পরাঞ্জয়ী...

হেনাদের মরে যাওয়াই উচিৎ না। কারন এই সমাজ এই জাতিকে অনেক কিছু দেবার আছে তার! সে মাঝরাতে নিকটাত্মিয়ের( আত্মিয় মানে আত্মার সম্পর্কীয় বলেই জানতাম,হয়ত ভুল জানতাম) শারিরীক ক্ষুধা নিবৃত্ত করবে। ভালো কথা, কিন্তু চিৎকার করবে কেন? এটাও সমাজসেবা ও কি জানত না? পরে আরেক অপরাধ করলো মরে গিয়ে। মরবি কেনো? পুরুষ শ্রেনী,ধর্মব্যবসায়ীরা তোকে নিয়ে নিজেদের পৌরুষ,ক্ষমতা আর পরকালের সওয়াব কামাই করছিল, ক্যানো পোড়ামুখী তাদের বাঁধা দিতে গেলি? বেঁচে থাকলে মিডিয়া ভাগ্য ভাল হলে পোষ্টমর্টেম স্যরি ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে আবারও ধর্ষণ, আবারও আবারও...........। মুখপুড়ী এত দায়িত্ব ফেলে মরে গেল! শুধু ধর্মকে দায়ি করাটা অর্থহীন।

ইসলাম ধর্ম কেন কোন ধর্মই কি বলে দেয় ধর্ষন কর? আর বাকি থাকে দোর্রার কথা, The punishment for rape in Islam is same as the punishment for zina, which is stoning if the perpetrator is married, and one hundred lashes and banishment for one year if he is not married. Some scholars also say that he is required to pay a mahr to the woman. There is no punishment for the woman if it is true that he forced her and overpowered her, which may be proven by her screaming and shouting for help. End quote. (Al-Istidhkaar, 7/146 ) আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই। এবার আসি অনেককে দেখছি দোর্রা মারা জায়েয হয়েছে এই মর্মে কী-বোর্ডের চামড়া উঠিয়ে ফেলতে। কেন? ১৪বছরের একটা কিশোরি মেয়ে ৪০ বছরের বড় ভায়ের সাথে পরকিয়া করছে? একটু আষাড়ে গল্প হয়ে গেল না? আমি যতদূর জানি কিশোরি মেয়েদের সাইকোলজিটা দৃষ্টিভঙ্গিটা অনেক বেশি রঙীন হয়। গ্রাম গঞ্জে প্রেম করবার লোকেরও খুব বেশি অভাব নেই, সেখানে ৪০ (!!!) এর এক বুড়োর সাথে পরকীয়া। আচ্ছা তবুও মেনে নিলাম(হতেই পারে কোনকিছুই অসম্ভব না)।

লোকটার তো স্ত্রী ছিল তার পরকীয়ার প্রয়োজনটা কেন পড়লো? যে পরকীয়া করে সে ইন্টারকোর্সের (তখন আর ধর্ষণ বলা যাবেনা) সময় চিৎকারই বা করলো কেন? কাঠমোল্লাদের এবং সেই সাথে সকল দোষ নন্দ ঘোষ টাইপ মানসিকতার লোকগুলোকে বলছি, অন্যের নির্যাতনে যখন দাঁত কেলিয়ে মারহাবা মারহাবা বলছেন তখন আপনিও এখজন নির্যাতনকারীতে পরিণত হচ্ছেন। খুব বেশি দেরি নেই যেদিন আপনাদের অনাচারে প্রান্তিক এই নারীগোষ্ঠি একদিন নিজেদের উনুনের জ্বলন্ত কাঠের লম্বা টুকরো দিয়ে আপনাদেরকেই ধর্ষণ করবে! তবে আমার মতে মরে গিয়ে ভালোই হয়েছে। নয়তবা দোর্রা খেয়েও নিস্তার ছিল না। কারন পুরুষ মানুষ হল সোনার আংটি, বাঁকা হলেও দোষ নেই। কিন্তু হেনার কি আর নিস্তার ছিল? বিয়ে হত না কলঙ্কিনী (!!!) মেয়ে বলে।

হয়ত মাহবুবেরই দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্মানজনক পদমর্যাদা দেয়া হত! আমার যত ক্ষোভ রাগ দুঃখ হচ্ছিল তার কিছুই আমি প্রকাশ করিনি এই পোষ্টে। তবুও একদল তেড়ে আসবে আমাকে "সেল্ফ শৌভেনিস্ট বিচ" বলতে। যেমন আমার গত পোষ্টে গতকাল একজন অতিচর্বিওয়ালা বলে গেছেন! বাট রীয়েলি আই এ্যাম প্রাউড টু বি আ সেল্ফ শৌভেনিস্ট বিচ!! কারন হেনার মত চুপচাপ আমি মরব না, আমাকে মারতে আসলে তাকে সঙ্গে নিয়ে মরবার কৌশলটুকু আমি শিখে ফেলেছি! প্রত্যেকটা মেয়েকেই সেল্ফ শৌভেনিস্ট বিচ হওয়ার কৌশলটা জন্মের পর শিখিয়ে দেয়ার একটা এ্যাকশন প্লান রেডী করলে মন্দ হয়না! যেমন তার মধ্যে একটা এরকম হতে পারে যে, প্রত্যেক টা মেয়ে সে বুড়ি হোক আর ছুড়ি সাথে সবসময় ছুরি কাঁচি বা ধারালো কিছু রাখবে। যাতে সময়মত হাতে পেলে স্বর্ণদন্ড, রৌপ্যদন্ড যাই হোক খচ করে কেটে ফেলবে!
।