সবে তখন ক্লাস নাইনে উঠেছি। পুরা তাফালিং লাইফ। স্কুলে আমরা এখন বড় ভাই। দশ বারোজনের গ্রুপ নিয়া চলাফেরা করি। কঠিন ভাব নিয়া থাকি।
প্রায়ই স্কুল ফাঁকি দিয়ে এক টিকিটে দুই সিনেমা দেখতে যেতাম।
আমার কুটিকালের লা্যক প্রিয়
এই ধরনের সিনেমা দেখতে যেতাম শুধু আমরা ছেলেরা। ও ভালো কথা আমাদের গ্রুপে তখন কয়েকটা মেয়েও ছিল।
তার একটা ছিল তানিয়া। আমার বান্ধবী।
যে আমার পেরেমপত্র মেয়েদের দিত আর টিফিনের সময় আমার যারে পছন্দ হইত তারে স্কুলের পিছনে পুকুর পাড়ে ঢেকে নিয়ে আসত। তখন আমি তাহাকে পেরেমের অফার-টফার দিতাম। আর তানিয়া তখন আমাদের পাহারা দিত।
পুরাই পাংখা লাইফ যাকে বলে।
একবার তানিয়া,শিল্পী, সোহেল,আহাম্মদ,মাসুদ আর আমি বাংলা সিনেমা দেখতে শহরে গেলাম।
নায়ক রুবেল তখন পুরা হিটে আছে।
রুবেলের ছবি যে করেই হোক দেখতে হবে।
যোদ্ধা- সিনেমা চলছে তখন। আমার একটা সমস্যা আছে। আর সেটা হল এ্যাকশন সিনেমা দেখে হল থেকে বের হবার ১০/২০ মিনিট নিজেরে নায়ক নায়ক মনে হয়।
সব কিছু তামাতামা করে ফেলতে ইচ্ছা করে- কোন কারণ ছাড়াই।
পরদিন স্কুলে টিফিনের সময়, তানিয়া আমাকে ডেকে বলল - আসাদ নামে একটা ছেলে ওকে বাদাম কিনে পাঠিয়েছে আর একটা চিঠিতে - I LOVE YOU TANIA লিখে পাঠিয়েছে।
যেই বলা আর ওমনি আমার ভিতর রুবেল চলে এল।
আমার গ্রুপকে ঢেকে- পুরা বাহিনী নিয়ে ঐ পোলাকে খুজতে লাগলাম। পাওয়ার পর তখন পিছনে কলপাড়ে নিয়ে নিয়েই --এ্যাকসান শুরু করে দিলাম।
মনের ভিতর তখন নায়ক রুবেলের এ্যাকসান--ধুম ধুম
ফাইট শেষে তানিয়ার কাছে এসে বললাম- পুরা কাহিনী। আর বলা মাত্রই কে যেন আমার গালে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিল।
সামনে পিছনে তাকিয়ে দেখি আমি আর ও ছাড়া ঐখানে আর কেউ নাই।
কাহিনী কি হইল--তানিয়া তখন নায়িকা পূর্নিমার মত অবস্থায় আছে। আমি তো পুরাই বেকুব।
নায়িকার জীবন- আই মিন পেরেম বাচাইলাম...আর সে কিনা আমাকেই---
ও বাদাম গুলা আমারে দিয়া যা কইল-- ঐ গাধা, তুই ওরে মারছোস ক্যা....ওরে তো আমি আই লাভ ইউ কইছিলাম। আর ও তার উত্তরে এই বাদাম আর চিঠি পাঠাইছে...
তাহার পরে..................
আমি অনেক সাধাসাধি করিয়াও ঐ পোলারে তানিয়ার সাথে পেরেম করাই দিতে পারি নাই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।