পড়তে চাই লিখতে চাই বিপ্লবী মনে আজও আছ চে
কেউ ভুলে গিয়ে থাকলে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- আজ আর্নেস্তো চে গুয়েভারা(১৯২৮-৬৭)র ৪৪ তম মৃত্যুদিবস। ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর আজকের দিনে ৯টি বুলেট বিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন আমাদের 'চে'। উইকিপিডিয়ার বাংলা ভাষার সংস্করণে চে’র মৃত্যু সম্পর্কে লেখা হয়েছে- “বলিভিয়ার সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে তারা গুয়েভারাকে ৭ অক্টোবর গ্রেফতার করে এবং তার মৃত্যু হয় ৯ অক্টোবর ১৯৬৭ সাল বেলা ১.১০ টায়। মৃত্যুর এ সময়কাল এবং ধরণ নিয়ে মতভেদ এবং রহস্য এখনো আছে। ধারণা করা হয় ১৯৬৭ সালের এই দিনটিতে লা হিগুয়েরা নামক স্থানে নিরস্ত্র অবস্থায় নয়টি গুলি করে হত্যা করা হয় বন্দী চে গুয়েভারাকে।
পরে বলিভিয়ার সেনাবাহিনী ঘোষণা করে যে বন্দী অবস্থায় নয়টি গুলি চালিয়ে সেই আর্জেন্টাইন ‘সন্ত্রাসবাদী’কে মেরে ফেলতে পেরেছে এক মদ্যপ সৈনিক। তবে আরেকটি মতামত হচ্ছে এই দিন যুদ্ধে বন্দী হলেও তাকে এবং তার সহযোদ্ধাদের হত্যা করা হয় কিছুদিন পর। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন প্রতিবেদনে পরবর্তীতে এইসব দাবির সপক্ষে কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়"।
এসব আজ ইতিহাসের অংশ। আমি আজ শুধু আমার অনুভূতির কথাই জানাব।
'চে’ এমন একজন বিপ্লবী যে কিনা সব সময় মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। অবশেষে মৃত্যুর কাছে ধরা দিলেও পরাজয় বরণ করেননি। আজ এমন আদর্শের কাউকে বড় প্রয়োজন। জীবনে যার একমাত্র স্বপ্ন মানবমুক্তির জন্য আত্মহুতি দানের প্রয়াস। মানবমুক্তি- একটা বাজে কথা।
কেউ কাউকে মুক্তি দিতে পারে না- পারে কেবল শোষণকে চিরঘুম পারিয়ে মানবতাকে জাগানোর পথে নিজেকে আত্মহুতি দিতে। আজ এর বড় বেশি প্রয়োজন। আজ আমরা যতই প্রগতিশীল রাজনীতি করি না কেন মৃত্যুর স্বপ্ন সেখানে না থকলে বিজয় অসম্ভব। তাই চে’র মৃত্যু আমাকে অনুপ্রাণিত করে কারণ সাম্যবাদী সমাজ গঠনে কাউকে না কাউকে আত্মত্যাগ করতেই হয়।
চে তোমার মৃত্যু আমাকে কষ্ট দেয় ঠিকই কিন্তু আমি জানি তুমি মরনি।
বেঁচে আছ আমাদের মধ্যে, আমদের চারপাশে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।