মানুষের জন্য আমি দামেশকের তখন রোমী জেনারেল ছিলেন সুক্কার। তার সময়েই মুসলিম সিপাহসালার আবু উবায়দা (রা) এর নেতৃত্বে দামেশক বিজয়ের উদ্দেশ্যে মুসলিম মুজাহিদরা সেখানে তাঁবু ফেলেন। রোমী জেনারেল মুসলিমদের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত থাকলেও তার বিশাল সেনাবাহিনী থাকার কারনে মুসলিমদের সে গুরুত্ত্ব দেয় নি। তারপরও মুসলিমরা যেন বিনা যুদ্ধে দামেশক ত্যাগ করে এই উদ্দেশ্যে সে মুলমিদের মধ্য থেকে একজন দূত চাইল আলোচানর জন্য। সিপাহসালার আবু উবায়দা (রা) মাআয ইবনে জাবাল (রা) কে দূত হিসেবে সুক্কার কাছে প্রেরণ করলেন।
মাআয ইবনে জাবাল (রা) রোমীয়দের ক্যাম্পে প্রবেশ করলেন। একজন রোমীয় তাঁকে সুক্কার তাঁবুতে নিয়ে গেল। তিনি সুক্কার তাঁবুর ভিতরে প্রবেশ করতে গিয়ে থেমে গেলেন। বাইরে থেকে তাঁবু মনে হলেও ভিতর বলছিল এটা কোন বাদশাহর খাস কামরা। তিনি সবচেয়ে পেরেশান হলেন মেঝেতে বিছানো দুর্লভ গালিচা দেখে।
তিনি ভাবতেই পারছেন না একজন সেনাপতি যুদ্ধের মাঠে কিভাবে এত শান শওকতের মধ্যে বাস করে। সুক্কার তখন কয়েক জন সালারকে নিয়ে সেখানে বসা ছিল।
তাঁকে থামতে দেখে সুক্কার দোভাষীর মাধ্যমে গালিচার উপর তাদের সাথে বসতে বললেন। মায়ায (রা) বসতে অস্বীকার করলেন। সুক্কার বলল আপনি বসতে পারেন, এখানে বসা শুধু গোলামদের জন্য নিষেধ।
কোন মুসলমান এর উপর বসতে পারে না, মাআয (রা) বললেন। আমি এই গালিচা থেকে দরিদ্র প্রজাদের রক্তের গন্ধ পাচ্ছি। এই বলে তিনি গালিচার পাশে মেঝেতে বসে গেলেন। মাআয (রা) এর কথা শুনে সুক্কার হয়রান হয়ে বলল- আপনি নিজেই যদি আপনার সম্মানের দিকে খেয়াল না করেন তাহলে করার কিছু নেই।
মাআয (রা) দৃঢ় কণ্ঠে দোভাষীকে বললেন- তোমার জেনারেলের মাথায় এই কথা খুব ভাল করে ঢুকিয়ে দাও যে, গালিচার উপর বসাকে সে যদি সম্মানের বিষয় মনে করে তাহলে তাতে আমি কোন ভ্রপে করবো না।
আমাদের কাছে সম্মানের বিষটি অন্য রকম। মাটিতে বসা যদি গোলামের কাজ হয়ে থাকে তাহলে আমি গোলাম; তবে মহান আল্লাহর।
মাআয (রা) মাটিতে বসেই সুক্কার সাথে কথোপকথন চালিয়ে ছিলেন।
প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরা- একবার চিন্তা করুন এই যদি হয় তাদের ঈমান তাহলে আমরা কোথায় আছি? মাআয (রা) একবারের জন্যও গালিচা ছুঁয়ে দেখলেন না!! কি দৃঢ় তাঁর ঈমান। আমরাও কি পারিনা তাঁদের মত দৃঢ় ঈমানদার হতে!
আমার একটি ব্লগপোস্ট আছে।
View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।