি অবস্থান পাকাপোক্ত করলে দলীয় নেতাদের বক্তব্যের সময় বিভিন্ন সেøাগান ধ্বনি তুলে সর্বত্রই তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছিল জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
জনসভার দিন ভোরেও ডিজিটাল ব্যানার টানানো নিয়ে বিএনপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে জামায়াত।
জনসভাস্থলের আশপাশে সাঈদী-নিজামীর মুক্তির দাবি সম্বলিত ব্যানার টানানো শুরু করে তারা।
তবে একাজে সফল হতে পারেনি তারা। স্বেচ্ছাসেবক দল এতে বাধা দেয়।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সামসুজ্জামান জামান বাংলানিউজকে জানান, সাঈদী-নিজামীর মুক্তির দাবিতে ব্যানার জনসভায় বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। এজন্য তিনি বাধা দিয়েছেন।
তবে ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সেক্রেটারি মাহমুদুর রহমান দিলওয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ‘যেখানে জিয়া, খালেদা এবং তারেক জিয়া ছবি সম্বলিত ব্যানার শোভা পাচ্ছে সেখানে সাঈদী-নিজামীর মুক্তির ব্যানার লাগাতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
’
তিনি আরও জানান, ছাত্রশিবিরের কাউকে বক্তব্যে দেওয়া হয়নি। অথচ ছাত্রদলের সিলেট জেলা মহানগররের পাতি নেতাদের বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি মঞ্চে ওঠার পাসকার্ড পেলেও সিলেট মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মফিক মঞ্চে উঠতে পারেননি, ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া জামায়াত সিলেট মহানগরের সিনিয়র নেতারা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগরের কেউই বক্তব্যের সুযোগ পাননি। জোটের আহবায়ক বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী মঞ্চের গুরু হয়ে থাকলেও চারদলীয় জোটের সদস্যসচিব জামায়াত নেতা হাফেজ আব্দুল হাই হারুনও মঞ্চে ছিলেন না।
বিএনপির জেলা ও মহানগর নেতারা বক্তব্যে সুযোগ পেলেও বক্তব্য দেননি বক্তব্যে দিতে দেওয়া হয়নি সিলেট মহানগর আমির এহসানুল মাহবুব জোবয়েরকেও।
জানা গেছে, কোটি টাকার জনসভায় টাকা যোগানে জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। জনসভার ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়ে এখন জামায়াত দ্বন্দ্বে জড়াবে বিএনপির সঙ্গে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।