আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেখানে মানুষই নেই সেখানে ধর্মের কি প্রয়োজন? অথচ ধর্মকে কলংকিত করতে কতগুলো র্ববরের নির্দয় ধার্মিকতায় লজ্জিত মানবিক বাংলাদেশ।

www.theeconomist2011@yahoo.com কোনো একদিন রুক্ষ্ম, পার্বত্য-শিলাময় বালুকা প্রান্তরের বুক চিরে জাহেলিয়াতি সৌদিবর্বরদের জন্য আর্শিবাদ নিয়ে জন্ম নিয়েছিলেন একজন মহামানব (সাঃ), যার জন্ম না হলে বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রশ্রাব করার জন্যও এই বর্বরদের দেশে কেউ যেতোনা। কয়েক শতক হবেনা, তার কম সময়েও এই জঘন্যরা এই ভারতবর্ষে ভিক্ষা করতে এসে বলতো আমি নবী বংশের লোক। ধর্মপ্রাণ এই অঞ্চলের মুর্খমানবরা তাদের বরণ করেছিলো পীর হিসাবে, আলেম হিসাবে-সন্মান দিতো যারপর নাই। তেলের মজুদের অহংকারে তাদের মধ্যে আবারো ফিরে আসে র্ববরতা,অবিচার, ব্যভিচার যাদের নিত্যকর্ম-তারা মুহাম্মদ (সাঃ) তিরোধানের পর থেকেই ফিরে যায়, জাহেলিয়াতে। এই জাহেলিয়াতকে পথে আনতে, শান্তির প্রয়োজনে যে কঠোর বিচার ব্যবস্থা সেই সামাজিকতায় চালু করা হয়-তা কেবল সৌদিবর্বরদের জন্যই প্রযোজ্য হয়ে থাকে, কারণ বিশ্বের আর কোথাও তাদের মতো খারাপ ছিলোনা।

পলি গঠিত মাটির মানুষের জন্য এই জংলী আইনকে কিভাবে ধর্মের চিপা দিয়ে প্রবেশ করিয়ে রগকাটারা বাংলার মাটিতে আনতে চায়-তা বুঝতে জ্ঞানী হতে হয়না। ব্লাসফেমীর মতো আইন যারা বাংলাদেশে প্রয়োগের স্বপ্ন দেখে তাদের মুখে প্রশ্রাব করার ইচ্ছাও বাংলাদেশের মানুষের আছে বলে মনে হয়না। এই বর্বররা সাম্প্রতিক সৌদিতে ৮টি হত্যাকান্ডকে জাস্টিফায়েড করতে চায় ধর্মের দোহাই দিয়ে। কিন্তু এই বেকুবরা নবী (সাঃ) মতো জোড়াতালির কাপড়ও পড়েনা, ক্ষুধায় খেজুরও খায়না। এই বেকুবরা সৌদি শুয়োরী সামাজিকতাকে বাংলাদেশের সামাজিকতায় মিলাইতে গিয়ে বাংলাকে সৌদি বানাতে চায়।

এরা ভাবে সৌদিবর্বররা তাদের ভাই, নির্যাতক সৌদি আবু জাহেলরা ভাবে এরা মিসকিন-যাদের পশুর সন্মানও প্রাপ্য নয়। মার্কিনিদের ব্লোজব দিতে নিরন্তর ব্যস্ত থাকা সৌদি বর্বররা-সেখানে আমাদের রগকাটাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। রাজতন্ত্রের বিষয়ে ইসলামের বানী না থাকলেও বক-ধার্মিক রগকাটারা এটা নিয়ে কথা বলেনা। মার্কিনসন্ত্রাসী বুশদের ইরাক, ইরান আক্রমণের আবদার রাখা সৌদিদের বিরোদ্ধে ইসলাম কিছু বলেনা। ইসরাইলকে নিয়ে প্রতিদিন প্যালেস্টাইনে এতিম বানানো শিশুদের জন্য সৌদিবর্বর আর বাংলার ব্লাসফেমীপ্রিয়দের কোনো মাথা ব্যথা নেই।

এখানে ইসলাম নিয়ে কোনো কথা নেই। শিরোচ্ছেদ করার বেলায় ধর্মের দোহাই!! প্রকৃত দেশপ্রেমী আর প্রকৃত ধার্মিকের উচিত হবে-এই খুনের তীব্র নিন্দা জানানো, এদের মুখে বালতি বালতি থুতু দেওয়া। কোনো মানুষ এটাকে সমর্থন করতে পারেনা, কোনো ধর্ম এটাকে সমর্থন করতে পারেনা, পারে কেবল জাহেলী সৌদি সামাজিকতা। এতদিন নারীদের ভোটাধিকার ছিলোনা, বাংলার রগকাটারা এটাকেও ধর্ম হিসাবে চালিয়েছে। সাম্প্রতিক সৌদি সরকার ঘোষণা করেছে নারীদের ভোটাধিকার, এখন ভন্ড-ব্লাসফেমী মতলববাজ রগকাটারা বলবে, এটা ইসলাম সম্মতই হয়েছে।

সময় বেশী বাকী নেই, এই শুয়োরী হত্য্যাকান্ডের আইন শীঘ্রই রহিত হবে, মুক্তি পাবেই মানুষের মানবিকতা। যেকোনো বিবেচনাতেই একটি খুনের জন্য ৭/৮টি খুন হতে পারে-এটা যারা সমর্থন করেন তাদের উচিত হবে বর্বর যুগে ফিরে যাওয়া। যেকোনো অপরাধের বিচার দাবী করাই যৌক্তিক। কিন্তু বিচারটি বর্বরতা সমৃদ্ধ হলে তাকে এই সভ্য যুগের মানুষ সমর্থন করতে পারে? একটি হত্যাকান্ডের পরিবর্তের রাষ্ট্রকর্তৃক ৭/৮টি হত্যাকান্ডকে যারা যৌক্তিক মনে করে তারাই বাংলাদেশে ব্লাসফেমী আইনের দাবীদার। রগকাটার চর্চার ষোলকলা পূরণ করতে স্বপ্নদেখাদের স্বপ্নপূরণে সৌদি জানোয়ারদের পতাকা তলে সমবেত বাংলার সকল কসাই, সব জুম্মন কসাই।

রাষ্ট্রের আইন কেবল বিদেশীদের জন্য-সৌদি অমানুষদের জন্য প্রযোজ্য নয়। বোরখার নীচে কেবল পেন্টির নিরাপত্তাই তাদের জন্য উপযুক্ত-এটাকেও সমর্থন করতে রগকাটাদের কোনো বিবেচনা কাজ করেনা। গরীব দেশের মানুষ হিসাবে তাদের নূন্যতম আইনী সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ কি তাদের ছিলো? যে আইনে শিরোচ্ছেদ করা হয়, সেই আইনের পাতায় পাতায় রক্তের দাগ-সেই আইনকে প্রশ্রাব করে ভাসিয়ে দেওয়ার সময় সামনে আসবেই। যে কুলাংগারদের মানসিকতা এখনো মেয়েদের খাতনা করানোর পর্যায়ে আছে-তারাই এই আইনকে বরদাস্ত করতে পারে। আর আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে দায়িত্বশীল মহিলা, সপ্তাহে যার দুই বার পারসোনার ক্যামেরার সামনে বসতে হয় লজ্জাহীন হয়ে-তার সময় কোথায় সৌদিতে শিরোচ্ছেদ প্রাপ্তদের জন্য আইনী কিংবা কুটনৈতিক সুবিধা আদায় করার? রূপবান হবার তাড়নায় ব্যস্ত মন্ত্রীর যৌবনকে ধরে রাখতে পারসোনার প্রানান্তকর প্রচেষ্টায় ভেসে গিয়েছে ৮ প্রবাসীর কান্না, স্বদেশী স্বজনদের হাহাকার।

এই মানসিকতার নারী রাজনীতিবিদ একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী-তার হাত কিভাবে মানুষের মৃত্যু রোধ করবে? তিনিতো আর গণক নন-এটা তারই দাবী। ইসলামকে অমানবিক, নিষ্ঠুর, কলংকিত করতে ধন্যবাদ পাবে সৌদিবরাহরা, খুশী হবেন বাংলারব্লাসফেমীর স্বপ্নদোষাক্রান্ত বর্বররা। কিন্তু যেখানে মানুষই নেই সেখানে ধর্মের কি প্রয়োজন, যেখানে জীবনই হত্যাকান্ডের শিকার সেখানে ধর্মকে কলংকিত করতে চাওয়া কেন? অথচ ধর্মকে কলংকিত করতে কতগুলো র্ববরের নির্দয় ধার্মিকতায় লজ্জিত মানবিক বাংলাদেশ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.