নিজের করি নিজে খাই, বলার তেমন কিছু নাই । তার পর ও বলতে চাই যুদ্ধাপারাধীদের বিচার চাই । রাজাকারের ফাঁসি চাই । আামদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিন খুবই আবেগ প্রবন । তাই আবেগের বসে বিবেককে বিসর্যন দিয়ে তিনি মাঝে মধ্যে কিছু লাইন-চ্যুত কথা বার্তা বলে ফেলেন ।
যার জন্য প্রায় তাকে সমালোচিত হতে হয় । যা আমাদের জাতির জন্য একটা চরম দূঃভাগ্য ছাড়া আর কিছু ই নয় । মাননীয় প্রধান মন্ত্রী তিনি আমাদের বর্তমান পথ প্রদর্শক তার সুস্হ্য মস্তিস্কের সুস্হ্য নির্দেষনায় আমরা জাতি হিসেবে হয়তো আনেক দূর এগিয়ে যাব । কিন্তু জাতি হিসেবে এটা আমাডের জন্য একটা চরম দূঃভাগ্য যে আদৌ আমরা সে ধরনের কোন সুস্হ্য দিক নির্দেশনা পাই নি । বরং যা পেয়েছি বা আজ ও যা পাচ্ছি তা আমাদের জাতিকে ক্রমানয়ে বিভাজনের পথে ই নিয়ে যাচ্ছে যা আমাদের অগ্রজদের তথা মুক্তিযুদ্ধের আর্দশের চরম পরিপন্থ ছাড়া আর কিছুই নয় ।
অথচ আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও তার দল স্ব-ঘোষিত মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের শক্তি হিসেবে পরিচিত । মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নিজেকে খুবই উচু ভেবে তার সমকক্ষ কারো বিরুদ্ধে কোন হীন মন্তব্য করতে কখনোই কুন্ঠ বোধ কেন নি । গতকাল যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভারত থেকে আনা বিআরটিসি’র বাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার কিছু লাইন-চ্যুত কথা জাতির যে কোন সুস্হ্য মস্তিস্কের মানুষকে কিছুটা হলে ও পিড়া দিয়াছে । সাম্প্রতি ইন্টারনেইটের বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফীর ওয়াজের ভিডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে কঠোর সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীকে লক্ষয় করে যে লাইন-চ্যুত মন্তব্য করেছেন সে মন্তব্যের মন্তব্য করার মত ভাষা আমাদের আদৌ আছে কি ? আমার যত টুকু ধারনা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বোধ হয় আল্লামা আহমদ শফীর ওয়াজের ভিডিও টা না দেখেই মন্তব্য টা করেছেন অথবা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আল্লামা আহমদ শফীর ওয়াজের সারমর্ম বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন । যাই হোক আগে যেটা বলেছিলাম মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নিজের বড়ত্ব রক্ষা করতে যেয়ে সর্বদাই অন্যকে হীন করতে খুবই পছন্দ করেন যেমন টা আমরা দেখেছি তার গত সরকার পরিচালনার আমলে তিনি সংসদে দাড়িয়ে তৎকালিন ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেত্রী ব্যক্তি গত চরিত্র হননের জন্য যত সব বাজে মন্তব্য করতে একটু ও কুন্ঠাবোধ করেন নি এমন কি জননাল হাজারির মত কুখ্যাত সাংসদ কে ও লেলিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধীদলীয় নেত্রী ব্যক্তি গত চরিত্র হননের আলোচনায় ।
এবার আমারা তার ব্যতিক্রম কিছু মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাচ থেকে পাই নি বরং তিনি এবার তার পুত্রধনকে রক্ষা করার জন্য অযথা দেশের মুরব্বী স্হানীয় ব্যক্তিত্ব ডঃকামাল হোসেনের মেয়ে ব্যারিষ্টার সারা হোসেন কে নিয়ে ও সংসদে টানা হেচরা করেছেন । তাতে জানি না তিনি কতটুকু আত্ম-তৃপ্তি পায়েছেন বা দেশবাসীর কাছে তার পুত্রধনের গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু বাড়াতে পেরেছেন ? তার পর ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কে সবিনয় অনুরোধ করব জানুন বুঝুন তার পর বলুন অন্যকে সম্মান করতে শিখুন । তাতে আপনার আপনার দলের তথা সমগ্র জাতির কিছুটা হলে ও উন্নতি হবে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।