প্রতিটি রাতে স্বপ্ন দেখি একদিন সব আমারই হবে, আজ না হলেও কাল তো ঠিকই কাহিনী সংক্ষেপ: দিনকাল আর সাথে তাদের অৈবধ ব্যবসা বেশ ভালোই যাচ্ছিল। বেন এবং শনের সব মিলে দারুন কাটছিল। লীজ নেয়া ৈসকতের পাশেই তাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা। তবে এসব ব্যবসার অন্তরালে মূল ব্যবসা ছিল মারিজুয়ানা উৎপন্ন করা যা শুধু ক্যালিফোর্নিয়ার লস এ্যান্জেলসই না পুরো উত্তরের প্রেইরি অন্ঞল ছাড়িয়ে মেক্সিকো পর্যন্ত এর সুনাম ছড়িয়ে। তবে সমস্যা একটি জায়গাতেই।
দু বন্ধুর পছন্দও একজনই। সুন্দরী ওফেলিয়াকে চায় দুজনই। বেন এবং শন দুজনেরই বন্ধু ওফেলিয়া। তবে এর থেকে বড় সমস্যা হলো যখন মেক্সিকান মাদক সম্রাট বাজা কার্টেল এ ব্যবসায় অংশীদারিত্ব চায়। এতদিন পর্যন্ত কেউ বাগড়া বাদাতে না আসলেও এখন তাদের এই একতরফা ব্যবসায় ভাগ বসাতে চায় কার্টেল।
তবে নিজেদের ব্যবসা এতসহজে হাতছাড়া হতে দেয়ার মতোও সহজপাত্র তারা নন। শুরু হয় এ কার্টেলকে মোকাবেলা করার প্রস্তুতি। প্রশ্ন হলো, এ সময় কার্টেলের মতো শয়তানের জন্য কি করা সবচেয়ে সহজ? যার মাধ্যমে সহজেই বাগিয়ে আনতে পারবে শন এবং বেনের মতো দূর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের?
উত্তরটি সহজ। আগেই বলেছি, দু বন্ধুর একটিই পছণ্দ। আর তা হলো সুন্দরী ওফেলিয়া।
একই সঙ্গে এটি তাদের দূর্বলতাও। সুতরাং কার্টেল নিশ্চয়ই চাইবে এই দূর্বলতার সুযাগ নিতে। তাই ব্যবসায়ে ভাগ বসাতে না পেরে সে ওফেলিয়াকে অপহরন করে বসে।
তবে কার্টেল গ্রুপের প্রধান এলেনা এবং প্রধান সহযোগী লাডো তাকে অপহরন করেই প্রথম ভুলটা করে বসে। আর এ কারনেই শত্রুর সংখ্যা বেড়ে যায়।
বেন ও শনের সঙ্গে যৃক্ত হয় তাদেরই আরেক বন্ধু কিন্তু এলেনার ঘোরতর শত্রু ডিইএ এজেন্ট যিনি কিনা জন ট্রাভোল্টা। তার লক্ষ্য এলেনার সাথে পুরনো হিসাবগুলো নতুন করে মেলানো। প্রতিশোধের নেশায় উন্মত্ত এই এজেন্ট ঝাপিয়ে পড়ে বেন ও শনকে সঙ্গে নিয়ে। শুরু হয় ভয়ঙ্কর যৃদ্ধ। যে যৃদ্ধে একে একে প্রান হারাতে থাকে উভয় পক্ষের সহযোগীরাই।
তবে শেষ পর্যন্ত যা হবার আশঙ্কা করছেন তাই হয় তবে পাঠকদের বলছি অবশ্যই ছবির শেষ দ্রশ্য পর্যন্ত দেখবেন।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন জন ট্রাভোল্টা ছাড়াও টেইলর বিচ, এ্যারন টেলর জনসন, ব্লেক লাইভলি, সালমা হায়েক, বেনিসিও ডেল টোরো, মেক্সিকান অভিনেত্রী সান্দ্রা ইচেভেরিয়া, এমিলি হির্চ সহ আরো অনেকে। ছবিটিতে উমা থর্মান বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
পাঠক, ছবিটিতে শ্যৃটিংয়ের সময় নাকি অসংখ্য ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী এবং মারকাট দৃশ্য থাকার কারনে সালমা হায়েক তার সাড়ে ৫ বছর বয়সী মেয়েকে ছবির সেটে আসা বারন করে দেন। ওহ আরেকটা কথা না বললেই ছবিটি সম্পর্কে বলা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, সেটা হলো ছবিটি পরিচালণা করেছেন তিন তিনবারের অস্কারজয়ী অলিভার ষ্টোন।
আর ছবিটি নির্মিত হয়েছে ডন উইন্সলোর বেষ্ট সেলিং বই স্যাভেজেস উপন্যাসের কাহিনী অবলম্বনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।