আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামুর ফাইট এখন ফেসবুকে....

অ্যাকাউন্ট ব্লক করলা শরৎ ওকে আসিফ মহিউদ্দিনের স্ট্যাটাস ‌'ফেসবুকের নোটে কোন এক "চতুর্থশ্রেনীর হতে চাই বুদ্ধিজীবি"-গোত্রীয় ধর্মবাদী আহাম্মক(যার পুরো ইতিহাস আমার কাছে আছে, কিন্তু ভদ্রতা বশত প্রকাশ করি না) দাবী করেছে, ব্লগার অনলাইন একটিভিস্টরা নাকি তার কাছে রীতিমত ধর্ণা দিয়েছিল ব্লগার অনলাইন একটিভিস্টদের সাথে তাকে যোগ দিতে। তিনি নাকি বেশ ভাব নিয়ে ব্লগার-অনলাইন একটিভিস্টদের নানান নসিহত দিয়ে, বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে ধন্য করেছেন!!! "জাতীয় স্বার্থে ব্লগার-অনলাইন একটিভিস্ট" কমিটির একজন সমন্বয়ক হিসেবে আমি জানি, সে দিবাস্বপ্নই দেখেছে। এই রকম মিথ্যাচার সে আগেও বহুবার করেছে, করে যাচ্ছে, এবং করতেই থাকবে। মার্কেটে নিজের ভ্যালু ক্রিয়েট করার অদম্য আকাঙ্ক্ষা এই জাতের আহাম্মককে আরো আহাম্মকে পরিণত করছে, সেই খবর তার কাছে নাই। ' কেন এ স্ট্যাটাস? কারণ খোমেনী ইহসানের নোট,'বাংলাদেশে ব্লগার-অনলাইন এক্টিভিস্টদের বিপ্লব করার সম্ভাবনা কতটুকু? ‌নোটের ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক।

'জাতীয় স্বার্থে ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট’ ব্যানার নাম নিয়ে কিছু কিছু লোককে দেখছি গালগপ্পো করে রাস্তাঘাট ভিজিয়ে ফেলতে। তাদের একজন আসিফ মহিউদ্দিন নামক এক উদ্ভট ছেলেকে গোয়েন্দা পুলিশ ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করার ঘটনায় ভেজা রাস্তায় যেন বাণের পানি উপচে পড়ছে। কল্পনার নৌকা পাল তুলে ছেড়ে দিলেই যেন বাসনার বন্দরে তর তর করে পৌছে যাবে। দেখছি ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের মধ্যে নোবেল প্রাইজ-টাইজ দখল করার চিন্তা-ভাবনাও শুরু হয়ে গেছে। ' আসিফ মহিউদ্দিনের স্ট্যাটাসের পরে খোমেনীকে আক্রমণ মাহবুব রশীদের... চরম ধোলাই।

‌'খোমেনী সাবের সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নাই, দূর হইতেই তার ‘অনুরাগী’ ছিলাম; সে কারণে বন্ধুবান্ধবের কাছে আমার অনেক গঞ্জনাও হজম করতে হইছে; কিন্তু সে অনুরাগ টলে নাই; যে দ্রষ্টব্য লেখার প্রতিক্রিয়ায় আমারে আইজ বসতে হইল, সে লেখা পড়ার পরেও তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অবিচল আছে; তিনি তার উপযুক্ত কাজই করছেন; তার কাছে অধিক কিছু প্রত্যাশা করিনা,তার অবদানে আমাদের জ্ঞানচক্ষু উত্তরোত্তর বিকশিত হৌক সে আশাবাদ নিয়াই পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লার নামে শুরু করিলাম। তার অনেক কিছু আমার আসলেই পছন্দ; একবার তিনি শেখ মুজিব আর সংসদের চত্তরে পুলিশ কর্তৃক প্রহৃত বিএনপির হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুকের তুলনা কইরা লিখছিলেন উভয়ে একই মাপের বড় নেতা, কারণ উভয়েই একই শৌর্যে ঘাতক/পুলিশের বিপক্ষে সিনা টান কইরা দাঁড়াইছিলেন। আমি বিস্মিত হইছিলাম, এমনে তো ভাবি নাই!! মানুষেরে বিকল্প চিন্তা দিয়া চমকায়া দেবার যে সহজাত ক্ষমতা তার আছে তা আমারে বারম্বার মুগ্ধই করছে। তিনি তার রিলিজিয়াস স্ট্যাটাসে লেখেন আমার কোন রিলিজিয়ন নাই, কিন্তু দ্বীন আছে। আমার দ্বীন ‘ইসলাম’।

অতিশয় দামি কথা, ইউরোপের রিলিজিয়ন , আরবের দ্বীন আর ভারতের ধর্ম আলাদা অর্থ ও আবেদনময়। মোটা দাগে পয়লাটা একটা নন সেকুলার সিস্টেম ও ইন্সটিটিউশন দুসরাটা একটা লাইফ সিস্টেম, তিসরাটা একটা কালচার। অনবদ্য। তিনি পণ্ডিত তার এ ক্ষুদ্র কথাতেই সমঝা যায়। কথা শুরু করার আগে খোমেনি সাবের কয়েকটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য বুঝতে হবে।

গত তত্বাবধায়কের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে আর্মির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হইছিল খোমেনি সাব তার কন্ট্রিবিউটর বটেন। (আমি নিজেও সে আন্দোলনে ছিলাম, খেলের মাঠে ঘটনার দিন থেইক্কা কার্ফিউএর পরের দিন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছিলাম, আমার বাড়িতে নানা পর্যায়ের ছাত্ররা ও নেতারা হল তাড়িত হইয়া আশ্রয় নিলেও আমি ক্যাম্পাস ছাড়ি নাই)। ....তিনি কাউরে ডিমারালাইজ করতে চাইলে কন ‘এর লগে আর্মির কানেকশন আছে’; কাউরে গালি দিলে কন তুই হালা আর্মির বাচ্চা। প্রসঙ্গতঃ সরকারী তদন্ত কমিটি যে ১০ জনেরে ডাকছিল ২০০৭ এর আন্দোলনের বাবদে বক্তব্য দেওনের জইন্ন তিনি তাদের একজন। বাকিরা না নান পার্টিজান হইলেও তার ভূমিকা ছিল সাধারণ ছাত্রের।

কিন্তু নবী রসুলের কসম তিনি সাধারণ ছাত্র নন তিনি বিশেষ কিছু , সরকারী কমিটি পরোক্ষ ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ একটা ছাত্র শিবিরের প্রতিনিধীরে ডাকছিল। আসিফ মহিউদ্দিন নামক ‘উদ্ভট ছেলে’ বাবদে আমি কিছু কইতে চাইনা। সে তার অবস্থানে আছে এবং সেটা সুপরিজ্ঞাত। আর আমার কাছে কাজটাই আসল, ব্যক্তি না। সে ধরা খাওয়ায় আন্দোলন বেগবান হইছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ধর্মভিত্তিক দল নিয়া খোমেনী সাবের একটা সফট কর্ণার আছে, তিনি নাযিল হইছিলেন একটা ধর্মভিত্তিক দলের ছাত্র শিবির থেকে, এ নিয়ে কথা কইলে তার খারাপ লাগবে সেটা জানা কথা। সে বিষয়ে আমি বিশেষ কইতে চাই না। কে কইব, কে নিশ্চয়তা দিব যে, আমাদের মাঝেই কোন খোমেনী এহসান নাই? জামাতীর মুখে বিপ্লবের বুলি বাইর হইতে পারলে এও অসম্ভব না। এরপর খোমেনীর নোট 'আমরা সামনে যাই, পাশে যাই, উপরে যাই কিন্তু নিচে যাই না' 'আমাকে নিয়ে প্রচারণা শুরু হয়েছে। ব্যাপারটা উপভোগ করছি।

আগিলা অভিজ্ঞতা আছে বিধায় গজফিতা নিয়া রাস্তায় দাড়াইলাম না। কাঠমোল্লারা কতদূর যাবে জানি। হয়তো দলবেধে মিম্বারে উঠবো। তার পর বলবে খোমেনী শিবিরের লোক। আর কিছু হাউকাউ করবো।

এর মাধ্যমে লাভের লাভ এটাই যে, পেটি বুর্জোয়াদের প্রতিক্রিয়াশীলতা উত্পাদনের ক্ষমতাটা টের পাওয়া যাবে। তবে হতাশার ব্যাপারটা এই যে, মূলধন হিসেবে মিছা কথা ছাড়া তাদের ভান্ডে আর কিছু নাই। তাদের সাথে এমন কোন যোগাযোগ নাই যে, কোন আন্দোলনের ব্যাপারে তারা আমার সাথে পরামর্শ করতে কারওয়ান বাজারে আসবে। আর আমিও সেটা দাবি করবো। তাদের সাথে আমার কথা বলাবলির সম্পর্ক তো নষ্ট হয়ে গেছিল ২০০৭ সালে।

এ কথা বলায় কেউ আবার লাফ দিয়ে বলে বসবেন না যে, আগস্টের আন্দোলন নিয়া ঝগড়া করে সম্পর্কচ্যুতি ঘটেছে। ঘটনা ঘটেছে আরো দু’মাস আগে। জুন মাসে। ফরহাদ মজহার ও মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে বিজনেস স্টাডিজ অডিটোরিয়ামে সেমিনার করা নিয়া কথা বন্ধ হয়েছিল। এরপর থেকে আমার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বামদের সম্পর্কচ্যুতি কোন লুকাছাপা ব্যাপার ছিল না।

ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রকাশ্য ছিল। এরপর থেকে আমার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বামদের সম্পর্কচ্যুতি কোন লুকাছাপা ব্যাপার ছিল না। ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রকাশ্য ছিল। এ কারণেই তাদের প্লাটফর্ম নির্যাতন বিরোধী ছাত্র/ছাত্রী বৃন্দের পাল্টা ব্যানারে আমি গিয়েছি। ছাত্রদলের নির্যাতন প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গিয়েছি।

তারা যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে আমি তাতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি। খোদ যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিরও বিরোধী ছিলাম আমি। যুদ্ধাপরাধের বিচার চাওয়ার নামে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনদের অসাংবিধানিক সরকারকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে এটাও আমি প্রকাশ্যে বলে বেড়াদতাম। কথিত ‘জাতীয় স্বার্থে ব্লগার - অনলাইন এক্টিভিস্ট’ ব্যানারের কারো সাথেই আমার কোন আন্দোলন নিয়ে আলাপ হয়নি। তাহলে আমার সাথে কাদের আলাপ হয়েছিল? তারা এতো ন্যাকামো করে কেন? আমার সাথে কাদের আলাপ হয় জানে না? আমার সাথে আলাপ হয় ছাত্রদল ও শিবিরের নেতা-কর্মীদের।

তাদের সাথে আমার মিত্রতা ও সখ্যতা আছে। এটা ক্যাম্পাস থাকতেই পষ্ট ছিল। এখন বলা হবে ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের কথা বলা হচ্ছে। তারা এত সহজেই ভুলে গেল! এই যে এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রেসক্লাবের সামনে ফেলানীর জন্য মানববন্ধন করলাম সেভ আওয়ার সোভরেনটির ব্যানারে (এসওএস) ওইখানে কোন ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টরা ছিল? তারা যে শিবির ও ছাত্রদলের লোক এটা কি কারো অজানা আছে। ছদ্মবেশি শিবির কর্মীদের আয়োজন বলে সমালোচনা হওয়ার পরে আমি প্রেসক্লাবের সামনে কি বলেছিলাম সম্পর্কচ্যুত বামেদের পক্ষের লোকেরা কি তা শুনেনি? এবার বলা কেউ জিজ্ঞেস করতে পারেন আমি যে এত লেখি, বলি ওসব কি বিএনপি-জামায়াতের হয়ে লেখা।

পষ্ট জবাব হল, না। আমি দাড়িয়ে আছি বিএনপি-জামায়াতের পাটাতনের উপর। সেখান থেকে আরো আগে বাড়িয়ে আমি ইনসাফ, আদল ও ইহসানের রাজনীতির মধ্যে যেতে চাই। কখনো বলি নি যে আমি বামপন্থী বা সমাজতন্ত্রী হতে চাই। আমরা যে পাটাতনেরে উপর দাড়িয়ে আছি, তার নিচে থাকা গলুইয়ে বসবাস ওদের।

যদি জায়গা বদলাই পাশের নৌকা আওয়ামী লীগে যাব। কিন্তু গলুইয়ে পোড়া মবিল হয়ে জলে ভাসবো কেন? ভাসবো না। কারণ আমরা সামনে যাই, পাশে যাই, উপরে যাই কিন্তু নিচে যাই না। ' __________________ অনেক দিন পরে একটা ফাইট দেখছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.