আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশের নাগরিক যে সপ্ন দেখে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের । হ্যা আজ কথা বলবো তথাকথিত বড়লোকের ছাওয়াল কতৃক আমাদের মত সাধারন জনগনকে দেওয়া ফকিন্নি ট্যাগমার্ক নিয়া । জি ভাইজান বড়লোকের ছাওয়াল দুই কান খুলিয়া শুইনা রাখেন আপনাদের এই ফকিন্নি ট্যাগ মার্ক আমাদেরকে আরো গর্বিত করেছে, মোটেও বিচলিত করেনি । আমরা এই দেশে এই ফকিন্নিরা আছি বলেই ঘরে এখনো আরামে বইসা মাত্র ৪৫ টাকায় অতি উপাদেয় মিনিকেট চাওলের ভাত খাইতে পারেন, এই ফকিন্নিদের কষ্টার্যিত পয়সায় আজ আমাদের বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভ হয়েছে হৃষ্ট পুষ্ট এই ফকিন্নিদের পরিশ্রমের ফলেই আপনাদের কলকারখানা গুলা চালু থাকে তাই তাদের উছিলায় আপনারা এথেকে মোটা টাকা উপার্জন করে বিএমডাব্লু, মার্সিডিজ গাড়ি নিয়া ফুরুত ফারুত করতে পারেন । প্রাউড টু বি আ ফকিন্নির পুত ।
কারন আমার ফকিন্নি বাপ তার কষ্টার্জিত সৎ পয়সার উপার্জন দিয়ে আমাদেরকে শিক্ষিত করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন কিন্তু আফসোস এইখানেই আপনারা বড়লোকের ছাওয়াল হইয়াও কেতাবি শিক্ষায় হয়তো বিএ, এমএ পাশ অথবা অর্থ দিয়া বিদেশ থেইকা আরো বড় ডিগ্রি খরিদ করেছেন কিন্তু সত্যিকারের মানুষের মত মানুষ হইতে পারেন্নাই । তাই আপনাদের মুখ দিয়া নির্গত হয় সোয়ারেজের গন্ধ মিশ্রিত বচন । আফসোস আপনারদের বড়লোক পিতা টাকার প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও আপনাদের মনোষত্বের শিক্ষা দিতে পারেনি যেই মনোষত্বের শিক্ষা আমাদের দিয়েছে আমাদের ফকিন্নি বাপ । এই ফকিন্নিদের পরিশ্রমের ফলেই গড়ে উঠেছে আপনার বড়লোক পিতার সম্পদের বিশাল প্রাসাদ যে প্রাসাদের বসে আপনারা শিখেছেন ফাওল সমালোচনা কিন্তু কখনো জনসাধারনের হৃদয়ের ভাষা বুঝতে শিখেননি । ৭১ এর পর এই ফকিন্নিরাই দেশ গড়েছে এই ফকিন্নিদের কর্মততপরতার দরুনই আমদের এই দেশকে বিশ্ব অর্থনিতির নেক্সট ইলাভেন হিসেবে ভাবা হচ্ছে ।
তাই আমার ফকিন্নি বাপের এই দেশের প্রতি যে অবদান সে কথা ভেবে আমি গর্বিত । বুক চাপরে বলতে চাই প্রাউড টু বি আ ফকিন্নির পুত ।
হুমম যাবার আগে আসল বিষয়টা বলে যাই যেই প্রসঙ্গে দেশে চলছে আজ তুমুল অধিকার আদায়ের আন্দোলন অর্থাত বর্তমান কোটা প্রথাকে সংশোধনের নায্য দাবি প্রসঙ্গে ।
আপনি কি জানেন বন্ধুবর কোটা প্রথা টোটালি বাংলদেশের সংবিধানের এগেইন্সটে ? না জানলে জেনে নিন >>>
বাংলাদেশ সংবিধান অনুচ্ছেদ ২৯ এ পরিষ্কার বলা আছে আছে সরকারি নিয়োগ সুযোগের সমতার কথা :
(ক) প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ- লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে।
(খ) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠি, বর্ণ, নারী- পূরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রজাতন্তের কর্মে নিয়োগ বা পদ- লাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না।
লক্ষ্য করুনঃ মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি পুতি ও পোলাপানরে সুবিধা দেয়া ২৯ এর ক ধারার সরাসরি বিরোধীতা করতেছে। আবার জেলা ও নারী কোঠা খ ধারার বিরোধীতা করতেছে। শুধুমাত্র গ ধারায় আছে যে প্রতিবন্ধী ও উপজাতিরা সুবিধা পেতে পারে। কিন্তু তাদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৬% । আর সংবিধানের বিরোধীতা করে অসাংবিধানিক ভাবে দেয়া ৫০% ।
*** কোটা ওয়ালা ভাইসকল একজন বীর মুক্তিযুদ্ধার সন্তান হয়ে সাধারন জণগনের পেটে পারা দিয়া সংবিধান বিরোধি সুযোগ সুবিধা আপনারা কেমনে চান ??? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।